©brᎸ☾ নন্দকে কহিলেন, “নিতাই, তোমাকে গৌড়দেশে যাইতে হইবে । রামদাস, গঙ্গাধর প্রভৃতি ভক্তকে সঙ্গে লইয়া তুমি তথার প্রেম ভক্তি-প্রচারের ভার গ্রহণ কর।” অতঃপর শ্ৰীবাসকে আলিঙ্গন করিয়া কহিলেন, “শ্ৰীবাস, তোমার প্রাঙ্গণ আমার নিতাविशंब्रजूमि । श्रांमि ७धंङाझ् उ५iञ्च नृङ) করিব ; কিন্তু তুমি ভিন্ন কেহ আমায় দেখিতে পাইবে না।” একখান বস্ত্র, শ্ৰীবাসের হস্তে দিয়া কহিলেন, “আমার মাতাকে এই বস্ত্র দিয়া বলিবে, র্তাহার সেবা ত্যাগ করিয়া যে আমি সন্ন্যাস গ্রহণ করিরছি, ইহাতে আমার ধৰ্ম্মনাশ হইরাছে । তাহার আজ্ঞাতেই আমি নীলাচলে আছি । মাঝে মাঝে র্তাহার চরণদর্শনাভিলাষে আমি তাহার নিকট যাই । কিন্তু তিনি দেখিতে পান না । একদিন নানাবিধ আহার্য্য প্রস্তুত করত ইষ্টদেবতাকে নিবেদন কালে আমাকে স্মরণ করিরা তিনি কাদিয়াছিলেন । আমি তাহ! জানিতে পারিরা, সেই আহাৰ্য্য ভক্ষণ করিয়া আসিয়াছিলাম । তিনি তাহা জানিতে পারেন নাই । তিনি ভাবিয়াছিলেন, বালগোপাল তাহার অল্প ভক্ষণ করিয়াছিল; তাহাকে বলিও আমিই গিয়া খাইরা আসিয়াছিলাম।” শ্ৰীখণ্ডের মুকুন্দ, নরহরি ও মুকুন্দের পুত্র রঘুনন্দন ভক্তগণের মধ্যে ছিলেন। মুকুনা ও নরহরি দুই সহোদর। গৌর হাসিতে হাসিতে মুকুনকে কহিলেন, “মুকুল, ভূমি রঘুনন্দনের পুত্র না রঘুনন্দন তোমার পুত্র ?” মুকুন্দ কহিলেন, "রঘুনন্দন হইতেই আমরা কৃষ্ণভক্তি লাভ করিয়াছি। স্বতরাং রঘুনন্দন পিতা, আমরা তাহার পুত্র ।” তখন গেীর কছিলেন, বঙ্গদর্শন [ ১৩শ বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩২০ ‘মুকুনা ছিলেন স্লেচ্ছরাজার বৈদ্য । একদিন এক ভৃত্য ম্লেচ্ছরাজার মাথার উপর এক ময়ূর-পুচ্ছের আড়ানী ধরিয়াছিল। মুকুন্দ সেই শিখিপুচ্ছ দেখিয়াই মূচ্ছিত হইয়া পড়িয়াছিলেন। মুকুনের মত ভক্ত বিরল।” কিন্তু মুকুন্দ ও রঘুনন্দনকে গৃহস্থাশ্রমে থাকির। ধৰ্ম্মসাধন করিতে গৌর আদেশ করিলেন। নরহরি তাহার নিকট থাকিবার অনুমতি প্রাপ্ত হইলেন । মুরারি গুপ্তকে আলিঙ্গন করিয়া গৌর ভক্তগণকে কছিলেন, “মুরারির ভক্তি অনন্তসুলভ। ইনি রঘুনাথমন্ত্রের উপাসক। একদিন আমি তাহাকে বারবার বলিয়। ব্ৰজেন্দ্রনন্দন কৃষ্ণের ভজনা করিড়ে মত লওয়াইলাম। কিন্তু গৃহে গিয়া কিরূপে তিনি রঘুনাথের সেবা ত্যাগ করবেন, ইহা ভাবিতে ভাবিতে পাগলের মত হইলেন । সমস্ত রাত্রি কাদিতে কঁাদিতে গেল,—পরদিন প্রত্যুষে আমার নিকট আসিয়া কহিলেন, “আমি রঘুনাথের চরণে মাথা বেচিয়াছি । তাহ আর ফিরিয়া লইতে পারিতেছি না । কিন্তু তোমার ও আজ্ঞা লঙ্ঘন করিব কিরূপে ? তুমি দর করির এইরূপ কর—যেন আমি এখন তোমার সম্মুখে মরিয়া এই দ্বন্দ্বের হাত হইতে নিষ্কৃতি পাই।” এই ঐকান্তিকী ভীক্ত দেখিয়৷ আমি পরম পরিতুষ্ট হইরা কহিলাম, “গুপ্ত, তোমার ভজনই সার্থক। প্রভুচরণে তোমারই মত দৃঢ়প্রতি প্রভুর গ্রাহ। প্রভু যদি পদ ছাড়াইয়া নিতে যান, তবু সে পদ ছাড়িয়া দিতে সেবক পারে না । আমি পরীক্ষা করিবার জন্তই তোমাকে রঘুনাথমন্ত্র ত্যাগ করিতে বলিরাছিলাম। তুমি সাক্ষাৎ হনুমান—তুমি
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।