পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা ] .فم ঘন্টার মধ্যেই নবাবসাহেব “কল” করিলেন । আসল কথা, ইংরাজিতে “প্লেগের” কোন 8श्षहे नाहे । हेहान्न अङ्कङ 8श्थ झ्हेप्उप्छ মিছরির সরবৎ আর আফিং । পৰ্য্যায়ক্রমে মিছরির সরবৎ আর আফিমের সরবৎ ২৪ ঘণ্টা দিতে পারিলে যেমনই রোগ হউক আরাম হইবেই । আমি এমনি করির “হাজারো” রোগী আরাম করিয়াছি । খাঁ সাহেব সোচ্ছ, সে বলিলেন “আলবৎ । দাবাই তো ইউনানী । উহায় কাছে অন্ত চিকিৎসা কিছুই নর।” এই বিষয়ের আলোচনা শেষ হইতে না হইতে গাড়ী ওরারসেলিগঞ্জে আসিয়া পৌছিল। খী সাহেব সপরিবারে বাট যাইতেছিলেন । এই থানে তাহার নামিবার কথা । খ। সাহেব পান্ধী” “পান্ধী’ বলিয়া ভীষণ চীৎকার করিতে লাগিলেন । কিন্তু পান্ধীর কোন লক্ষণই দেখা গেল না । খ1 সাহেব একান্ত ব্যাকুল হইরা উঠিলেন । “আবরু” রক্ষা করিয়! কিরূপে বিবিসাহেবকে শাড়ী হইতে নামান যার, ইঙ্গ বিষম সমস্তার বিষয় হইয়া উঠিল। তাড়াতাড়ি দুইজন কুলিকে ডাকির খ৷ সাহুেষ ষবনিকা রচনায় প্রবৃত্ত হইলেন । কিন্তু দুর্ভাগ্যযশতঃ তাহার নিকট একথানির অধিক চাদর ছিল না । বিপন্ন খাঁ সাহেব চীৎকার করির উঠিলেন “চাদর” “চfদর” ! সকলেই আগ্রহাতিশয়ে বলিয়া উঠিলেন “হুঁ হুঁ, জরুর, জরুর ” কিন্তু কাহারও নিকট “তোয়ালিয়া” ভিন্ন আর কিছুর সন্ধান পাওয়া গেল না । এই সমরে ক্ষুঃচিত্ত শেঠজি একখানি স্থল চাদরে আপাদমস্তক আবৃত কল্পিয়া স্বতের দর বেহার-চিত্র \9ovყ) মণকরা কত করিয়া চড়াইল্প দিলে সাড়েলাত টাকা জুতার মূল্য উঠিয়া যাইতে পারে, মুদিত চক্ষে সম্ভবতঃ এই কঠিন সমস্তার সমাধানে প্রবৃত্ত ছিলেন। এমন সময়ে গাড়ী ছাড়িবার ঘণ্টা পড়িয়া গেল । নিরুপায় খ সাহেব তাড়াতাড়ি গাড়ীতে উঠিয়া সবেগে শেঠজির গাত্রবস্ত্রখানি টানিয়া লইরা পত্নীর “অবিরু** রক্ষার জন্ত ধাবমান হইলেন । চৈতন্ত প্রাপ্ত শেঠজি সঙ্গে সঙ্গে লম্ফ দিয়া প্লাটফৰ্ম্মে পড়িলেন। খাঁ সাহেব ছুটির গিয়া কুলির হস্তে চাদর দিয়া বলিলেন “জল দি করে । চাদর পাকুড়ো।” কিন্তু কুলি চাদর ধরিবার পূৰ্ব্বেই শেঠজি ব্যাঘ্রবিক্রমে খাঁ সাহেবের উপর পড়িয়া চীৎকার করিয়া উঠিলেন “শালা চোট্ট ! চাদর লেকে তাগত ?” শেঠজির বিশাল উদরের গুরুভারে র্থ সাহেব মুহূর্বে ধরাশায়ী হইলেন । বিপন্ন খ1 সাহেব করুণস্বরে বলিলেন “আরে ছেড়ে ছোড়ে, গাড়ী খুলেগী ।” শেঠজি গর্জিরা উঠিলেন ? “কেয় ? ছোড়েগা শালা চোট্ট ? তুমকে পুলিশমে দেউঙ্গা ৷’’ খ1 সাহেব শেঠঞ্জির বাহুপাশ হইতে মুক্ত হইবার জন্ত প্রাণপণ করিতে লাগিলেন, কিন্তু কিছুতেই শেঠজির “জগদল’ দেহু-ভার হইতে আপনাকে মুক্ত করিতে পারিলেন না । হাজি সাহেব এবং হাকিম সাহেব উভয়েই গাড়ীর জানালা হইতে মুখ বাড়াইয়া বলিলেন “ও ওঃ কেয়া বাবেথত !” কিন্তু কেহই সাহাব্যার্থ অগ্রসর হইলেন না । দেখিতে দেখিতে গাড়ী ছাড়ির দিল । এতক্ষণে শেঠজিয় চৈতন্ত হইল । তিনি খাঁ সাহেবকে ছাড়িয়া চাদর লইয়া দ্রুতবেগে চলিষ্ণু গাড়ীর