৮ম সংখ্যা ] ভ্রাতা বিশেষ ভক্তি করিতেন। রঘুনাথ গোবৰ্দ্ধনের পুত্র। শৈশব হইতেই রঘুনাথ সংসারে উদাসীন ছিলেন । সন্ন্যাস গ্রহণান্তে গেীর প্রথম যখন শাস্তিপুরে আসিয়াছিলেন, রঘুনাথ তখন র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন। তখন গেীর তাহাকে নানারূপ বুঝাইয় গৃহে পাঠাইল্প দিয়াছিলেন । গৃহে আসিয়া রঘুনাথ পাগলের মত হইলেন। গৃহ তাহার নিকট কারাগারের মত বোধ হইতে লাগিল। তিনি এই কারাগার হইতে উদ্ধার লাভের জন্ত কয়েকবার পলায়ন করিলেন— কিন্তু কয়েকবারই পিতৃ-প্রেরিত লোক কর্তৃক ধৃত হইয়। ফিরিয়া আসিলেন । অবশেষে গেীর শান্তিপুরে আগমন করিয়াছেন এই সংবাদ পাইয়। রঘুনাথ পিতার নিকট তদর্শনে গমন করিবার জন্ত অনুমতি প্রার্থনা করিলেন এবং অনেক অনুনয়ের পর অনুমতি লাভ কয়িলেন। শান্তিপুরে আগমন করিয়া রঘুনাথ গেীরের নিকট নীলাচলে বাসের অভিপ্রায় উৎপল। هس6tb করিবার উপায় জিজ্ঞাসা করিলেন । কিন্তু গৌর তাহার সংসারত্যাগের সংকল্পের অস্থমোদন করিলেন না ; তিনি কহিলেন— স্থির হঞl ঘরে যাও, না হ গু বাতুল । ক্রমে ক্রমে পায় লোকে ভবসিন্ধু কুল ৷ মৰ্কট বৈরাগ্য না কর, লোক দেখাইয়া । যথাযোগ্য বিযয় ভুঞ্জ অনাসক্ত হইয়া । অস্তরে নিষ্ঠা কর বাঁহে লোক ব্যবহার । অচিরাৎ কৃষ্ণ তোমায় করিবে উদ্ধার ॥ রঘুনাথের সংসারে প্রত্যাগমন করিবার নিতান্ত অনিচ্ছা লক্ষ্য করিয়া গেীর অবশেষে কহিলেন “এখন গৃহে বাও, আমি যথম বৃন্দাবন হইতে নীলাচলে ফিরিয়া যাইব, তখন তথার গিয়া আমার সহিত মিলিত হইও ।” রঘুনাথ গৃহে প্রত্যাগত হইলেন এবং প্রভুর আদেশে পুৰ্ব্ব চাঞ্চল্য পরিত্যাগ করিয়া গার্হস্থ্য ধৰ্ম্ম প্রতিপালন করিতে লাগিলেন । গেীর বন্ধুবান্ধবগণের নিকট বিদার লইয়৷ ব্যক্ত করিলেন এবং পিতার শৃঙ্খল ছেদন নীলাচলে প্রত্যাগত হইলেন । ( ক্রমশ: ) শ্ৰীভীরকচন্দ্র রায় । উৎপল চতুর্থ খণ্ড রিচ্ছেদ 거 জন্মোৎসবে গঙ্গা ও হিরণ্যবতীর সঙ্গমস্থলে বিশাল পাটলীপুত্র নগর। উপকণ্ঠভাগ পরিত্যাগ করিলেও দীৰ্ঘে বিংশতি এবং প্রস্থে পঞ্চ যোজন বিস্তৃত এই মহানগরের চারিদিকে চারিশত হস্ত পরিসর, বিংশতি হস্ত গভীর, জলপরিপূর্ণ পরিখা। পরিথার প্রান্তে প্রান্তে সমস্ত নগরবেষ্টিত ইষ্টক, প্রস্তয় এবং বিশাল কাষ্ঠদওনিৰ্ম্মিত দৃঢ়গঠিত প্রাচীর । প্রাচীর ভেদ করিয়া নগরপ্রবেশের চতুঃবষ্টি দ্বার। প্রাচীর
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।