ፅጝ সংখ্যা J মাগুলি প্রদান করেন । লবণ প্রস্তুত করিতে গেলে, সমুদ্রের জল চাই ; সুতরাং সকল পোকানই ( লবণ তৈয়ার করা ) সমুদ্রের কিনারে হয় । এখন এ সব স্থান জঙ্গলপূর্ণ, হিংস্ৰক জন্তুর আবাসভূমি ; ঐ সামান্ত অতরিক্ত পুলিশদল ব্যতীত পাহারা দিবার অপর কেহ নাই, এই দলকে টাকায় বশীভুত করিয়া । ত্ৰিশ হাজার মণ করিব বলিয়া পঞ্চাশ হাজার মণ ভৈয়ার” করিয়; লছলে, কে আমার প্রতিরোধ করিবে ? সরকারকে বিশ হাজার মণ তৈয়ার করিবার জন্ত মামুল ফাকি দিলাম, অনেক টাকার মুবিধা হইয়া গেল । জগদীশবাবুর বাঙ্গালী নামের উপর কি যত্ন ছিল এবং কেমন করিয়া তিনি পুলিশদলের উপর ডিসিপ্লিন্ করিতেন, তাহার একটা উদাহরণ দিতেছি— নীলগিরি জঙ্গলের ভিতর, গড়জাত এলাকার একটা পুলিশ ষ্টেশনে ঘর নিৰ্ম্মাণ হইতেছিল, জগদীশবাবু ঐ ঘয়ট দেখিতে যান। ঘয়টার দরজা জানাল ৩খন কিছুই বন্ধ নাহ, চতুদ্দিকু খোলা ছিল । জগদীশবাবুকে এ ধরে রাত্রে বাস করতে হয় । সামান্ত একটা থ।টয়ায়, তিনি শয্যা করিয়া শয়ন করিলেন । রাত্রি যখন গভীর হইল, চতুদিকে, ব্যাঘ্ৰ, ভলুক এবং অপরাপর জন্তুর ভীষণ শব্দ শুনিতে পাওয়া গেল । জগদীশ বাবুর নারায়ণ বলিয়া একটা বাঙ্গালী খান্দামা, ভীষণ শব্দ শুনিয়া ভয়ে সেই প্রভুর খাটিয়ার নিম্নে গিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিল। ( discipline) * প্রহরী বলিয়া উঠিল— “দেখে, বাঙ্গালিকা কাম, পুলিস সাহেব নি ষাত হয়, এ বাঙ্গাল উন্কে খাটিয়াক তলেমে যাকে ঘুসা।” এ কথাগুলি, জগদীশ বাবুর কর্ণে গেল, স্বৰ্গীয় জগদীশনাথ রায় 8ՀԳ তখন তিনি সহসা উঠিয়া, সে অন্ধকারে একাকী ষ্টেশন-ঘরের চরি পাশ্বে অকুতোভয়ে বেড়াইয়া আসিলেন এত নিকটে জন্তুগুল চিৎকার করিতেছিল যে, প্রদক্ষিণের সময় কোন না কোন একটা জন্তু তাহার সম্মুখে আদিতে পরিত, কেহ জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, এ আকারণ বিপদ আহবান কয়! কেন ? তিনি বাঙ্গালী, পাহারাওয়ালা বাঙ্গালী শব্দ ব্যবহার করিয়াছে, মুতরাং বাঙ্গালী নামের গৌরব-রক্ষার্থে এবং তঁ৷হার অধীনস্থ ফোসের ( force ) ঠিক চাল বজায় রাখিবtর sদ্য, তিনি বিপদকে অগ্রাহ করিয়া, নিজ মহত্বের পরিচয় দিলেন । ব:নেশ্বয়ে একটা দৈব ঘটনার কথা উল্লেখ করি, মেজিষ্ট্রেট-কলেক্টর নরম্যান্ সাহেবের বাটতে একদিন নিমন্ত্রিত হইয়া জগদীশ বাবু য।'ন ( যাইবার সময় কfথবরটান স্থারপারেন্স বাড়ীর তৈয়ারি একজোড় জুতা ( shoes ) পরিতেছিলেন, সহসা তাহ খুলিয়া ফেলিয়া মন্টিন কোম্পানীর প্রস্তুত একজোড়া ব্যালCN131o, qū ( Balmoral boot) পরিলেন । পরিবার সময় তাহার স্ত্রীকে বলিলেন—“দেখ, রাত্রে আলিব, ‘সু’র পরিবর্তে একজোড়া বুট পর ভাল ।” স্ত্রী জিজ্ঞাসা কয়িলেল— “কেন, আনিতে গাড়ি যাইবে না ?” তিনি বলিলেন—“দিবসে দু’টা ঘোড়া অধিক থাটিয়াছে, রাত্রে জুতিবার আবগুক নাই, বরং সর্দার বেহারাটা একটা লণ্ঠন লইয়া যেন যায়, তাছায় বন্দোবস্ত করিয়া দিও।” রাত্রি দুইটার সময় যখন মজলিস ভাঙ্গিয়াছে, তখন জগদীশ বাবু বেছারার তত্ত্ব লইলেন। সে ব্যাট স্বৰে স্বচ্ছদে সাহেবের বেছারার ঘরে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।