ges তাঁদের দিকে চেয়ে ঔরংজীবকে ক্ষমা কয় ।” { সাজাহান শেষ দৃশ্য ] মনে পড়ে রাণা প্রতাপে ইরার সন্ধা-আবাহন “কি গরিমাময় দৃশ্য ! স্বৰ্য্য অস্ত যাচ্ছে! সমস্ত আকাশে আর কেউ নাই, এক স্বৰ্য্য ! চার প্রহর কাল আকাশের মরুভূমি বিচরণ করে এখন অগ্নিময় বর্ণে বিশ্বজগৎ প্লাবিত করে' অস্ত যাচ্ছে । যেমন গরিমায় উঠেছিল তেমনি গরিমায় নেমে যাচ্ছে । ঐ অস্ত গেল । আকাশের পীতাভা ক্রমে ধূসরে পরিণত হচ্ছে । আর যেন দেবfরতির জন্ত সন্ধ্য সেই অস্তগামী সুর্য্যের দিকে শূন্ত প্রেক্ষণে চাহিতে চাহিতে ধীরপদবিক্ষেপে বিশ্বমন্দিরে প্রবেশ কচ্ছে । কম্র সন্ধা ! প্রিরসখি ! কি চিন্তু তোমার ও হৃদয়ে ? কি গভীর নৈরাশ্য তোমার অস্তরে ? কেন এত মলিন ? এত নীরব এত কাতর ?” ( প্রথম অঙ্ক, ২য় দৃশ্য ] দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকের ভাষা এইরূপ কবিত্বময় । তিনি কদাচিৎ সমাসবহল ভাষা ব্যবহার করিয়াছেন । কিন্তু ছোট ছোট কথাগুলিতে তিনি যেরূপ নিপুণতার সহিত মানবের সমস্ত ভাব প্রকাশ করিতে সমর্থ হক্টরছেন তাঙ্ক বাস্তবিকই বিস্ময়কর। ভাষার এই তেজ বঙ্গসাহিত্যে এক বিবেকানন্দ ব্যতীত আর কেহই প্রকাশ করিতে পারেন নাই। দ্বিজেন্দ্রলালের এই ভাষার উপর অসীম অধিকার তাহার বৈচিত্র্য ।” হাসির গানে ও হালির কবিতার তিনি যদৃচ্ছক্রমে লেখনী সঞ্চালন করিয়াছেন । কত অপরূপ মিল করিয়াছেন, কিন্তু কোনও খানে उांबांब्र छछ उांबtरु चांफ़ठे झहे८ठ श्ञ्च नाहे । র্তাহার নাটকগুলিতেও অনাড়ম্বর ওজস্বিনী বঙ্গদর্শন ১৩শ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩২• ভাষার প্রবাহ। রাজপুতলৈষ্টগণের যুদ্ধোৎসাহবাণী, সাজtহানের উন্মত্ত প্ৰলাপ, মুরজাহানের কুটিল বাক্য, সব এই ভাষার বিচিত্র ভঙ্গীতে প্রকটিত হইয়াছে । দ্বিজেন্দ্রলাল উপমার উপর উপমা পূীভূত করেন—“তিনি এ জাতির মধ্যে এসেছিলেন—একটা দৈবশক্তির মত, একটা আকাশের বজ্রসম্পাত, একটা পৃথিবীর ভূমিকম্প, একট। সমুদ্রের জলোচ্ছ,সি [ষেবার-পতন, ১ম অঙ্ক ৩য় দৃশ্য ] “ঝটিকাৰিক্ষুব্ধ নৈশ সমুদ্রের উপর প্রভাতহুর্য্যের মত, ঘনকৃষ্ণমেঘাস্তরিত স্থির নীল আকাশের মহ, দুঃখের উপর করুণার মত—এ কি মূৰ্ত্তি ! একটা সৌন্দর্য্য ! একটা গরিমা ! একটা বিস্ময় ! ( মেবার-পতন—১ম অঙ্ক ৭ম দৃশ্য ] দ্বিজেন্দ্রলালের সমালোচনার শক্তি র্তাহার “কালিদাস ও ভবভূতি” নামক প্রবন্ধে প্র কটিত । এই দীর্ঘ প্রবন্ধটি ধারাবাহিকরূপে ‘সাহিত্যে’ প্রকাশিত হয় । তিনি যে অভিমত প্রকাশ করিয়াছেন তাঁহাতে সকলে সৰ্ব্বাংশে সার না দিলেও, তিনি যে নিপুণ আলোচনা করিয়াছেন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই । জীবনের শেষভাগে তাছার স্বাস্থ্যভঙ্গ হইয়াছিল । তিনি কৰ্ম্ম হইতে দীর্ঘ অবসর গ্রহণ করিয়াছিলেন। জীবনের শেব পৰ্য্যস্ত তিনি সাহিত্য-সাধনায় রত ছিলেন। ‘ভারতবর্ষ’ নামক মালিক-পত্রের সম্পাদনভার তিনি গ্রহণ করেন । তাহাকে বহু পরিশ্রমও কল্লিভে হইয়াছিল! মৃত্যুর দিন লিখিভে লিখিভে সছল ক্লান্ত। তাহার পরই তাহার সংজ্ঞালোপ হয়। রোগযন্ত্রণা সহ্য না করিয়া সাহিত্যলোচনা করিতে করিতে দ্বিজেন্দ্রলাল আময়ধামে গমন করিয়াছেন ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।