পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা ] اع কৃষকদিগকে কতদিন তিনি কৃষিসম্বন্ধে কত উপদেশ দিতেন,—কিরূপে ধানের গোলায়, মরাইয়ের নীচে, কেবল মাত্র লবণের জল দিলে ঘুণ ধরে না, কিরূপে ধানের খেতে, গোলাবাড়ীতে, orviotএর ফুল রাখিয়া দিলে চেলোপোকা নষ্ট হয় ; কিরূপে ধানের জমি ভাল থাকে, ইত্যাদি অনেক কথা তিনি তাহাদের বলিতেন। একবার কোন মজুরকে কতকগুলি nettle (কাটাগাছ) তুলিয়া ফেলিয়া দিতে দেখিয়া তিনি বলেন “দেখ, ভগবানের জগতে সব জিনিসেরই মূল্য আছে । এর জমিও পাট করতে হয় না, চাষেরও পরিশ্রম নেই, অথচ সামান্ত যত্বেই এ থেকে কত উপকার পাওয়া যায়, কতকাজে একে লাগান যেতে পারে ; আমরা সে যত্নটুকুও করি না বলেই, সময়ে এর ফলগুলা কুড়িয়ে নিই না বলেই, শেষে এ গুল জমির ক্ষতি করে,কাজেই তখন তাকে উপড়ে ফেলে দূর করে দিই। মাকুযও এই কঁাটাগাছের মতনই ।” তারপর থামিয়া,—“ভাই সব, এটা ঠিক জেনে, সংসারে নিতান্ত মন্দ লোক বলে, বা একবারে অপদার্থ উদ্ভিদ বলে কিছু নেই, আবাদের দোষেই সব भन्म श्ञ, ब कि छू मऴी-नबई 5ांषां★ ।” ম্যাডেলিন সব কাজই জানিতেন,– সামান্ত খড়কুটা দিয়া ছেলেদের এমন সুন্দর সুন্দর খেলন। তৈয়ায় করিয়া দিতেন যে, তাহারা শহীকে পাইলে অার সহজে ছাড়িতে চাহিত না । যখনি কোন মৃতদেহ গির্জায় লইয়া যাওয়া হইত, ম্যাডেলিন, কাছে থাকিলে, অমনি তাহার অনুসরণ করিতেন। অপরের দুঃখ কষ্ট মৃত্যু তাহাকে বিশেষরূপে আকৃষ্ট করিত ; শোকাৰ্ত্ত পরিবারে তাহদেরই দুর্ভাগ্যের কাহিনী &Ꮌ ☾ একটি হইয়া তিনি মিশিয়া যাইতেন। মৃতের উদ্দেশে পঠিত মন্ত্রের ধ্বনি অপর এক জগতের দ্বার যেন তাহার চক্ষুর সম্মুখে উদঘাটিত করিয়া দিত। মৃত্যুর গাঢ় অন্ধকারে সে করুণ স্বর যেন ডুবিয়া যাইত, আর উদ্ধে দৃষ্টিপাত করিয়া, অনন্তের গৃঢ়রহস্তাচ্ছন্ন কোন দৈবি-ঝঙ্কার যেন তিনি শুনিতে থাকিতেন । র্তাহার অধিকাংশ সৎকাৰ্য্য দানাদি অতি গোপনেই নিম্পন্ন হইত। কত দরিদ্র, কত সময় সন্ধ্যার পর বাটী ফিরিয়া তার সদর দরজার পুরাতন তালা ভাঙা দেখিয়া “চোর" “চোর” করিয়া তাড়াতাড়ি বাটীর ভিতর প্রবেশ করিয়া দেখিত তাহার শষ্যার উপর কতকগুলা টাকা কে রাখিয়া গিয়াছে । সে চোর কে, পাঠককে বলিয়া দিতে হইবে না। —লোকে তাহার টাকাকড়ি সম্বন্ধে অনেক কথা বলিত ; তবে এটা সত্য যে লাফেট ব্যাঙ্কে তাহার প্রভূত পরিমাণ অর্থ জমা ছিল ; এবং ব্যাঙ্কওয়ালার সহিত এই সৰ্ব ছিল যে, আবশু ক হইলে মুহূৰ্ত্ত মধ্যে সে সব টাকা তিনি এক কালীন উঠাইয়া লইতে পরিবেন। ম্যাডেলিন ম—নগরের অধ্যক্ষ হওয়ার পর ছয় বৎসর অতীত হইয়া গিয়াছে । সহসা একদিন ডি-র প্রধান ধৰ্ম্মযাজকের ৮২ বৎসর বয়সে মৃত্যুসংবাদ প্রচারিত হইল ; পরদিন ম্যাভেলিন শোক-চিহ্ন ধারণ করিলেন । ইহাতে তাহার প্রতি সাধারণের শ্রদ্ধা আরও বৰ্দ্ধিত হইল, কারণ ডি – র ধৰ্ম্মযাজক তখনকার কালে একরূপ মহর্ষি-পদবাচ্য ছিলেন। লোকে ভাবিল, হয়ত