や>b মত উক্ত কলেজের কার্য্যপরিচালন জন্ত এক কমিটী গঠিত হয়। সেই কমিটীর সম্পাদক ছিলেন–রায় শ্ৰীনাথ পাল বাহাদুর, আর জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট সেই কমিটির সভাপতি । সুতরাং যখন যিনি ম্যাজিষ্ট্রেট থাকিতেন, তিনিই কলেজ-কমিটীর সভাপতির কাৰ্য্য করিতেন । একদা প্রেসিডেন্সীবিভাগের শিক্ষাবিভাগীয় ইন্স্পেক্টর য়ায় রাধিকা প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মহাশয় কয়েক মাসের জন্ত বিদায় গ্রহণ করিলে, তাহার তদানীন্তন সহকারী চন্দ্রমোহন মজুমদার মহাশয় অস্থায়িভাবে ঐ কাৰ্য্যে ব্ৰতী থাকা কালে একবার মুর্শিদাবাদ জেলার বিদ্যালয় সকল পরিদর্শনে বাহির হইয়া বহরমপুরে উপস্থিত হন। তথায় জেলার ম্যাজিষ্ট্রেটের সহিত সাক্ষাৎ করেন। জেলার বিদ্যালয়সমূহের অবস্থা বিষয়ে নানা কথা-বাৰ্ত্তার মাঝথানে জেলার কৰ্ত্তা সহসা কলেজ পরিদর্শনের প্রস্তাব করিয়া বসিলেন। ‘’ কলেজ পরিদর্শন ত করা হয় না।" সাহেব বলিলেন “এবার তবে । আগামী কল্য আপনি কলেজে যাইবেন, আমি কলেজের কমিটীকে সমস্ত ব্যবস্থা করিবার আদেশ দিয়া এখনই পত্র লিখিয়া দিতেছি ।” এই বলিয়া সভাপতি ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব কমিটির সম্পাদক রায় শ্রীনাথ পাল বাহাদুরকে এক পত্র লিখিয়া পরদিনের ব্যবস্থা করিতে বলিলেন এবং এ কথাও লিখিয়া দিলেন যে, তিনি স্কুল ইন্সপেক্টর মহাশয়কে পরদিন কলেজ-পরিদর্শনে যাইবার জন্ত অনুরোধ করিয়াছেন। যে দিন এই ব্যাপার ঘটে, সেই দিন সন্ধ্যার সময় কাশিমবাজার রাজবাটীতে বিশেষ কোন বঙ্গদর্শন { ১৩শ বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩২০ অঙ্গুষ্ঠাননিবন্ধন বহু পদস্থ লোকের নিমন্ত্রণ • ছিল । রায় বাহাদুর সম্পাদক, কলেজের অধ্যক্ষ ব্ৰজেন্দ্র বাবুকে পত্রের দ্বারা ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের অভিপ্রায় জানাইয়া পর দিনের পরিদর্শন ব্যবস্থা করিবার জন্ত অনুরোধ করিয়া পাঠাইলেন। ব্রজেন্দ্র . বাবু রায় বাহাদুরের পত্র পাটবার পূৰ্ব্বেই চন্দ্রমোহন মজুমদার মহাশয়ের নিকট উক্ত সংবাদ জ্ঞাত হইয়াছিলেন । তাই রাজবাটীতে নিমন্ত্রণে যাইবার সময়ে একখানি পদত্যাগপত্র সঙ্গে লইয়া গিয়াছিলেন। রায় বাহাদুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হইবা মাত্র ব্রজেন্দ্র বাবু নিজের পদত্যাগপত্রখানি হাতে দিয়া বলিলেন “আগে কল্যকার ব্যবস্থা করুন । আমি কলেজের অধ্যক্ষ থাকিয়া শিক্ষাবিভাগের ডাইরেক্টর ভিন্ন অন্ত কোন নিম্নপদবির কৰ্ম্মচারী দ্বারা কলেজ পরিদর্শনে সাহায্য করিতে পারিব না । সে কাজ আমার দ্বারা হইবে না ।” শ্ৰীনাথ বাবু পত্র পাঠ করিয়া বলিলেন “এখন উপায় ? এ ব্যাপার এতদূর গড়াইবে, আমি তাহা আদেী বুঝিতে পারি নাই । তাহা হইলে আপনাকে ংবাদ দিবার পূৰ্ব্বে উপায় অবলম্বন করিতাম, এখন উপায় কি ?” ব্রজেন্দ্র বাবু বলিলেন, “এ ক্ষেত্রে আমার দ্বারা কোন সাহায্য হইবে না।” এই সময়ে বৈকুণ্ঠ বাবু সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইব। মাত্র শ্ৰীনাথ বাবু বৈকুণ্ঠ বাবুকে গিয়া অবস্থা জ্ঞাপন করিয়া ত্বরায় উপায় অবলম্বন করিতে অনুরোধ করিলেন । রায় বৈকুণ্ঠনাথ সেন বাহাদুর ইতিপূৰ্ব্বে ব্ৰজেন্দ্রনাথ শীল মহাশয়কে একজন বিষয়জ্ঞানবিহীন নিরীহ দার্শনিক পণ্ডিত বলিয়াই
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৪৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।