৫ম সংখ্যা । “আমাদের আর কোন বিপদ হয় নাই । कर्झौ डॉलहे श्रां८छ्न ।” “তোমরা সেদিন কোথা হইতে আসিতেছিলে ?” “ঠাকুরাণী কোন প্রয়োজনে পাটলী গ্রামে গিয়াছিলেন ।” প্রমীত দেখিলেন বাহুক অধিক কথা কহিতে চায় না । তfহাঁর সঙ্গে আলাপ করিয়া তাহার কত্রীর কোন পরিচয় পাওয়ার সম্ভাবনা নাই । সুতরাং তৎসম্বন্ধে তাঙ্গকে আর কিছু জিজ্ঞাসা করা ও তিনি সঙ্গত মনে করিলেন না । বাহুক নীরবে পথ দেখাইয়া চলিল । নগরের যে অংশ দিয়া প্রমীত যাইতেছিলেন, তাহাতে অপেক্ষ কত ধনী লোকেরই বাস। পথের উভয়পাশ্বে মুশোভন আটালিকার সারি । ফুলের বাগান, ফলের বাগfন । ক্র:ম সন্ধ্যা श्रृं८छ १८ध् গুহ-বিগ্রহের আরতি, সান্ধ্যস্তুতি আরম্ভ হইল । শঙ্খ-ঘণ্টা-নিনাদে পল্লী মুখরিত হইল। ধূপধুনা-গুগগুল-গন্ধে সন্ধ্যার মুখদ মৃদুবায়ু মুরভিত হইয়া উঠিল । রাজপথে আলো ছিল না, কিন্তু উভয় পাশ্বের পুরী প্রবেশ-পথে এবং মুক্তৰাতায়ন-পথে গৃহমধ্যস্থ দীপরশ্মি রাজপথে পড়িয়াছিল, মুতরাং পথ নিতান্ত অন্ধকারময় ছিল না । বসন্তকাল ; শীত নাই, গ্রীষ্মের অভিশষ্য ও হয় নাই । রাজ-পথে লোকচলাচলের অভাব নাই। পুষ্পমালাধারী, চন্দনচর্চিতদেহ সৌখীন যুবক, ব্যস্তসমস্ত ব্যবসায়ী, ভিক্ষার্থ খপ্প অন্ধ আতুর, দৃ গুকারী, সভিক, নট, বৈণিক, বৈণবিক, চঞ্চল নগরশোভিনী, চকিতনেত্রী অভিসারিক, ভারিক, ፳፻፶፫ ፳፻፶፫ छझे८ ।। উৎপল ৩৭৯ মালিক, বার্তাবস্থ-রাজপথে অনেক লোক যtভায়াত করিতেছিল। অনেকে প্রমীতসেনকে দেখিয়া নমস্কার অভিবাদন করিল, কিন্তু প্রমীত দ্রুতপদে চলিলেন । পরিচিত কাহার ও সঙ্গে সাক্ষাৎ না হয়, তাঁহাই তাহার ইচ্ছ। পথের এক পাশ্ব একটুকু জনতা হইয়াছিল। একজন মালী নানাবিধ সুগন্ধি ফুল, ফুলের মালা, মুকুট, বলয়, কুণ্ডল ইত্যাদি বিক্রয় করিতেছিল। কয়েক জন লোক তাহাঁকে ঘিরিয়া দাড়াইয়া ইচ্ছামুরূপ দ্রব্য নিৰ্ব্বাচন করিতেছিল। প্রমীতসেন পাশ দিয়া চলিয়া গেলেন । কিন্তু সোমদত্ত সেখানে ছিলেন, তিনি প্রমীত এবং তৎসহচর বহুককে দেখিয়া বিস্মিত হইলেন । প্রমীত জানিতে পরিলেন না। কিন্তু সোমদত্ত মাল্য-ক্রয় পরিত্যাগ করিয়া অ লক্ষ্যে তঁtহার অনুসরণ করিলেন । বাহুক অবশেষে প্রমীতসেনের অপরিচিত এক পল্লীতে একটা বুহৎ বাটীর নিকট উপস্থিত হইল । দ্বারবান দ্বার খুলিয়া দিল । প্রহরীরা নমস্কার-অভিবাদন করিল। আলোকিত প্রবেশ-পথ অতিক্রম করিয়াই ফুলের উদ্যান, অদূরেই উচ্চ দ্বিতল গৃহ, গৃহের কক্ষে কক্ষে দীপালোক । প্রমীত সিড়ির নিকট পৌছিতেই দুই তিন জন পরিচারিকা প্ৰণাম করিয়া তাহাকে উপরে লইয়া গেল। প্রথম কক্ষেই একট প্রৌঢ়বয়স্ক স্ত্রীলোক দাড়াইয়ছিলেন । তিনি প্রমীতসেনকে অভিবাদন করিলেন, প্রমীতসেন ও প্রৌঢ়াকে নমস্কার করিলেন। প্রৌঢ় বলিলেন ;– “আমাদেয় আজ কত সৌভাগ্য ! আপনি আমাদের গৃহে পদার্পণ করিয়া আমা
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।