૯૬ (છ) না। তাই এত কাৰ্য্যবাহুলোর মধ্যেও তিনি সকল দিক্ দেখিবার সময় ও অবসর পাইতেন । মন্ত্রিত্ব প্রাপ্তির পর তিনি নিয়ম করেন যে সপ্তাহে তিনদিন তিনি সাধারণের সন্ধিত দেখা সাক্ষাৎ করিবেন । তন্মধ্যে একদিন রাজের প্রধান প্রধান সর্দারদিগের সহিত র্তাহীদের বৈষয়িক বিষয়ে ও অন্তান্ত আলোচনা করিতেন। এক দিন রাজ্যের নানাবিভাগের কৰ্ম্মচারিগণ তাহাঁদের র্যাঙ্কার যে বিষয়ে জিজ্ঞাস্য বা পরামর্শ ও উপদেশ লওয়ার থাকিত, তাছারা দেখা করিয়া মীমাংসা করিয়া লইতেন । তৃতীয় দিনে প্রজাসাধারণের সহিত সাক্ষাৎ করিতেন—সে দিন ছোট-বড়, দীন-দরিদ্র সকলেরই অবারিত দ্বার ; সকলেই তাঁহাদের অভাব অভিযোগ লইয়া তাঙ্কার নিকট উপস্থিত হইত। তিনি অবহিতভাবে সকলের কথা শুনিতেন এবং সৰ্ব্ববিধ অত্যাচারের প্রতিকারের ব্যবস্থা করিতেন । পজাসাধারণের সহিত ব্যবহারে তাহার হৃদয়ের মহত্ব এবং প্রজার প্রতি সহানুভূতি সবিশেষ প্রকাশ পাইত-দরিদ্র বা সহায়হীন বলিয়া কোন অত্যাচারিত বা দুঃস্থ উtহার কাছে विभू९ झम्न नाइँ । c+इ श्रष्टाग्न वा मिर्था অভিযোগ উপস্থিত করিলে তিনি ধীরভাবে তাহাকে তাহায় ভুল বুঝাইয় দিতেন—কখনও বিরক্তি বা অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করিতেন না। তাই বিফলমনোরথ হইলে প্রত্যৰ্থী কেহ अमखुट्टे झईब्र! श्रुिब्रिउ न । রাজকৰ্ম্মচারিগণ যখন যে বিষয় লইয়া তাহার কাছে উপস্থিত হইতেন--তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁচার সৎ মীমাংসা করিয়া দিতেন— সে সময় তাহার দূরদর্শিত এবং রাজ্যেয় সৰ্ব্ব বঙ্গদর্শন [ ১৩শ বর্ষ, আশ্বিন, ১৩২০ প্রকার কার্যের সহিত ঘনিষ্ঠ পরিচয় দেখিয়া সকলে বিস্মিত হইত এবং রাজকাৰ্য্য-পরিচালনে বিশেষ শৃঙ্খলা ও সুবিধা হইত। সুপণ্ডি ত, উদারচেতা বিজ্ঞ লর্ড মর্লির মন্ত্রি হ্রকালে ভারতবাসী যে সকল সুবিধা ও ক্ষমতা পাইবার জন্ত উৎসুক –সংসারচন্দ্র জয়পুররাজ্যে সেই উদারনীতির প্রবর্তন করিয়া তাহার উচ্চ আদর্শের এবং দূরদর্শিতার সম্যক্ পরিচয় প্ৰদান করিয়া গিয়াছেন । রী জ্যর শাসনবিভাগে যখনই কৰ্ম্মচারী পরিবর্তন বা নিয়োগের আবশুক ইষ্টত, তখনই তিনি স্থানীয় শিক্ষিত ব্যক্তিকে, বিশেষতঃ যাহারা জয়পুর কলেজে শিক্ষাপ্রাপ্ত হইয়াছেন, র্তাহাদিগকে সেই সকল কার্যে নিযুক্ত করিতেন। তাঙ্গীয় ফলে আজ স্থানীয় বহু११:क *िक्रिड-मूवक ताङकांtर्गद्र नाना বিভাগে প্রশ্ন প্রধান কৰ্ম্মে নিযুক্ত রছিয়াছেন। তাঙ্গার চেষ্টার ফলে বহুসংখ্যক যুবক সেটেল, মেণ্ট, পুলিশ এবং কৃষি কার্য্যে বিশেষ ভাবে শিক্ষালাভ কfর: রাজকার্গ্যে ও রাজ্যের উন্নতিকল্পে নিযুক্ত হইয়াছিলেন । ইহাতে প্রত্যক্ষ ভাবে রাজ্যের উন্নতি এবং পরোক্ষ ভাবে শিক্ষালাভের জন্ত জনসাধারণের আগ্রহ জন্মিয়াছে তাছা বঙ্গ বাহুল্য মাত্র । তবে এই উদারনীতির উপস্থিত ফল সম্বন্ধে এত অল্প সময়ের মধ্যে কোন কথা বলা যায় ন। কেননা জয়পুরের শিক্ষার অবস্থা দেখিলে মনে হয় সংলারচন্দ্র “fifty years ahead of his times” for:# কিন্তু ইহা নিশ্চয় ধে তিনি যে বীজ বপন করিয়া গিয়াছেন, জয়পুরের ভবিষ্যবংশীয়ের তাছার, ফলে লাভবান হইবে এবং এমন দিন আর্মিৰে ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।