পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা “আমার প্রভু যাহাকে আপ্তপদ প্রদান করেন, তাহার পরিচয়ের জন্ত স্থৰ্যমু91র নিম্নে ত্রিশূল-চিহ্ন অঙ্কিত করিয়া দেন। এই ক্ষুদ্র অধম প্রভুর প্রধান চর, সেই জন্ত এই সপ্তত্রিশূল-চিহ্ন ৷” “তুমি ভিন্নদেশের গুপ্তচর, আমার রাজ্যের গুপ্তসংবাদ সংগ্রহে আসিয়া ধরা পড়িয়tছ ; তোমার প্রাণদও কেন হইবে না ?” যুবক নির্ভীক চিত্তে উত্তর করিল ;– * গুপ্তচর রাজসেবক । রাজাধিরাজ সমস্ত শাৰ্য্যাবর্তের অধীশ্বর, পাটলীপুত্রের চর কোন রাজ্যে না যায় ?” রাজাধিরাজ বলিলেন ;– “যায় বটে, তাহাদের ও চিরদিন এরূপ বিপদ সম্ভব ।” “র্তাহার সাহসী এবং প্রভূভক্ত, ভয় করেন না । এই ক্ষুদ্র অধম ও আজ দৈবস্তুৰ্ব্বিপাকে বিপদে পড়িয়াছে। যে মুদ্রাঙ্কিত ধ্বজ দেখাইলে গঙ্গাসাগর সঙ্গম হইতে গোদাবরীতার পর্য্যস্ত ত্রিকলিঙ্গে এমন মাসুষ নাই যে মস্তক নত না করে ; যাহার সাহায্যে মুহূৰ্ত্ত মধ্যে এ দাস শত রক্ষী সাহায্যকারী সংগ্ৰহ করিতে পারিত ; আজ তাহার কোন শাক্ত নাই –কিন্তু এ অধম ও অদৃষ্টলিপ অখণ্ডনীয় মনে করে । রাজাধিরাজের অথও রুদ্র প্রতাপ ;– দণ্ডাদেশ প্রচার হউক ৷” সেই মহাসভা-সমাসীন সকলের চিত্ত শিহরিয়া উঠিল। এই দৃঢ়চিত্ত নবীন যুবকের প্রতি নিশ্চয়ই শূলদণ্ডের আদেশ হইবে! কিন্তু রাজাধিরাজ বলিলেন ;– মহারাজ কলিঙ্গপতির শৌর্য্য-প্রতাপের কথা আমার উৎপল (t:సి ) অধিদিত নাই । তাহার বিশ্বাসী চরেরও যে অতুল সাহস, তাছাও প্রত্যক্ষ করিলাম । তোমার মৃত্যুভয় নাই। সংসারে মৃত্যুভীতের মৃত্যুসংঘটনে বিলম্ব হয় না । গুন, অশোকদেব প্ৰকৃত সাহসীর অশেয অপরাধ ক্ষমা করিতে পারেন । তুমি সাহসী এবং বিশ্বাসী -প্রভূভক্ত, তোমার অপরাধ ক্ষমা করা গেল ” রাজাধিরাজের মহামহিমময় অাদেশে সভাসমাসীন সমস্ত লোক চমৎকৃত হইল । যুবক পুনরায় ভূমিভে মওক স্পর্শ করির রাজাধিরাজের সম্বৰ্দ্ধনা করিল এবং উচ্চ গম্ভীর স্বরে বলিল ;– “রাজাধিরাজের জয় হউক ৷” “তোমার প্রভু আমার সীমান্ত-প্রদেশে অহেতুক গোলযোগ উপস্থিত করিয়াছেন । আমার প্রজাগণ অত্যাচারিত হইতেছে, বণিক-ব্যবসায়ীর বহু ক্ষতি হইতেছে। অামার প্রেরিত দূত সমুচিত সম্বৰ্দ্ধিত হয় নাই। তিনি গুপ্তচর পাঠাইয়া আমার সৈন্ত এবং দুর্গসন্নিবেশের তত্ত্ব করিতেছেন —যুদ্ধ করাই কি তাহার অভিপ্রায় ?” যুবক যুক্ত করে নিবেদন করিল – “দাস ক্ষুদ্র সেবক, ত্রিকলিঙ্গেশ্বরের গুপ্ত অভিপ্রায় আমার জ্ঞাত থাকার কি সম্ভাবনা ?” “ভাগ, অচিরেই তাহ জানা যাইবে । তুমি এখন পরিচিত, ছদ্মবেশে আর তোমার প্রয়োজন নাই । পাত্র তোমার বেশ, যান, বাঙ্গন, আহার, বাসস্থানের উপযুক্ত বিধান করিয়া দিবে । সপ্তাহ কtল আমার রাজধানীতে থাকিয়া যাহ। যাহা দেখিবার ইচ্ছ। হয়, দেখ। পরে আমার লোকের তোমাকে