পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©Ꮔ e প্রতিষ্ঠার জন্ত জন্মগ্রহণ করির থাকেন । একদিক্ দিয়া এই মহাপুরুষবাদের সঙ্গে গীতার অবতারবাদের যথেষ্ট ঐক্য আছে । যদ যদা হি ধৰ্ম্মস্ত গ্লানির্ভবতি ভারত । অভু্যুথানমধৰ্ম্মস্ত তদাত্মানং স্বজাম্যহম্ ॥ পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতং। ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থীয় সম্ভবামি যুগে যুগে ॥ যুগধৰ্ম্মপ্রবর্তনই গীতার অবতারর মুখ্য প্রয়োজন। এই যুগধৰ্ম্ম-প্রবর্তনই কেশব চঞ্জের মহাপুরুষদের জন্মেরও মুখ্য হেতু । তবে গীতায় ভগবান সাঙ্গোপাঙ্গ সহকারে অবতীর্ণ হন, এ কথাও কোথাও বলেন নাই ; বৈষ্ণবগ্রন্থে ইহার উল্লেখ আছে । অতএব কেশবচক্সের প্রেরিত মহাপুরুষবদ গীতার অবতারবাদের অপেক্ষা ও বৈষ্ণবীয় অবতারবাদের বেশী নিকটে গিয়াছে। কিন্তু কেশবচন্দ্র কেবল প্রেরিত মহাপুরুষবাদের প্রচার করিয়াই ক্ষান্ত হয়েন নাই । খৃষ্টীয়ানদের লগস (Logos ) বা শব্দব্ৰহ্মবাদ পৰ্য্যস্ত প্রচার করিয়া গিয়াছেন । মামুষের চিন্তা বা ভাবের সঙ্গে তার ভাষার ষে সম্বন্ধ, পরমতত্ত্বের সঙ্গে লগসের ও সেই সম্বন্ধ । আমাদের ভাব ও চিন্তা ভাষার ভিতর দিয়া প্রকাশিত হয়, আমাদের ভাষা আবার স্বামীদের মনের ভাব ও চিত্ত হইতে, সেই ভাব ও চিস্তার আশ্রয়ে প্রকাশিত হইয়া, সেই ভাব ও চিন্তাকে ধরিরাই আপনার স্থিতি ও সার্থকতা সম্ভব করে । সেইরূপ পরমতত্ত্বও লগসের (Logos) ভিতর দিয়াই আত্ম প্রকাশ করেন। আর লগষও (Logos ) সেই তত্ব হইতে প্রস্বত হইয়া, তাহারই আশ্রয়ে প্রতিষ্ঠা ও जॉर्थकछ व्णांछ कtब्र । “दांशंर्थभिरु” निङTयूक्ल क्षुच्चाक्ाभ्य़ूनि [ ১৩শ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ হইয়া লগস এবং পরমতত্ত্ব অনাদিকাল হইতে পরস্পরের সঙ্গে বাস করেন । আর এই লগসই স্থষ্টিমূল। লগসই বিশ্বের ছাঁচ । এই লগসই সাকার হইয়া জগৎ ও জীবরূপে প্রকাশিত চন । এই লগসই অবতীর্ণ ঈশ্বর ব। যিশুখৃষ্ট । এই লগস-বাদের উপরেই খৃষ্টীয় অবতারবাদ প্রতিষ্ঠিত । এই লগসকেই ইংরেজি বাইবেলে the Word বলা হইয়াছে । In the beginning Was the Word. The Word was with God. The Word was God. ইংরেজি বাইবেল এখানে এই লগম-তত্ত্বই ব্যক্ত করিয়াছেন । এই খৃষ্টীয় লগস-তত্বের সঙ্গে বৈষ্ণবীয় রাধাকৃষ্ণতত্ত্বের সাদৃগু অতি ঘনিষ্ঠ । সে কথা যথাসময়ে ও যথাস্থানে বলিব । ব্ৰাহ্মসমাজের আচার্য্য ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র এই লগস-বাদ স্বীকার করিয়াছিলেন । যিশুখৃষ্টকে তিনি লগল বলিয়া মনে করিতেন। এমন কি তাহাকে ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র ব’লতেও কুষ্ঠিত হইতেন না । দার্শনিক অর্থে কেশবচন্দ্র খৃষ্টীয় অবতারতত্ত্বকে সত্য বলির মনে করিতেন, এ কথা বলিলেও বোধ হয়, কোনও অপরাধ হইবে না । এমন অনেক খৃষ্টীয়ান আছেন, যারা খৃষ্টীয়ান ধৰ্ম্মের মামুলী ত্রিত্ববাদ বা Trinity অস্বীকার করিরাও লগস-পদ স্বীকার করেন এবং ষিগু খৃষ্টকে ঈশ্বরের প্রেমের ও তার অন্তর্জীবনের প্রতিচ্ছবি, প্রতিমূৰ্ত্তি ও সাকার বাহপ্রকাশ বলিয়া গ্রহণ করিত্বে কুষ্ঠিত হন না। ইহাও একপ্রকারের অবতারবাদ বই আর কি ? আর কেশবচন্দ্র, ষিশেষতঃ প্রতাপচন্দ্র भधूमनाम मशनब्र, दिल शृहे८क श्रप्नकü1