৭ম সংখ্য ] , أو উৎপলার গা শিহরিয়া উঠিল, তাহার হৃদয়ে যেন সহসা নিমেষস্থায়ী শূচীবেধ-যন্ত্রণ অনুভূত হইল। সেই “চির-উপকৃত।” রূপলী যুবতী মঞ্জুল ! “হা, মধুলা। মধুলা আমার কারামুক্তির জন্ত মহারাজী কারুবকীকে ধরিয়াছিল, দেবীর আদেশে আমি নিস্কৃতি পাইয়াছি।” “তুমি বাস। আমি কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। সব কথা বল। মধুলা কেন এত কল্পিল ?” প্রমীত পালঙ্কে বসিলেন, হাত ধরিয়া উৎপলাকে ও বসাইলেন। তখন অসঙ্গের নিকট শ্রুত সকল কথা স্বীর কাছে বিবৃত করিলেন । উৎপলা বলিলেন ;– “তুমি সেদিন তাহার গুচে যাইবার পূৰ্ব্বে-বসন্তোৎসবের পূৰ্ব্বেই তবে মধুলা মহারাষ্ট্রীকে ধরিয়াছিল । তখন ত তোমার সঙ্গে তাছার আলাপ-পরিচয় সাক্ষাৎ ও হল্প नाहे !” “সেই বৃষ্টি-দুৰ্য্যোগময় রাত্ৰিতে মঞ্জুলা আমার পরিচয় পাইয়াছিল ।” “সেদিন তুমি ষে তাছার সামান্ত উপকার করিয়াছিলে, তাই মনে করিয়াই কি মধুলা তোমার এই মহকুপকার-তোমার মানসন্ত্রম রক্ষা করিয়াছে ?” “হা, নিশ্চয়ই তাই ।” “ভারপর সে দিন তাহার আমন্ত্রণে তুমি জাহার গৃহে গিয়াছিলে, সে দিনও কি তাহার কথাবাৰ্ত্ত আলাপ প্রসঙ্গে সে যে তোমার জন্ত এত করিয়াছে তাহা কিছুই বুঝিতে পার নাই ?” “किकृहे न । मङ्ण cब आमाब्र गरे উৎপল ৫৩৭ মহাপ্রত্যুপকার করিয়ছে, আমরা এখন বুঝিতে পারিতেছি, তাহা আমরা 'cकांन মতে জানিতে না পারি, তাঁহাই তাহার । ইচ্ছ।” - উৎপলার চিত্ত বিগলিত হইল। অমূলক সন্দেহ অমুদার ঈর্ষার স্নান-ছায় তাহার অন্তর হইতে বিদূরিত হইল। এমন গুপ্ত পরমোপকারিণী রমণীকে সন্দেহ ? স্নেহ, প্রীতি, কৃতজ্ঞতা, অকৃত্রিম, সৌহার্দ্যে উৎপলার হৃদয় উচ্ছ,সিত হইয়া উঠিল। আবেগময় হৃদয়ে উৎপল বললেন – “আমি মঞ্জুলার সঙ্গে দেখা করিব।” “আমি তোমার অনুমতির প্রতীক্ষা করিতেছি, আমি এখনি যাইব ।’ “অনুমতি ? এখন হিত কারিণী পরম সুহৃদের কাছে যাইবে, তাছার জন্ত আমার অনুমতি ? আমরা যে চিরদিনের জন্ত মঞ্জুলার নিকট বিক্রীত । যখন তোমার ইচ্ছা, তখনই যাইবে । তবে, আজ এখন আমি তোমার সঙ্গে যাইব ।” “তুমি আজ না-ই গেলে, কখনো যাও নাই। পরে আর এক দিন বাইও, আজ আমি যাই ।” “যাও, আমার কথা বলিও । আমি যে চিরকাল তাহার নিকট বাধা রছিলাম, তাহা বলিও। একটুকু বিলম্ব কর, আমি মধুলার জন্য কি পাঠাইব ? কিছু ফুলমাল পাঠাইব, কে লইয়া যাইবে ? তোমার সঙ্গে কে যাইবে ?” "বাদল বাইবে, আরও লুন কেহ যায়, তুমি সব ঠিকঠাক কর।” উৎপল মাধবীকে ভাকিয়৷ তাড়াতাড়ি
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।