পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89.చి দেব-ঋষি, রাজ-ঋষি, ব্ৰহ্ম-ঋষি ষে লোকে, ধ্যানভয়ে গান করে একতানে । যাও রে অনন্তধামে, জ্যোতিৰ্ম্ময় আলয়ে, শুভ্র সেই চির-বিমল পুণ্য-কিরণে । যায় যথা দানব্ৰত, সত্য ব্রত, পুণ্যবান, যাও বৎস যাও সেই দেব-সদনে ॥ অক্ষয়বাবুর শোকগাথাতে কোথাও এইরূপ কোন ও অলীক কল্পনার চিহ্ন পৰ্য্যস্ত নাই । অক্ষয়কুমার তত্ত্বদশী সিদ্ধপুরুষ নহেন । আমাদের প্রাচীন ঋষিবাকো যে তত্ত্বের সন্ধান পাওয়া যায়, অক্ষয় কুমার এ পর্য্যস্ত তার সাক্ষাৎকার লাভ করেন নাই । করিলে, কবিতাগুলি তিনি লিখিতে পারিতেন না । কিন্তু সে তত্ত্ব কয়জনার ভাগ্যে ষ্ট বা প্রকাশিত হইয়া থাকে ? সে তত্ত্বের উপদেষ্ট অতিশয় দুল্লভ ; উপযুক্ত অধিকারী শ্রোতা ৭ অতিশয় দুল্লভ । “দেবৈরত্রপি পুন: বিচিকিৎসিত পুরী”-- অতি প্রাচীনকাল হইতে দেবতারাও এ সম্বন্ধে সন্দিহান ছিলেন । “ন হি মুবিজ্ঞেয়মনুর্যে ধৰ্ম্মঃ”–এই স্বথা তত্ত্ব মনুযাদিগের পক্ষে সুবিজ্ঞেয় নহে। অক্ষয়কুমার এই দেবদুল্লভ তত্ত্ব আয়ত্ত করেন নাই, এ কথা বলিলে এই তত্ত্বেয়ই কেবল মৰ্য্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়, অক্ষয়কুমারের কবিপ্রতিভার বা মনীষার কোনও অবমাননা করা হয় না । অক্ষয়কুমার, ইদানীন্তন কালে সভ্যজগতে যে শিক্ষাদীক্ষা প্রচলিত হইয়াচে, তাহাই লাভ করিরাছেন । তিনি একালেরই কবি ও মনীষী। এ কালটা যুক্তি প্রধান, অতিশয় প্রত্যক্ষবাদী। এ কালের শিক্ষা ও সাধনার অতীন্দ্রিয় দৃষ্টি অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ,— ইন্দ্ৰিন্থ-প্রত্যক্ষের উপরেই বিশেষভাবে এ বঙ্গদর্শন * [ ১৩শ বর্ষ, ভাদ্র, ১৩২• যুগের শ্রেষ্ঠতম সাধনা আপনাকে গড়িয়া তুলিবার চেষ্টা করিয়াছে। মুতরাং তর্কের দ্বারা যে তত্ব লাভ করা যায় না, অক্ষয়কুমার সে তত্ত্ব লাভ করেন নাই বলিয়া, কোনও নিন্দার কথাও হয় না । তবে অক্ষয়কুমার এই অতর্ক প্রতিষ্ঠ তত্ত্বের সাক্ষ;ৎকার না পাইয়াও যে ইহার কল্পিত উপদেশ দিতে যান নাই, ইহাই তাহার বিশেষ প্রশংসার কথা । এই জন্তই এই গ্রন্থে কোন ও অলীক কল্পনার বাহুল্য দেখিতে পাওয়া যায় না । এই গ্রন্থে এক দিকে যেমন কোনও গভীর তত্ত্বদশি তার প্রমাণ-পরিচর নাই, অন্ত দিকে সেইরূপ কোন ও প্রকারের লঘুচিন্ততার ও নামগন্ধ নাই । লঘুচিত্ত লোকেই কেবল মায়িক কল্পনার গোলাপী নেশা করিয়া, নানাবিধ জল্পনার সাহাযো, আপনার গভীর শোকে সত্ত্বনা অন্বেষণ করিয়া থাকে। ফলতঃ লঘুচিত্তের উপরে, শোকের দাগ কখনও গভীরভাবে পড়ে না। তখার প্রেম যেমন চাল ক', শোক ও সেইরূপই হাল্কা হইয়t থাকে । রোজ যেমন তিলtদ্ধমাত্র একটা মন্ত্রাদ্ধ পাঠ করিয়া, অপস্মার-রোগীর কল্পিত রোগযন্ত্রণার উপশম করিতে পারে ; গধুচিত্তের শোকবেদনাও সেইরূপ একবার চক্ষু বুঝিয়া, নষ্ট করিতে পারা যায়। লঘুচিত্ত বিরধীর শোক কদাপি সৰ্ব্বগ্রাসী হয় না। সে শোকে মৰ্ম্মের অস্তস্তলকে আলোড়িত করিয়া তোলে না । তাহাদের হালকা প্রেমের হালকা বিচ্ছেদে, হালকা শোকই জাগিয়া উঠে। আর সে শোকের আঘাতে জীবনমৃত্যুর গভীর ও জটিল সমস্তাকে জাগাইরা তুলিতে পারে না । অক্ষয়কুমারের প্রেম ० हीtउल