পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা । ] হইতে প্রতিমা-পূজা, তন্ত্র মন্ত্ৰ নিৰ্ব্বাণ-মুক্তি গ্রহণ করিয়াছে, আরও কত কি গ্রহণ করিয়াছে। র্যাহার। বুদ্ধ প্রচারিত দার্শনিক মত আলোচনা করিয়াছেন, র্যাহার তত্বাক্ষসন্ধান দ্বার পৌদ্ধধর্মের ধারাবাহিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করিয়া বুঝিয়াছেন, তাহার। কখনই ঐক্রুপ বিদেশী মতে মত দিতে পাfরবেন না। যদি বৌদ্ধধর্মের প্রতিমাপূজার চমকে হিন্দুর মন অtৱষ্ট হইয়া থাকে, নিৰ্ব্বাণের জন্ত লালায়িত হইয়। হিন্দু যদি সেই দিকে ধাবিত হইয়া থাকে, তবে ঘাহাতে সত্য আছে, ভক্তি আছে, জ্ঞান আছে, নিৰ্ব্বাণ আছে, আবার অকাট্য মুক্তি দ্বার। স্থাপিত জন্মান্তরবাদ অাছে, fহপুর পক্ষে একেবারে সেই সত্য ধৰ্ম্মের অ;শ্রী গ্রহণ করা কৰ্ত্ত 1্য ছিল । ত{হ। না কfরয়। লেীদ্বধয়ের সমস্ত মাগ মসল। লইয়। লেীa প্রণালীতে মন্দির রচনা করিয়৷ ও{হার হিন্দুমন্দির এই নামকরণ কfরয়। লাভ কি ? বুদ্ধদেবের প্রচারিত ধৰ্ম্মে যাদ্বার বিশ্বাস আছে, বুদ্ধদেবের উপরে ও তাগার ভক্তি আছে, ইহাই স্বাভাবিক, ইহাহ খকুf৩র অচ্ছেদ্য নিয়ম । বুদ্ধদেব’ক ভক্তি না করিয়। তাহার প্রচারিত ধৰ্ম্মে অমুর ক্র হইয়। বেমালুম তাহ নিজের করিয়া লইলাম, ইহা কোন নিয়মের असौम, ८ कtन ७# चtद्रां श्शtद्र श्रद९lद्र १, বুঝিতে পারি না। আমি হিন্দু, আমি কোন ধাৰ্ম্মিক মুলগমানকে, কোন ধাৰ্ম্মিক খ্ৰীষ্টয়ানকে ভক্তি করিতে পারি ; কিন্তু র্তাহার অবগম্বিত ধৰ্ম্ম-পুস্তকের বিধি-নিষেধ মানিয়া চলিতে পারি না। তাছা করিলে উৎকল-প্রসঙ্গে । 88న ত আর হিন্দু থাকিব না, হয় মুসলমান হুইব, নয় খ্ৰীষ্টিয়ান হুইব । পক্ষত্তরে, মুসলমান এবং খ্ৰীষ্টিয়ান ও কোন ধাৰ্ম্মিক হিন্দুকে তfক্তর চক্ষে দেখিতে পারেন ; কিন্তু হিন্দুশাস্ত্রের আদিষ্ট নিয়ম প্রতিপাগন করিতে পারেন ন; । এষ্ট জঙ্গই আমর। বৌদ্ধধৰ্ম্মকে ন মানিয়া ও বুদ্ধদেবকে ভগবানের অবতার বলিয়। স্বীকার করিয়াfছ, নাস্তিক চূড়ামণি চাৰ্ব্বককে বৃহস্পতির অবতার বলিয়া অঙ্গীকার করিয়াছি । এই পাশ্চাত্য ভাবের খরস্রোতে আপ্লাবিত দেশে ও কালে অবস্থান করিয়া ও যখন উদ্ধানের শোভা-বৰ্দ্ধক মোরগ ফুলে অধ্যাপি হিন্দু দেবতার পূজা করেন না, ও দেবভোগে পল। যুর প্রয়োগ করেন না, তখন সেই আদিযুগে শাস্ত্রবিশ্বাসী হিন্দু কি কaিয়। বৌদ্ধধৰ্ম্ম আত্মসাৎ করিলেন, বুঝি না। আর বুঝি না, যে হিন্দু বিধবা লোগে শোকে ক্লিষ্ট হইয়ও নিজে পাক করিয়া লয়েন, একবেল। দুটি অন্ন ভোজন করিয়। দীর্ঘ দিব। রজনী কাটাইয় দেন, পুরীগমনের পথে পূৰ্ব্বলিনেও যিনি সেই তাবে আহার করিরাছেন, সেই সদাচারমিরত। হিন্দুবিধব। আজ পুরীক্ষেত্রে অর্থাৎ বুদ্ধক্ষেত্রে অসিয়াই সমস্ত সদাচর ভুলিয়া গেলেন, পুরুষোত্তম বুদ্ধদেবের দারুময় ই মূৰ্ব অবলোকন করিয়া জাতিভেদ ভুলিয়া গেলেন, স্বয়ান মুখে অগন্দিগ্ধ চিত্তে সকল বর্ণের স্পষ্ট, উচ্ছিষ্ট প্রদত্ত বুদ্ধদেবের প্রসাদ দিনের ভিতরে বহুবার ভক্ষণ করিতে লাগিলেন । অন্ত কোন বৌদ্ধতীর্থে এইরূপ আচার আছে * কি না জানি না, শুনি নাই, কল্পনার চক্ষেও