পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] উল্লাস এ রসের প্রাণ ; সম্ভোগে যেখানে স্বাভাবিক অবসাদ আনিয়া দেয়, সে ক্ষেত্রে এই শৃঙ্গাররস ফুটিতে পায় না । নিবীৰ্য্য লোকের কাম ক্রীড়াতে শৃঙ্গাররস জন্মিতে পারে না। প্রকৃত শৃঙ্গাররস যেখানে ফুটিয় উঠে, সেথানে সম্ভোগে অবসাদ অাস। তো দূরের কথা, কেবল উল্লালই আরো উত্তরে’ত্তর বাড়িয়া যায়। এই জন্তই প্রকৃত মাধুর্য্যে সম্ভোগের পরে “রসোদগার” বণিত হয় । এ রসোদগার অপূৰ্ব্ব বস্তু হাতে প্রেমের জলস্তু পিয়াস ও অনস্ত অতৃপ্তি বর্ণে বর্ণে ফুরিয়া উঠে। সখি ! কি পুছনি অনুভব মোয়, সোই পরিতি অনুরাগ বাখনিতে, তিলে তিলে নূতন হোয় । রামাবর্তী ૯૦ (છ) জনম অবধি হম, রূপ নেহারিকু, নয়ন মা তিরপিত ভেf : লাখ লাখ যুগ, হিয়ে হিয়ে রাখস্তু তবু হিয়া জুড়ন না গেল । ইহা প্রেমকের কথা, কামুকের নহে। আয় কাম ও প্রেম এক হইয়াও এক নহে । আত্মেন্দ্রিয় প্রতি ইচ্ছ। তারে বলে কাম । কৃষ্ণেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছা ধরে প্রেম নাম ॥ এই প্রেমই মাধুর্য্যের সার । ইহা কাম হষ্টয়া ও কাম নহে ; শারীর হইয়া ও অশরীরী ; প্রাকৃত হইয়ঃ ও অপ্রাকৃত । এ রস রূপের মধ্যেই নিয়ত অরূপের শোভা ফুটায় ; অরূপের মধ্যেই নিযুত রূপ জাগাইয়া তোলে । শ্রীবিপিনচন্দ্র পাল । রামাবতী ( & ) সেকালের বাঙ্গালীর পক্ষে বাহুবলের করিবার জন্ত অনেকে অনেক চেষ্টা করিতে প্রয়োজন ছিল । বাহুবলে আত্মরক্ষা করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । সুতরাং সেকালের হইত,—আত্মরক্ষার জন্য বাহুবলেষ্ট আত্মপ্রাধান্ত সংস্থাপিত করিতে হইত। কারণ, বাঙ্গালাদেশের উপর অনেকেই লোলুপ দৃষ্টিতে চাহিয়৷ থাকিতেন,—অবসর পাইবামাত্র অনেকেই বাঙ্গালাদেশের উপর আপতিত হইতেন । রাজেন্দ্র ঢোড় এইরূপে একবার বঙ্গভূমির কিয়দংশ লুণ্ঠন করিয়া গিয়াছিলেন। তাহার দৃষ্টান্তে সাহসী হইয়া, তাছার পদাঙ্কামুসরণ বাঙ্গালীকে আত্মরক্ষার জন্ত বাধ্য হইয়াই বাছবলের অনুশীলন করিতে হইত। জনসমাজে তাহার প্রশংসা প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিল ;– কাব্যে ও কথোপকথনে তাঁহার জয়ধ্বনি মুখরিত হইয়া উঠিয়াছিল । জনসাধারণের স্তায় রাজকুমারগণকে ও বাহুবলের পরিচর প্রদান করিয়া লোকসমাজে প্রতিষ্ঠালাভের জগু চেষ্টা করিতে হইত। তৃতীয় বিগ্রহপাল দেবুের তিন পুঞ্জের