○し”o দিগকে চরিতার্থ করিলেন । আমার কন্যাকে ঘোর বিপদ হইতে রক্ষা করিয়া আপনি আমাদিগকে চির-অনুগ্রহীত করিয়াছেন। আমার কন্যা আপনার প্রতীক্ষা করিতেছেন । চঞ্চল, ইহাকে লইয়া যা ' চঞ্চল প্রমীতসেনকে লইয়া এক স্থসজ্জিত দীর্ঘ-বারান্দা দিয়া চলিল। বাম পাশ্বে কক্ষের . পর কক্ষ, দক্ষিণ পাশ্বে মৰ্ম্মরে আচ্ছাদিত প্রশস্ত অঙ্গন, তাহার অপর তিন দিকে দ্বিতল পর্য্যন্ত সারি সরি আলোকিত কক্ষ । এই উপকৃতা’ কে, কি নাম, কাহার কন্যা, কাহার স্ত্রী ?—প্রমীত কিছুই জানেন না । কিন্তু সেই পুরীর বিশালত্ব এবং সজ্জিত মূলাবান দ্রব্যসম্ভার দেখিয়া তfহার প্রতীতি হইল, উপকৃতা’ যিনিই হউন, তিনি প্রভূতসম্পত্তিশালিনী, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই । সেই দুদিন অন্ধকারে অস্পষ্ট-আলোকদৃষ্ট, বাকৃচতুরা, আলুলায়িতকুন্তলা অপুৰ্ব্বসুন্দরী তরুণীর মূৰ্ত্তি বারবার তাহার স্মৃতিপটে উদিত হইতে লাগিল। আজ র্তাঙ্কারই গৃহে তাহার সঙ্গে দেখা হইবে । প্রমীতসেনের চিন্ত কৌতূহলে উদ্বেলিত হইতে লাগিল । চঞ্চল পরিশেষে একটী কক্ষের দ্বারে উপস্থিত হইয়া প্রমী স্তসেনকে ইঙ্গি ত করিয়া বলিল ঃ-— “আমার কত্রী এই কক্ষে আপনার প্রতীক্ষা করিতেছেন ।” প্রমীত সেই কক্ষে প্রবেশ করিলেন । মহাসুগন্ধি তৈলপূর্ণ প্রদীপে প্রদীপে সমগ্র কক্ষ আলোকিত। একটা মুন্দরী যুবতী মৃদুপদে অগ্রসর হইয়া তাহাকে অতি বিনীত নমস্কার করিল। সমীপস্থা অপরিচিত। সুন্দরী বঙ্গদর্শন [ ১৩শ বর্ষ, ভাদ্র, ১৩২০ যুবতীর প্রতি স্বচ্ছন্দ দৃষ্টিক্ষেপ অদম্ভব । নিমেষমাত্র প্রথম দৃষ্টিতে প্রমীত যাহা দেখিলেন তাঁহাতেই তিনি অতি বিস্মিত হইলেন, ক্ষণ কাল নীরব স্তম্ভিত হইয়া রছিলেন । ইনি সেই নগর-প্রবেশ-পথের আকুল-কুন্তল উপক্ক তা’ই বটেন ! কিন্তু আরও কোথায় যেন ইহাকে দেখিয়াছি ! কিন্তু তথন আর ভাবিবার সমর নাই, র্তাহাকেই পথমে কথা কহিতে হইল ।
- আপনি আমাকে পত্র পঠাইয়াছিলেন ?”
মস্তক নত করিয়া রমণী অতি মৃঢ়স্বরে বলিলেস ; “অধিনীষ্ট এই দুঃসাহসের কাজ করিয়াছে ” রমণীর বিনীত নির্দেশে কক্ষ মধ্যে অনতিউচ্চ বিস্তু ত পালঙ্কে সুশোভন আসনে প্রমীত উপবেশন করিলেন । আসনের চারিপাঙ্গে, কক্ষের নানাস্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ত্রিপদীর উপর থালে থালে সুগন্ধি ফুল, ফুলদানে ফুলের স্তবক । শ্বে তরক্তনীলপাত নানাবণের মূল্য - বান প্রস্তরে গ্রথিত চিত্ৰিতবং অতি সুন্দর ফুল-ফল-তরুলভার ছবিতে কক্ষের দেয়াল ও মেঝে মুশোভিত । একপাশে অতিপুরু সুখস্পর্শ কম্বলাসন, তাহার উপর ধৌত পট্টবস্ত্রের আচ্ছন। কক্ষের সমস্ত তৈজসপত্র মূল্যবান এবং মুদৃগু । গৃহের বৈভব-শ্ৰী দেখিয়া প্রমীত অতি বিস্মিত হইলেন । রমণী নিকটেই দেয়ালের পার্শে, দাড়াইয়া বলিলেন – “আমার প্রার্থনা, আমাকে दणिtतून न !” ‘আপনি”