পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

راس6xb লিথিয়াছিলেন । গৌরের রামকেলি অবস্থানকালে একদিন দুই ভ্ৰাতায় জাসিয়া তাহার চরণে প্রণত হইলেন, এবং নানা প্রকার দৈন্ত প্রকাশ করিয়া তাহার কৃপাভিক্ষণ কল্পিলেন । সাকর নানাবিধ স্তব করিয়া কহিলেন— ম্লেচ্ছজাতি ম্লেচ্ছসেবী কল্পি স্লেচ্ছ কৰ্ম্ম গো-ব্রাহ্মণ-দ্রোহী সঙ্গে আমার সঙ্গম । মোর কৰ্ম্ম মোর হাতে গলার বাধিরা, কুবিযর বিস্তীগর্ভে দিরাছে ফেলিয়া । অামা উদ্ধারিতে যদি দেখাও নিজ বল, পতিতপাবন নাম তবে সে সকল । 한5 - শুনি মহাপ্রভু কহেন, শুন দবীরখাস । তুমি দুই ভাই মোর পুরাতন দাস ॥ আজি হৈতে দোহার নাম রূপ সনাতন । দৈন্ত ছাড় তোমার দৈন্তে ফাটে মোর মন ॥ দৈন্তপত্রী লিখি মোরে পাঠাইলে বারবার । সেই পত্র দ্বারা জানি তোমার ব্যবহার ॥ তোমার হৃদয় আমি জানি পত্রীদ্বারে । তোমা শিখাইতে শ্লোক কহি বারে বারে । পরবাসনিনী নারী বাগ্রাপি গুচকৰ্ম্মসু । তদেবাশ্বাদল্পত্যস্তনবসঙ্গরসায়নম্ ॥ পরপুরুষে আসক্ত নারী গৃহকৰ্ম্মে ব্যাপৃত থাকিরাও মনে মনে জারসঙ্গ-জনিত মুখেরই আস্বাদ গ্রহণ করির থাকে । অনস্তর গেীর কহিলেন “আমি তোমাদিগকে দেখিবার জন্তই এখানে আসিয়াছি— নছিলে গৌড়ে আমার কোনও প্ররোজন ছিল না। তোমরা বহু জন্ম যাবৎ শ্ৰীকৃষ্ণের সেবা করিয়াছ, শ্ৰীকৃষ্ণ শীঘ্রই তোমাদিগের উদ্ধার সাধন করিবেন ; এখন গৃহে গমন কর।” গেীর উভয়ের মস্তকে হস্তার্পণ করিয়া আশী বঙ্গদর্শন [ ১৩শ বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩২০ বৰ্বাদ করিলেন। অনন্তর উভরকে আলিঙ্গন দান করত ভক্তগণকে কহিলেন “তোমরা ইহা:দিগকে অনুগ্রহ কর।” রূপ ও সনাতন তথন সকল ভক্তের চরণধুলি গ্রহণ করির বিদায় গ্রহণ করিলেন । বিদায়কালে সনাতন বিনীত ভাবে কছিলেন “প্ৰভু ! গোঁড়াধিপতি যবন, যদিও বর্তমানে সে তোমার প্রতি ভক্তিমান আছে, তথাপি তাহার মনের ভাব যে পরিবৰ্ত্তিত হইবে না তাতার নিশ্চর নাই । আর তীর্থযাত্রায় এত লোকসংঘট্টও ভাল নহে । যদি ও তোমার নিজের ভয়ের কোনই কারণ নাই, তথাপি লৌকিক লীলা লৌকিক ভাবেই হয় । তাই নিবেদন করিতেছি—- এরূপভাবে বৃন্দাবনে না গিয়া, এখান হইতে প্রত্যাবর্তন কর । ** পয়দিন রামকেলি ত্যাগ করিয়া গেীয় কানাইর নাটশালী গ্রামে গমন করিলেন । তথার সনাতনের উপদেশ মনে মনে চিন্তা করিয়া স্থির করিলেন ‘এত লোকজন সহ বুন্দাবন যা ওয়া বাস্তবিকই বিধেয় নহে।” এই ভাবিয়া গৌর বুন্দাবনগমনের ইচ্ছা ত্যাগ করিলেন এবং সত্বরই শান্তিপুরে প্রত্যাবৃত্ত হইলেন । শাস্তিপুরে গৌর দশদিন অবস্থান করিলেন । এখানে সপ্তগ্রামের গোবৰ্দ্ধন দাসের পুত্র রঘুনাথ দাস আসিরী তাছার শরণ গ্রহণ করিলেন। গোবৰ্দ্ধন মহা ধনী । তিনি ও র্তাহার ভ্রাতা হিরণ্য সৎকুলসস্তৃত, সদাচারপরায়ণ ও পরমধাৰ্ম্মিক ব্রাহ্মণ ছিলেন । নদীয়ার এমন কোন ও ব্রাহ্মণ ছিলেন না যিনি হিরণ্য-গোবৰ্দ্ধনের বৃত্তি ভোগ করিতেন না। नौशांश्वग्न छङ्गवउँ ७ छश्रृंब्रांथं भिॐएक डेऊङ्ग