৫ম সংখ্যা ] ব্ৰহ্মার বাহন হইল। মধtহ্নসুৰ্য্য জগৎব্যাপী বিষ্ণু স্বৰ্য্য-নারায়ণ মধ্যাহ্নে সেীর গরুড়ের পৃষ্ঠে আসীন থাকেন। গরুড় নারায়ণের বাহন হইল । সায়হ্নি-স্বর্য তেজ সঙ্কোচ করিয়া “ধম” নাম গ্রহণ করেন । স্বমেরুস্থ বনবাসী দেখিলেন ; 'যম' দেব ছয় মাসের পর তারা বৃশ্চিকের কবলে পতিত হইলে অন্ধকারে আচ্ছাদিত হইতে থাকেন, কালান্তক বৃশ্চিক সপ—যম’ ‘মহাকাল’ রুদ্রদেবের অঙ্গভূষণ হইল । সেীর মহিষ 'যম' দেবের বাহন হইল। এই রূপে সৌর হংস পৃষ্ঠে ব্ৰহ্ম প্রতিষ্ঠিত, সৌর গরুড় পুষ্ঠে বিষ্ণু প্রতিষ্ঠিত, সেীর মহিয পুষ্ঠে রুদ্র ধম প্রতিষ্ঠিত হইলেন । তিন, তিনে এক । এই হিন্দুর ত্রিমূৰ্ত্তি—সত্ত্ব এবং সৃষ্টি-স্থিতিলয়-কৰ্ত্ত । পাশ্চাত্যের ত্রিনীতি—ঈশ্বয় পিতা, ঈশ্বর পুত্র এবং ঈশ্বর পবিত্রভূত ( যম ) এই হইল স্ক্রিনীতি (Trinity, । কাজের বেল মিল নেই। ময়না পড়ে বেশ কিন্তু বুঝে না। ঈহাকাল রুদ্রদেব নারীবেশে মহাকালী গুইলেন। জংঘায় বৃশ্চিক ভূষণ হইলেন । এবার মূৰ্ত্তিমান রুদ্রদেব বাহন । পদ-দলনে মৃত্যুঞ্জয় মরিবার নহে ! *কালীর চেল” (গ্রীক-চেলাই ) হিন্দুর অবধ্য। সন্ন্যাসীর চেলা কি বস্তু ! 叱氛 বনৰালী জানিতেন যে বৃশ্চিক সপের কবলে পড়িলে স্বৰ্য্যের তেজ অপহৃত হয় । তিনি এক দিন দেখেন দিনে পুরে অন্ধকার উপস্থিত, স্বৰ্য্য অদৃশু। তিনি তখনই স্থির করিলেন বৃশ্চিক সর্প অলক্ষিত ভাবে আসিয়া স্বৰ্য্য গ্রাস করিয়াছে। বৃশ্চিক সর্প লুক্কায়িত এবং تية إلى রজ: তমঃ গুণে ভূষিত নক্ষত্র-পূজা - ૭૧? ( রহপি-স্থিত ) বলিয়া ‘‘প্লাহু’ নাম পাইল, আবার গ্রহণকালে স্বৰ্য্যের জ্যোতিৰ্ম্ময় ছটা (Corona ) off; o; I wantil Non করিলেন বিমানস্থ কোন ভানুর ছট হইবে । জ্যোতিৰ্ম্ময় ভাকু স্বর্য্যের তেজ হরণ করিল। যথা—স্বৰ্য্যের উদয়ে গগনের তারা অদৃশুভাবে থাকে । তাই অমর সিংহ বলেন-- “তমস্ত রাহুঃ ‘স্বর্ভানুঃ’ ” চিন্তাশীল পাঠক বুঝিবেন —পদার্থ তিনটী পৃথকৃ, কিন্তু তাঁহাদের ব্যবসা এক । তাই অভিধানে তুল্যমূল্য হইয়াছে। একটা শব্দ অপর শব্দদ্বয়ের প্রতিশৰ হইতে পারে না । তমঃ = স্বর্ভানু ? বনবাসীর হৃদয় নিশার সহচর হুতুমের স্বরে কম্পিত হইত। ফলিত জ্যোতিষের আশীবাদে হিন্দুর হৃদয় ফের বনবাসে গিয়াছে। টিক্টিকীর ডাকে রক্ষা নেই। তা ত হুতুম । তার নাম শুনিলেই “অদ্যাপি কঁপিয় উঠে থাকিয়ে থাকিয়ে।” এ সব অপুৰ্ব্ব মনুষ্যত্বের পরিচয় । কিন্তু হিন্দু মনে করেন না যে মূধিক ভক্ষণের গুণে ঐ হুতুম মা লক্ষ্মীর বাছন হইয়াছে । গৃহে আসিলে তাহাকে অভ্যর্থনা করা হিন্দুর হিতজনক । মুষিক ঝড় গুণাপড়া করিতে বেশ দৈবজ্ঞ । ভাবী ঝড়ের পূৰ্ব্বে জাহাজের নেী-নিগড় তুলিলে মুষিকদল জাহাজ হইতে লাফাইয়া ঝাকে ঝণকে সমুদ্রের জলে পড়ে এবং সাতায় দিয়া কিনারা লয় । জাহাজের বিলাতী কাণ্ডারী ঠেকে শিখিয়াছেন যে, মূষিক চম্পট দিলে জাহাজ ভাসাইতে নাই । সেই মূয়িক মনোজব বৃহস্পতির বাহন। বেদে “ত্বং গণনাং গণপতিঃ” বলায় দেবগুরু বৃহস্পতি গণেশ নামে সকলের আগে পুজা লইতেছেন। আবার
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।