পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

858 to. আগমনবৃত্তস্তি জ্ঞাপন করিলেন । গৌর স্বীয় ভবনের একটি ঘর পরমানন্দের জষ্ঠ নির্দিষ্ট করিয়া দিলেন । পুরুষোত্তম আচার্য্য নামক এক ব্রাঙ্গণ নবদ্বীপে গৌরের একজন বিশিষ্ট ভক্ত ছিলেন । গৌরের সন্ন্যাসগ্রহণের পরে তিনিও সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়াছিলেন । সন্ন্যাস গ্রহণ কালে তিনি স্বরূপ দামোদর নাম গ্রহণ করেন । গেীর তীর্থ ভ্রমণ করিয়া নীলাচলে প্রত্যাগত হইলে স্বরূপ প্রেমবিহবল অবস্থায় তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। গেীর পরম সমাদরে তাহাকে গ্রহণ করিয়া, আপনার সহিত বাস করিবার অনুমতি দিলেন । স্বরূপ অনতিকলিমধ্যেই গৌরের প্রধান সেবক রূপে পরিগণিত হইলেন । কেহ কোনও সঙ্গীত অথবা কবিতা রচনা করিয়া গৌরকে দেখাইতে আসিলে স্বরূপ তাহ পরীক্ষা করিয়া দিতেন । ঠাক্কার অভিমত হইলে তবে তাহ গেীরসকাশে পঠিত ও গীত হইতে পায়িত । o কতিপয় দি বসান্তে গাবিন্দ নামক শূদ্রংশীয় এক ব্যক্তি গেীরের নিকট উপস্থিত হইয়া কহিল “আমি ঈশ্বরপুরীর ভৃত্য ছিলাম। পুরী মৃত্যুকালে আমাকে তোমার সেবা করিবার আদেশ দিয়া গিয়াছেন, আমাকে গ্রহণ কর।” গুরুর সেবকের সেবা গ্ৰহণ করিতে গৌর প্রথমে ইতস্তত: করিয়াছিলেন ; পরিশেষে গুরুর আদেশ পালনার্থ * গোবিন্দকে সেবকরূপে গ্রহণ করিতে স্বীকৃত হইলেন to s. - o «qकमिन धूकून लङ श्रांनिब्रां नश्वांप्त निग * *ानन डांबठी नांबक थकछन विनिटे उड क्रैिक्श्ंनि [ ১৩শ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ গেীরের সহিত সাক্ষাতের অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়াছেন । গেীর অনতিবিলম্বে ভারতীর সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্তু গমন করিয়া দেখিলেন, ভারতী মৃগচৰ্ম্ম পরিধান করিয়া আছেন । বৈষ্ণবের চৰ্ম্মাম্বর দেখিয়া গেীর বিরক্ত হইলেন এবং মুকুনাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন : “ভারতী গোসাঞি কোথার ?” মুকুন্দ ভারতীকে ইঙ্গিতে দেখাইয়া দিলেন । গেীর কহিলেন “তোমার কথা অসম্ভব ! ভারতী কেন চৰ্ম্ম পরিধান করিবেন ?” ভারতীর অমুতাপ উদ্রিক্ত হইল এবং তিনি চম্মাশ্বর বর্জন করিয়া বহিবাস গ্রহণ করিলেন। তদবধি ব্ৰহ্মানন্দ ভারতী গৌরের সহিত একত্রাবস্থান করিতে লাগিলেন । দুইশত ভক্ত নবদ্বীপ হইতে গৌরের দর্শনকাজক্ষায় অসিয়াছিলেন । র্তাহীদের আগমনের সংবাদ পাইয় গেীয় স্বরূপ দামোদর ও গোবিন্দকে তাহাদিগকে প্রত্যুদগমন করিয়া আনিতে প্রেরণ করিলেন । অদ্বৈতাচাৰ্য্য, শ্ৰীবাস, বক্রেশ্বয় বিপ্তানিধি, গদাধর পণ্ডিত, আচাৰ্য্যরত্ন, পুরন্দর আচার্য্য, গঙ্গাদাস পণ্ডিত, শঙ্কর পণ্ডিত, মুরারি গুপ্ত, নারায়ণ পণ্ডিত, হরিদাস ঠাকুর, হরি ভট্ট, শ্ৰীবৃসিংহনন্দ, বাসুদেব দত্ত, শিবানন্দ সেন, গোবিনা ঘোষ, মাধব ঘোষ, বাসুদেব ঘোষ, রাঘব পণ্ডিত, শ্ৰীমান্‌ পণ্ডিত, শ্ৰীকান্ত, শ্ৰীধর, বল্লভ সেন, পুরুষোত্তম সঞ্জয়, কুলীনগ্রামবাসী সত্যরাজ খান, রামানন্দ বস্থ, মুকুন্দ দাস, নরহরি, রঘুনন্দন, চিরঞ্জাব, স্থলোচন প্রভৃতি ভক্তগণ পুরুষোত্তমে প্রবেশ করিয়া জগন্নাথের মঞ্জিরাভিমুখে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। স্বরূপ ও গোবিন্দ্র বাইয়া প্রথমে অদ্বৈতঃসর্ঘ্যের