688 প্রথমসম্ভাষণে আমন্ত্রণকারিণী উপকৃত মঞ্জুলা তদপেক্ষাও সুন্দরী, আর আজ সম্পূর্ণ নিরাভরণা শুধু উৎপলার উপহারমালাধারিণী পরমহিতকারিণী মঞ্জুলার রূপ পমতের চক্ষে অতুলনীয় বলিয়া প্রতিভাত হইল । কি রূপ! মুগ্ধ প্রমীত নিম্পন্দ নেত্রে চাহিয়া রহিলেন । মঞ্জুলার মধুর উক্তির উত্তর দিতে ভুলিয়া গেলেন । মঞ্জুলার আরক্ত মুখ নত, রক্তাভ হইয়া উঠিল । চঞ্চল অপর কক্ষ হইতে ফুলমাল্যচন্দনগন্ধচুর্ণ-পরিপূর্ণ একখানি থালা লইয়া আসিল । কম্পিত হস্তে সেই থtলা প্রমীতের সম্মুখে স্থাপন করিয়া মধুলা বলিল ; – “আমার এই সামান্ত পূজা--” তখন প্রমীতের চমক ভাঙ্গিল, ষ্টাচার মুখও আর ক্স হইয়া উঠিল । “পূজা ! তোমার নিকট মে চির-বি ফুী ৩ !” প্রমীত থালা হইতে একটি মালা গুলিয়া গলায় পরিলেন, চন্দনগন্ধচুর্ণ গায়ে প্র ক্ষপ করিলেন ; বলিলেন : 찍 11 বঙ্গদর্শন { ১৩শ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩২০
- রাজাধিরাজের জন্মোৎসবে আমারও উপস্থিত হইতে হইবে । রাত্রি হইয়াছে, আমি বিgtয় প্রার্থনা করি। আমার স্ত্রী তোমার প্রতীক্ষায় উৎকণ্ঠায় দিন কাটাইবেন ।
“আমি শীঘ্রই তাহাকে দর্শন করিয়া ধন্ত হইব ।” মঞ্জুল উঠিয়া দাড়াইল । প্রণত হইয়। বিদায়স্থচক অভিবনান জানাই ল। তারপর চঞ্চল, চিত্রা এবং অষ্টান্ত পরিচারিকাসহ বহিদ্বার পর্য্যস্ত প্রমীতের অনুগমন করিল । পথে চলিতে চলিতে বার বার প্রমীতের মনে হইল, কেন আজ এই আত্মবিস্মৃতি ঘটিল। মধুলা কি মনে করিবে ? মধুলা পরমরূপবতী ? ভাল, তাহাতে আমার কি ? মামুষের চিত্ত যখন প্রথম বিচলিত হয়, কারণ জানি ে পারিলে ও তাঃ। সহজে স্বীকার কfরতে চাচ্ছে না । রক্ষাকবচ, অমোঘ বিমের বুঝিতে পারে ? জাগ্রত ক ও ! আপ দ্য পুর গুপ্ত প্রভাব প্রথমে কে ( ক্রমশ ) ক্রীভবানীচরণ ঘোষ । বৈদিক সাধনার আভাস চতুর্থ পরিচ্ছেদ অব্যক্তশরীর আনন্দময় ঈশ্বর হইতে ব্যক্ত জগতের স্বষ্টি । প্রজাপতিদেহ রূপিণী অব্যাকৃত প্রকৃতি হইতে নিখিল প্রকৃতিবিকারের উৎপত্তি। প্রকৃতির এই বিকৃতিকে সাধারণভাবে জড়-স্বষ্টি বলা হইয়া থাকে। পরস্তু একান্ত জড় বা চৈতন্তবিহীন কোন পদার্থের অস্তিত্ব সম্ভবে না । ব্যাখ্যার সৌকর্য্যার্থই শাস্ত্রব্যাখ্যাতৃগণ জড় ও চৈতন্তের