পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা } அ3 ਬਿਜ- হইতে নামিয়া অল্প নাচানে यांश्डन, निउँौरु नश्नांब्रफ़लएक उांशांब्रां কখন একটুও বিচলিত বা ত্রস্ত হইতে দেখে নাই । মহারাজ তাঙ্কাকে বন্দুক হাতে করিয়া যাইবার জন্ত বলিলে তিনি একটু হাসিয়া বলিতেন “কি দরকার ?” বাল্যকাল হইতে সংসারচন্দ্র নানা দুঃখকষ্ট, নানা শোকের মধ্যে পড়িয়াছিলেন, কিন্তু শোকে দুঃখে কেহ কখন তাহার ধৈর্য্যচুতি দেখে নাই। এ সম্বন্ধে তাহার জীবনের একটা ঘটনা উল্লেখ করিলেই যথেষ্ট হইবে বলিয়া মনে করি। র্তাহার জ্যেষ্ঠ কষ্ঠা স্বৰ্গীয়া ইন্দুমতী তাহার একান্ত স্নেহের পাত্রী ছিলেন। ইন্দুমতীর স্বামী মেদিনীপুর জেলায় কঁথিতে ওকালতী করেন। কয় দিন হইতে ইন্দুমতীর সাংঘাতিক পীড়ার সংবাদ পাওয়া ধাইতেছিল। হঠাৎ একদিন প্রাতে ইন্দুমতীর পরলোক-গমনের সংবাদ আসিল, সংসারচন্দ্র তখন মহারাজের নিকট । এই নিদারুণ সংবাদ যে সংসারচন্দ্রকে মৰ্ম্মান্তিক আঘাত করিয়াছিল তাহ বলাই বাহুল্য ; কিন্তু বাহিরে তাহার কোন লক্ষণই প্রকাশ পাইল না। তিনি ধীয় ভাবে আফিসের নিপ্পনত কাৰ্য্যাদি সম্পন্ন করিলেন । বাড়ী যাওয়া মাত্র তাহার সহধৰ্ম্মিণী ব্যাকুল হইয়া ইন্দুমতীর সংবাদ লইতে আসিলেন, সংসায়চন্দ্র কোন কথা ন৷ কহিয়া নিজে মান আহার করিয়া বাড়ীর সকলকে মানাহার করাইলেন, তারপয় সকলকে নিজের ঘরে ডাকিয়া ধীর ভাবে এই মৰ্ম্মান্তিক সংবাদ দিলেন এবং নানা প্রকার উপদেশ দিয়া সকলকে সত্ত্বনা দিতে লাগিলেন । তাহার ধৈর্য্য দেখিয়া আর আর রাও বাহাদুর সর্দার সংসারচন্দ্র ৬২০ (ঙ) সকলে শাস্ত হইল—তিনি আপন ৰলে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে বলীয়ান করিলেন । র্তাহার ধৰ্ম্মভীরুতা তাহাকে কৰ্ম্মক্ষেত্রের কত প্রলোভন হইতে রক্ষা করিয়াছিল—নান কারণে তাহার বিস্তারিত বর্ণনা সম্ভব নহে। একটা উদাহরণ দেই—মহারাজ মাধোসিংহের গদি প্রাপিব পর ১৮৮১ সালে তাস্থার সহিত গুজরাট প্রদেশের এাংধাড়া রাজকুমারীর সহিত বিবাহের প্রস্তাব হয়। এই প্রস্তাব ষাহাতে কার্য্যে পরিণত হয় সে জন্য ব্যারিষ্টার মিঃ কৃষ্ণরাও পাণ্ডুরাং এাংধাড়া রাজ-দরবার হইতে জয়পুর আগমন করেন। মিঃ কৃষ্ণ. রাও জয়পুরে আসিয়া, তদানীন্তন রেসিডেণ্টের সহিত সাক্ষাতাদি করিয়া রাজ্যের প্রধান প্রধান কৰ্ম্মচারী, প্রধান প্রধান সর্দার রাজবাটীর কৰ্ম্মচারীদিগকে নানা কৌশলে স্বপক্ষে আনয়ন করিতে কৃতকাৰ্য্য হয়েন। সংসারচন্দ্র মহারাজের প্রাইভেট সেক্রেটারী এবং মহারাজের উপর তাহার ' প্রতিপত্তিও যথেষ্ট— এই সকল কারণে মিঃ কৃষ্ণরাও র্তাহাকে ও স্বপক্ষে আনিবার বিধিমত চেষ্টা করেন এবং যাহতে এই শুভবিৰাহ ঘটে তাহা করিতে পারিলে তাহাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করিবেন এমন প্রস্তাবও করেন। পুরস্কারের পরিমাণ দরিদ্র সংসারচন্দ্রকে প্রলোভিত করিতে পারিল না—তিনি সহাস্ত বৃদনে এই বিপুল অর্থ প্রত্যাখ্যান করিয়া বলিলেন—“যে পরিশ্রমে এবং মহারাজের অনুগ্রহে তিনি যাহা উপার্জন করেন— র্তাহার সামান্ত অভাবের পক্ষে তাহাই তিনি যথেষ্ট মনে করেন । এরূপ পুরস্কারে র্তাহার প্রয়োজন নাই । তবে তিনি এই · R}ةqی