পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম সংখ্যা ] لار ঈশ্বর নিরাকার, চৈতন্যস্বরূপ--ইহা সমাজের একটা ই-বাচক .সিদ্ধান্ত । আর মামুলী ব্রাহ্মমতে এই জন্তই অবতীরবাদ নিরাকৃত হইয়াছে । কিন্তু জীবাত্মাও ত নিরাকার, চৈতন্যস্বরূপ ; অথচ এই জীবাত্মা যখন দেহ ধারণ করে, তখন তার নিরা কারত্ব ও চৈতন্যস্বরূপ দু’এর কোনটাই নষ্ট হইয়া ধায় না । অবতীর্ণ ঈশ্বর দেহ ধারণ করেন বলিয়া, র্তারই নিরাকারত্বের ও চৈতন্তস্বরূপের ব্যাঘাত জন্মিবে কেন ? জীবাত্মা যখন দেহবদ্ধ হইয়া ও আপনার স্বরূপভ্রষ্ট হন না, তবে পরমাত্মাই বা অবতার স্বীকায় করিলে স্বরূপভ্ৰষ্ট হইবেন কেন ? যদি বল জীবাত্মা দেহধারণ করিয়া, এই দেহের ও এই সকল ইন্দ্রিয়ের অধীন এবং এই हेक्षिरब्रव्र अशैनड निक्कन बरफ़्द्र निबtभद्र অধীন হইয় পড়ে, অবতার স্বীকার করিলে পরমাত্মাকেও এই সকল অধীনতা গ্রহণ করিতে হয়, আর তাহা হইলে তায় সৰ্ব্বতাঁতত্ব সর্বনিম্নস্তৃত্ব ঈশিত্ব ও স্বতন্ত্রত্ব রক্ষা পায় না । তাঁহাই বা কল্পনা করিব কেন ? কারণ এই জীবাত্মাই তো সাধন প্রভাবে, জীবন্মুক্ত অবস্থায়, এই জড় জগতের সর্বপ্রকারের অধীনতা হক্টতে অব্যাহতি পাইয়া থাকে। জীবাত্মার পক্ষেই যখন এই দেহেতে থাকিয়াও দেহের অতীত হওয়া সম্ভব, পরমাত্মার পক্ষে তাহা অসম্ভব হইবে কেন ? অীর এই সকল যোগসিদ্ধিতে যদি অবিশ্বাসই বা কর, তথাপি ব্রাহ্মমতেও তো জীবাত্মাকে স্বাধীন বলিয়া থাকে । এই স্বাধীনতার অর্থই এই যে জীব ইচ্ছা করিলে আপনার রক্তমাংসের প্রেরণা ও প্রবৃত্তি শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণতত্ত্ব ○や* সকলকে পদানত করিয়া তাঁহাদের অতীত হইতে পারে । জীবাত্মাকে জড়ের নিয়মাধীন করিলে, তাষ্ঠীর আর কোনও সত্য-স্বাধীনতা থাকে না । এই স্বাধীনতা আছে বলিয়াই শরীরের সহজ ইন্দ্রিয় ও প্রবৃত্তি সকল তাহাকে যে দিকে টানে, জীব তার বিপরীত fদকে ও চলিতে পারে । আর দেহধারী হইয়াও যখন দেহের অধীন থাকা বা না থাকা জীবাত্মার স্বেচ্ছাধীন, তখন ইচ্ছাময় সৰ্ব্বশক্তিমান পকমাত্মা দেহ স্বীকার কঞ্জিরা সেই দেহের অতীত থাকিতে পারেন না, এমন বলা যায় কি ? WRSto ঈশ্বরতত্ত্বের নিরাকারত্ব বা চৈতন্তস্বরূপের কোনও ব্যাঘাত করে, এমন বলা যার না । কিন্তু ব্রাহ্মসমাজের ঈশ্বরতত্ত্বেয় সঙ্গে অবতারতত্বের ষে কেবল কোন ও সাংঘ তিক বিরোধ নাই, তাহাই নহে। প্রত্যুত এই ঈশ্বরতত্ত্ব গ্রহণ করিলে, এক আকারে না এক আকারে, অবতার তত্ত্বও মানিতেই হয়। ব্রাহ্মসমাজের ঈশ্বরতত্ত্ব অদ্বৈত তত্ত্ব । ব্ৰাহ্মসমাজের ঈশ্বর—“শাস্তং শিবং অন্ধৈ গুং” । প্রাকৃত জনে এই অদ্বৈতের একটা অসদর্থ করিতে পারে,কখনও কখনও করিয়াও থাকে, इंश खानि । छेधंद्र ७ फ्छन,-छ्हेखन दां তিনজন বা তেত্রিশ কোটিজন নহেন, কেহ এরূপও মনে করেন বটে। কিন্তু ব্ৰাহ্মসমাজেয় আচাৰ্য্যগণ কোনও দিন অদ্বৈত শব্দের এই কদৰ্থ করেন নাই । রাজা রামমোহন রায় বিশুদ্ধ বৈদাস্তিক অর্থেই ব্রহ্মোপাসনায় জৰৈs শব্দের প্রয়োগ করিতেন। রাজরা সিদ্ধান্তে ব্ৰহ্মই বিশ্বের একমাত্র সত্য ও অবতারবাদে