&१९ যেখানে অস্ফুট থাকে, সেখানেও ইঙ্গ পরিপূর্ণভাবে আত্মস্বরূপেই থাকে। যেখানে পরিফুট হয়, সেখানেও পরিপূর্ণভাবে সেই আত্মস্বরূপেই বিদ্যমান থাকে। প্রকাশের ইতরবিশেষে তার স্বরূপের হ্রাসবৃদ্ধি হয় না। ইহাই আত্মার লক্ষণ । ইহাই জীবাত্মার লক্ষণ । ইহাই পরমাত্মারও লক্ষণ। এই জন্যই শ্রুতি বলিয়াছেন যে এই আত্ম বস্তু— “আণীনে দুরং ব্রজতি,শস্থানে যাতি সৰ্ব্বত্র ” এই শক্তিকেই ব্রহ্মের বা ঈশ্বরের যোগমায়া বলিয়াছেন। এই শক্তিপ্রভাবেই কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে, বিশেয আধারে, বিশষভাবে दछेङ्गलश्रॉन [ ১৩শ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩২০ আবিভূর্ত হইলেও, অন্য ক্ষেত্রে, অন্ত আধারে ঈশ্বরতত্ত্বের তিরোভাব হয় না । সুতরাং অবতার অঙ্গীকার করিলে ঈশ্বরের নিরা করিত্বের বা সৰ্ব্বব্যাপিত্বের কোন ও ব্যাঘাত হয় বলিয়া যে আশঙ্কা হয়, ইহা নিতান্তই অজ্ঞান কল্পনা মাত্র । ফলতঃ যতদিন নিরাকার ঈশ্বরতত্ত্ব কি ইষ্ঠা বুঝি নাই, ততদিন অবতার অসম্ভব ও অসাধ্য বলিয়া ভাবিতাম। যে পরিমাণে প্রকৃত নিরাকার তত্ত্ব কাহাকে বলে ইহা বুঝিতে পারতেছি, সেই পরিমাণে অবতারবাদের ভয়টাও কমিয়া যাইতেছে । ঐবিপিনচন্দ্র পাল । রাও বাহাদুর সর্দার সংসারচন্দ্র ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ংসারচন্দ্র বহুদিন হইতে সাংঘাতিক বহুমূত্র রোগে কষ্ট পাইতেছিলেন, কর্তব্যপরায়ণ কৰ্ম্মবীর, কিন্তু সেজন্ত রাজ্যের গুরু কৰ্ম্মভার বহন করিতে একদিনের জন্ত ও বিরত হ’ন নাই। এমন সময় গিয়াছে, যখন এই ভগ্নস্বাস্থ্য লইয়া তাহাকে দৈনিক ১৬১৭ ঘণ্ট পরিশ্রম করিতে হইয়াছে । ১৯০৭ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে আফগানিস্থানের অধিপতি আমীরের ভারতাগমন-উপলক্ষে আগ্ৰায় যে দরবার হয়—তখন আগ্ৰায় অবস্থানকালে অত্যধিক পরিশ্রমে ও অনিয়মে ংসারচন্দ্র অভ্যন্ত পীড়িত হইয় পড়েন । আগ্রা হইতে ফিরিয়া আসার পর চিকিৎসকগণের বিশেয আদেশে এবং মহারাজের আগ্রহে তিনি কিছুদিন জয়পুরের নিকটবৰ্ত্তী ‘রোড়পুরা’য় গিয়া বাস করেন । সেখানকার স্বাস্থ্যকর জলবায়ুতে এবং বিশ্রামলাভে শীঘ্রই তিনি অনেকট আরোগ্যলাভ করিলেন । র্তাহার আরোগ্যলাভ সংবাদে রাজকৰ্ম্মচারিগণ ও প্রজাবৃন্দ সকলেই আনন্দিত হইল। এই পুরাতন বিশ্বস্ত সচিবের আরোগ্যলাভে আনন্দ প্রকাশ করিবার জন্ত মহারাজ স্বয়ং
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।