পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য; } লে বিষয়ের ক্ষুদ্র বৃহৎ সকল দিকে দৃষ্টি রাথিতেন । গঙ্গোত্রীর পথে যেখানে যেখানে খাঞ্চিবায় মুবিধা এবং পথে কি কি প্রয়োজন হইতে পারে, আহার্য্যদ্রব্যের মুল্যাদি, কুলীভাড়, পথের বিবরণ, গ্রাম, নদী, পাহাড় প্রভৃতির নাম-সমস্তই তাহার দিন লিপিতে সন্নিবিষ্ট দেখিতে পাওয়া যায় । যাত্রীর কোন জ্ঞাতব্য বিষয় তাহার দৃষ্টি এড়ায় নাই। তিন মাস পরে তিনি জয়পুরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন । এই সময় হইতেই তাহার স্বাস্থ্যভঙ্গ হইল । যে বলিষ্ঠ দৃঢ় শরীর নানাপ্রকার পরিশ্রম করিয়াও অটুট ছিল, এই গঙ্গোত্রী যাতায়াতে তাহাতে রোগ প্রবেশ করিল। সঙ্গের লোকের তাহার কষ্টসহিষ্ণুতা, ধৈর্য্য এবং निडौंकडl cभथिच्न आन्ध्र्ग श्रेड ? बशস্বাজেয় কাজে তাহাকে যে শারীরিক ক্লেশ সহ করিতে হইয়াছিল, তাহা তিনি কদাচ মুখে আনিছেন না। কৰ্ত্তবকৰ্ম্মে আত্মত্যাগ তাহার জীবনের মূলমন্ত্র ছিল, নিজের কোন সুবিধা অসুবিধা তিনি কখন গণনা করেন নাই। কি রাজ্যের হিতকর কার্য্যে, কি ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে, কি আনন্দ-উৎসবে বা শিকারে, ংসাল্লচন্দ্র সৰ্ব্ববিষয়ে বিশ বৎসরকাল মহারাজের সাহচর্য্যে কাটাইয়াছিলেন ; কিন্তু কখনও নিজের কৰ্ত্তব্যপথ হইতে ক্ষণমাত্র বিচলিত ছ’ন মাই, মহারাজের হিতচিত্ত ব্যতীত অন্ত কোন উদ্দেশ্য তিনি মনে স্থান দেন নাই । তাই মহারাজের সহিত তাহার সম্বন্ধ শুধু কর্শ্বের গওঁীর মধ্যে আবদ্ধ, ছিল না । একদিকে শ্রদ্ধ, নির্ভরতা ও হৃদয়ের আকর্ষণ এবং অন্ত দিকে স্নেহ, প্রীতি ও কর্তব্যনিষ্ঠা—এই মণিকাঞ্চন-সংযোগে এ রাও বাহাদুর সর্দার সংসারচন্দ্র ৩৯৭ সম্বন্ধ পরম আত্মীয়তায় পরিণত হইয়াছিল । তাই উত্তর কালে অম্বরাধিপতির মহিষী মহীয়াণী যাদোনজী সংসারচন্দ্রেয় সহধৰ্ম্মিণীকে মাতৃসম্বন্ধে সন্মানিত করিয়া “রাধা” বধিয়া দিয়াছিলেন । মহারাজ সবাই মাধোলিংহ সিংহাসনে আরোহণ করার তিন মাস পরে সংসারচন্দ্র গ্রাইভেট সেক্রেটারীর পদে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯১ খৃষ্টাব্দের প্রথমভাগে মন্ত্রিপদে বৃত হুয়েন। তাহার জীবনী বুঝিতে হইলে, এই বিশ বৎসরেয় জয়পুররাজ্যের একটা মোটামুটি বিবরণ জানা আবশুক । সাধারণভাবে বলিতে গেলে, ইহা সুবিখ্যাত সচিবপ্রবর স্বগীয় স্নাও বাহাদুর কান্তিচন্দ্র মুখোপাধ্যায় আই, ই, মহাশয়ের মন্ত্রিত্ব কাল । অতএব র্তাহার সম্বন্ধে কিছু না বলিলে এ জীবনবৃত্তান্ত অসম্পূর্ণ রহিয়া যায়। রাও বাহাদুর কাস্তিচন্দ্র প্রথমে জয়পুর স্কুলের প্রধানশিক্ষকপদে নিযুক্ত হইয়া আসেন ; পরে যখন উক্ত স্কুল ‘মহারাজকলেজে পরিণত হইল—তখন তিনি তাহার अ५jत्रा कुtग्नन ! গবর্ণমেণ্টের সহিত যখন সম্বরস্তুদের স্থায়ী বলোবস্তের প্রস্তাব চলিতেছিল, সেই সময় ইহায় বুদ্ধিমত্ত ও নির্ভীকতা স্বৰ্গীয় মহারাজ রামসিংহের মনোযোগ আকর্ষণ করে । তাছার পর ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে যখন মহারাজ রামসিংহ বয়োদাধিপতি মহারাজ সঙ্গাজী গল্পকোয়াড়ের মোক জমায় অন্ততম বিচারকের পদে গভর্ণমেণ্ট কর্তৃক বৃত ছ’ন, তখন তাহার স্নায় প্রকাশকালে তীtহায় তদানীন্তন প্রাইভেট সেক্রেটারীকৃত অঙ্কুবাদ মহারাজের