পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণতত্ত্ব ব্রাহ্মমত ও বৈষ্ণবসিদ্ধান্ত —অবতারবাদ ( আশ্বিনের বঙ্গদর্শনের ৫৪৪ পৃষ্ঠার অনুবৃত্তি ) ব্রাহ্মসমাজের অভাবাত্মক বা ‘না’-বাচক মতের সঙ্গে বৈষ্ণবসিদ্ধাস্তের কোনও কোনও স্থলে অতিশর গুরুতর বিরোধ আছে। ব্রাহ্মগণ বলেন—“ঈশ্বরের অবতার হয় নাই ও হইতে পারে না ’ ব্রহ্মসমাজ অবতার মানেন না। বৈষ্ণবসিদ্ধাস্ত ও বৈষ্ণবপাধন। অবতারুবাদের সঙ্গে অতি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধে জমাবদ্ধ। ঈশ্বরের অবতার স্বীকার না করিলে, বৈঞ্চবসিদ্ধাস্তের বিশেষত্ব ও বৈষ্ণবসাধনার অনুপম বিচিত্রত, এই সকলই নষ্ট হইয়া যায় । অতএব বৈষ্ণবসিদ্ধাস্ত ও বৈষ্ণবসাধন অবলম্বন করিলে ব্ৰাহ্মমত ও ব্ৰাহ্মসাধন বর্জন করিতেই হয় । আপাততঃ এইরূপই মনে হয় বটে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বর্জন করিতে হয় না, অতিক্রম কল্পিতে হয় মাত্র। “ঈশ্বরের অবতার হয় নাই ও হয় না”—এট। একটা অভাবাত্মক বা 'না'-বাচক কথা । যাহারা কোনও অতিপ্রাকৃত শাস্ত্রপ্রামাণ্য স্বীকার করেন, তাহদের অভাবাত্মক বা ‘ন-বাচক মতের একটা প্রবল ভিত্তি আছে । খৃষ্টীয়ান বলেন,— “যিশুধুষ্টের আশ্রয়লাভ ব্যতীত জীবের মুক্তির আর অন্ত পথ নাই ।” এটা একটা ‘ন”বাচক খৃষ্টীয়ানী মত। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হইতে খৃষ্টীয়ানু সাধক এই পৰ্য্যস্ত বলিতে

  • ां८द्रन cष-‘‘ञांमि इंठेविग्न *दिब्रां भूख

হইরাছি।” ইহার বেশি তার নিজের অভিজ্ঞতা নাই ও থাকিতেই পারে না। অথচ তিনি যখন বলেন যে, এ পথ কেবল আমার পথ নয়, সকলেয়ই এই এক পথ, মুক্তির আর দ্বিতীয় পন্থা নাই ; তখন তিনি একটা সৰ্ব্বজ্ঞতার দাবী করেন । এই দাবী তার নিজের নাই, কিন্তু বাইযেলের অাছে । কারণ বাইবেল ঈশ্বরের বাণী । আর ঈশ্বর সর্বজ্ঞ বলিরা, তার বাণীও সৰ্ব্বজ্ঞতার দাবী করিতে পারে । ঈশ্বর সকল জানেন বলিয়াই, মুক্তির যে আর পথ নাই, ইহাও জানেন । বাইবেল এই জ্ঞানই প্রচার করিতেছে । এইরূপে মুসলমান ধৰ্ম্মের না’-বাচক মত বা উপদেশেরও একটা অতি প্রাকৃত শাস্ত্র প্রামাণ্য আছে । সে শাস্ত্র প্রামাণ্য সত্য কি মিথ্যা, এ বিচার এখানে উঠে না । এখানকার কথা কেবল এই ষে র্যারা অতি প্রাকৃত শাস্ত্রপ্রামাণ্য মানেন, তাদের পক্ষে সৰ্ব্বজ্ঞতার দাৰী না করিরাও, সেই সৰ্ব্বজ্ঞ ও অভ্রান্ত শাস্ত্রের বলে, যাহা নিজের জানেন না, তার সম্বন্ধেও দৃঢ় ভাবে একটা অস্তি-নাস্তি মত ব্যক্ত করিতে পারেন । খৃষ্টীয়ান বা মুসলমান প্রভৃতি ধর্শ্বের ‘না’-বাচক মতের এইজন্স একটা জোর আছে । কিন্তু ব্ৰাহ্মগণ কোনও অতিপ্রাকৃত শাস্ত্র মানেন না । আত্ম প্রত্যয় বা স্বাক্ষভুক্তিই ইহাদের নিকটে সত্যের একমাত্র মুখ্য