পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা ] ذجي সেই পরিমাণ ঘৃণা ছিল । অবশু সেট। সঙ্কীর্ণমনের লক্ষণ ; জননীর ভালবাসা এতটা সঙ্কীর্ণ হওয়া পরিতাপের বিষয় । কিন্তু আমরা কি করিব ? আমরা যেমনটি দেখিয়াছি তেমনই লিখিতেছি ; —তবে সংসারে এমন জননীও অনেক থাকে। কসেট শিশু কসেট • তাহার গৃহে তাহার ক9 দুইটির সহিত আলো-বাতাসের ভাগ বসাইতে অসিতেছে—তাই সে ভাবিত, আর জলিয়া মরিত। আদর, যত্ন, হাতটান—তিনটাই তার পূর্ণমাত্রায় ছিল,—কসেটের অভাবে, এতটা স্নেহ থাকিলেও, হয় ত তিনটাই সমভাবে কন্যাদের উপর বর্ষিত হইত ; কিন্তু কসেট আসিয়া অবধি কিল চাপড়ের ভারট। সবই আপনার উপর লইল, আদর যত্ন যা কিছু সবই তাহাদের জঙ্গ রাখিয়া দিল । তত্ৰাচ তাছার নিস্তার ছিল না।—অসহায়া, কে মলা, সংসারানভিজ্ঞা, বালিকা দণ্ডে দণ্ডে নির্যাতিত হইত, আর তাহারই পাশ্বে অপর দুইটি বালিকা স্নেহের শীতল ছায়ায় বসিয়৷ থাকিত ।—এমনই সংসার ! শুধু জননী বলিয়া নয়, কস্তাদ্বয়ের-- ইপোনাইন ও এজেলমায়েরও—ব্যবহার বড় নিৰ্ম্মম ছিল । তাঁহাদের কি দোষ? সে বয়সে বালিকারী ত জননীরই প্রতিচ্ছায়ামাত্র ; সে छ्ांश्च बांध्रडेन प्-ि-4ं च ! এই ভাবে বৎসর দুই কাটিল। প্রতিবেশিনীর সব কথা জানিত না ; তাহার ভাবিত, জননী বুঝি আর কসেটের কোন উদ্দেশ লয় না। তাই তাহারা পরস্পর বলাবলি করিত—“যা হোক, থেনেডিয়ারদের খুব ভাল বলতে হবে কিন্তু বাছ । পরের দুর্ভাগ্যের কাহিনী ○>> মেয়েকে ঘরের কড়ি দিয়ে কে পোৰে বল ত ?” ক্রমে ক্রমে কসেটের জন্মবৃত্তাস্ত সম্বন্ধে থেনেডিয়ারের মনে সন্দেহ জন্মিল ; তাই সে জো পাইয়া তখন হইতে মাসিক ১৫ ফ্রাঙ্কের দাবী করিয়া বসিল, লিখিল—“মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, বেশী থাচ্ছে, এর কমে হবে না ।” পরমাস হইতে ১৫ ফ্রাঙ্ক করিয়াই তাহার নিকট আসিতে লাগিল । বৎসরের পর বৎসর কাটিতে লাগিল, কলেটের দুর্দশা ও ক্রমশঃ ঘনীভূত হইতে লাগিল। যতদিন সে নিতান্ত শিশু ছিল, ততদিন ঠপোনাইনদের কৃত অপরাধের সমস্ত শাস্তি তাহাকে বহন করিতে হইত ; পাচ বৎসরে পড়িতেই বাটীর পরিচারিকারূপে সে গণ্য। হইল । পাঠক, কথাটা আশ্চৰ্য্য ভাবিবেন না ; এমনই ঘটিয়া থাকে ! বিখ্যান্ড দস্থ্য দুমলার্দের বিচারে কর্তৃপক্ষের নথিপত্র হইত্তে জানা যায় যে, পিতৃমাতৃহীন অনাথ বালক, উদরান্নসংস্থানের উপায়ান্তর না দেখিতে পাইয়া, পঞ্চমবর্ষ বয়ঃ ক্রম হইতেই চৌর্য্যবৃত্তি অবলম্বন করিয়া কালে দসু্যদলপতি হয়। অতএব কসেট যে সে অল্প বয়সে অবস্থাবিপর্যায়ে দাসীগিরি করিবে তাঙ্গতে আর বিচিত্র কি ? চিঠিপত্রাদি লইয়া যাওয়া, ঘরদ্বার উঠান প্রভৃতি ঝাট দেওয়া, বাসন মাজ, ছোট থাট মোট-ঘাট বহা ;–এ সকলই এখন হইতে তাহাকে করিতে হইত। বিশেষতঃ কয়েক মাস হইতে ফ্যানটাইন টাকা পাঠাইতে পারে নাই, কাজেই থেনেডিয়ারের বরং জোর করিয়াই তাঁহাকে বেশী বেশী খাটাইতে লাগিল। আজ হঠাৎ ফ্যানটাইন ফিরিয়া