পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা ] atभग्न थथांन जांजवन ७ ॐश्रृंछौदा श्हेब्रां কেন। তখনও মাধুৰ্য্যের ভূমি প্রস্তুত হয় নাই। প্রজনশ্চাস্মি কন্দৰ্পঃ-প্রজনন-হেতুই কাম বা কম্প তগবানের বিভূতিমধ্যে পরিগণিত হয়। আর এই প্রজনন-চেষ্টা হইতেই শৃঙ্গার বা মাধুৰ্য্য-রসের উৎপত্তি হয়। সুতরাং যতক্ষণ পৰ্য্যস্ত জীবের শরীরমনের অবস্থা প্রজনন-ক্রিয়ার উপযোগী হয় নাই, ততক্ষণ পর্য্যন্ত তাহায় মধ্যে মাধুর্যের ভূমিও প্রস্তুত হয় না। অতএব ফুটনোমুখ যৌবন যেমন সখ্যরতির আশ্রর, সেইরূপ প্রস্ফুট ধোবণই কেবল মাধুৰ্য্যের আশ্রয় হইরা থাকে। যৌবন ফুটিবার পূৰ্ব্বে সখ্যরতিই জন্মিতে পারে, কিন্তু মাধুর্য্য জন্মিতে পারে না । সেইরূপ আবার যৌবন একেবারে নিঃশেষ পরিণতি প্রাপ্ত হইলেও তাহাতে আর প্রকৃত মাধুৰ্য্য ফুটিবার অবসর পায় না। যে সকল সমাজে অতীত যৌবন-বিবাহ প্রচলিত, সেখানে আমাদের রস-শাস্ত্রে যাহাকে পুর্বরাগ বলিরাছেন, তার সত্য স্বরূপটা ভাল করিরা ফুটিতে পারে না । একদিকে একটা বলবতী লালসা, অন্তদিকে একটা অজ্ঞাত, অনিদিষ্ট আশঙ্কা,—এই দুই ভাব মিলিয়া যে গভীর উৎকণ্ঠার স্বষ্টি করে, তাহাই পুৰ্ব্বপ্নাগের প্রাণ। জীবনের অভিজ্ঞতাবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, ভবিষ্যতের অাশা ও আশঙ্কা সম্বন্ধে আমাদের মধ্যে ক্রমে ক্রমে একটা স্বল্পবিস্তর স্থিরবুদ্ধি জন্মিতে আরম্ভ করে। আর পূৰ্ব্বে পূৰ্ব্বে যে সকল অবস্থার যেরূপ পরিণতি ঘটনাছে, এবারেও তাছার অমুরূপ অবস্থার সেইরূপ পরিণতিই ঘটিবে, এই যে ধারণা, हेइ| श्रे८७३ अनगिङ क्षिप्झ अभिोर्लङ्ग পূর্বরাগ ৬২৭ উদ্বেগ কমিয়া আইসে। বয়োবৃদ্ধি সহকারে त्रांमांटनब्र नश्नांtब्रब्र उांदन ७ कईकडे যতই প্রবল হউক না কেন, প্রথম বয়সের অসহ উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠ যে ক্রমে কমিয়া আইসে, ইহা প্রত্যক্ষ কথা । এবং এই জন্তই পরিণত যৌবনে বা যৌবনান্তে আমাদের জীবনে মাধুৰ্য্যের পুর্বরাগ ফুটিয়া উঠিবার উপযোগী ভূমি ও অবসর প্রাপ্ত झ में न} । প্রথম যৌবনের স্বচনায় আমরা একটা অনন্ত অজ্ঞাত রাজ্যের সীমাপ্রান্তে আসিয়া দাড়াই। আমাদের শরীরের মধ্যে তখন একটা অভূতপূৰ্ব্ব পরিবর্তন ঘটিতে আরম্ভ করে—এই অভিনব উল্লাল ও বিবৰ্ত্তন-স্রোতে আমাদিগকে কোথায় লইয়া যাইবে, ইহা আমরা তখনও জানি না। জানি কেবল একটা নুতন শক্তির জাগরণ, একটা নুতন আনন্দের সঞ্চার, একটা নূতন রূপের বিকাশ, একটা নুতন ভোগের পিয়াস। এই যৌবন যখন আপনার নিঃশেষ পরিণতি প্রাপ্ত হয়, এই বিকাশ যখন বন্ধ হইয়া যায়,-ইঞ্জিয়ের লালসা মাত্র তখন থাকে, কিন্তু পূৰ্ব্বকার সে রস বা রোম্যান্সটুকু আর থাকে না । ফলতঃ অজ্ঞাতের আশ্রয় ব্যতীত কোথাও সত্য রস বা রোম্যান্স ( Romance ) ফুটিতে পায় না। অজ্ঞাতই রসের বা রোম্যান্সের নিত্যভূমি । যে দম্পতি পরম্পরকে একান্তভাবে জানিয়া ফেলিয়াছেন, যাহাদের পরম্পরের চক্ষে পরম্পরের রূপেয়, গুণের, চিস্তার, ভাবের, আচারআচরণের মধ্যে অজানা কোনও কিছু থাকে ন,—যারা পরম্পরের সম্বন্ধে সত্যভাৰে সৰ্ব্বদ ইহা অমুভব করেন না যে—“জানি