*. ৮ম সংখ্যা ] قام কেমন করিয়া ধীরে ধীরে শৈশৰ সরিয়া ৰায় ও যৌবন আসিয়া তার স্থান অধিকার করে, বিদ্যাপতি ঠাকুরের শ্রীরাধিকার এই বয়ঃসন্ধির চিত্রেতে তাঁহ৷ অতিশয় ৰিশদভাবে कूक्लिग्न ऊँठेिब्रां८छ् । श्रांब्र “জাগল মনসিজ মুদিত নয়ান” এই পদেতে বিদ্যাপতি ঠাকুর এই ৰক্ষঃসন্ধির সঙ্গে মাধুর্য্য বা শৃঙ্গারের সম্বন্ধ কি ও কতটুকু ইহা অস্তৃত কলাকুশলতা সহকারে ব্যক্ত করিয়াছেন । শৈশবে আমাদের দেহমনে মদনের কোনও সাড়া পড়ে না। শৃঙ্গার বা মাধুর্য্য কাকে বলে তখন আমরা তার কোন ও কিছুই জানি না । কিন্তু এই বয়ঃসন্ধিকালে, আসন্ন যৌবনের পূৰ্ব্বভাগে শরীর-মনের যখন একটা নূতন বিকাশ আরম্ভ হয়, তখনই প্রথমে মনসিজ জাগিতে আরম্ভ করে---কিন্তু চক্ষু থোলে না । ভিতরে ভিতরে তায় জাগরণ আরম্ভ হইয়াছে, কিন্তু বfহশ্চৈতন্তের প্রকাশ হয় নাই । ফলতঃ কোনও বিশিষ্ট মানুষী রূপের প্রেরণা বা তীত মনসিজ কখনও এই বহিশ্চৈতন্য লাভ করে না । এইরূপ চাক্ষুযই হউক বা কেবল কল্পিতই হউক,— ইহার প্রেরণা মনসিজের নয়নোক্ষীলনের জন্ত • অত্যাবগু ক । আর কল্পি তরূপ ও প্রত্যক্ষের আশ্রয় ব্যতীত ফুটে না । কারণ স্থানবিশেষে, কালবিশেষে, আধারবিশেষে যে রূপ প্রত্যক্ষ হয়, অন্তস্থানে, অন্ত কালে, অপর আাধারে, যেখানে ভাহী পত্যক্ষ নাই, সেখানে তায় আরোপ বা অধ্যাস করিয়াই আমরা সৰ্ব্ববিধ কল্পিত রূপের সৃষ্টি করিয়া থাকি । এইরূপে বিশেষ রূপের প্রত্যক্ষ বা কল্পনা ব্যতীত মনলিজের মুদিত-নয়ান খোলে ন। বিদ্যাপতির ঐরাধিকার জাগ্রত কিন্তু নিমৗলিভনেত্ৰ মনসিজ শ্রীকৃষ্ণের সাক্ষাদর্শনে পূর্বরাগ అ9తి চক্ষু মেলিয়াছে । চণ্ডীদাসের ঔরাধিকার মনসিজের এই নিমৗলিত নেত্র প্রথমে শ্ৰীমতীর অস্তরের ধ্যানমূৰ্ত্তি ভাবিয়া, ও পরে চিত্রপটে শ্রীকৃষ্ণের প্রতিচ্ছবি দেখিয়া এৰং সৰ্ব্বশেষে তাহার সাক্ষাদর্শনলাভে উত্তরোত্তর পরিষ্কার হইয়া খুলিয়া যায়। কিন্তু উভয়ক্ষেত্রেই বয়ঃসন্ধিকালে ইহা জাগ্রত অথচ নিৰ্মীলিতনেত্র হইয়া ছিল । বিদ্যাপষ্টি ঠাকুর পূর্বরাগের বর্ণনার প্রবৃত্ত হইবার পূৰ্ব্বে শ্রীমতীর বয়ঃসন্ধির এই অনুপম চিত্র অঙ্কি ও করিয়া, মাদুৰ্য্যের উৎপত্তি কেমন করিয়া হয়, শরীরের ও স্বায়ুমণ্ডলের কোন অবস্থাকে কিরূপে কোন দিক দিরা অবলম্বন করিয়৷ এই উন্নত উজ্জল রসত্র তাছার মধ্যে ফুটিয়া উঠে, ইহার বিবৰ্ত্তন-ইতিহাস এবং মনস্তত্বটাও অতি পরিষ্কার কােরর গিয়াছেন । এইখানেই আমরা পুর্বরাগের মনস্তত্বের বা psychology’s Hāfa tfaj gĘ Į afą এইখানেই আমরা অতি পরিষ্কাররূপে এটা দেখি যে, প্রফুট যৌবনে ভিন্ন মাধুৰ্য্যের সত্য আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয় না । শ্রীরাধিকায় যখন-~~ দিনে দিনে পয়োধর তৈ গেল পীন । বাঢ়ল নিতম্ব মাঝ ভেল ক্ষীণ ॥ অযহি মদন বাঢ়ারল দীঠ । শৈশব সকলি চমকি দিল পীঠ ॥ আর এইরূপে শৈশব-যৌবনের দ্বন্দ্বেতে যখন যৌবন সম্পূর্ণ জয়লাভ করিল এবং শৈশব সদলবলে পুষ্ঠভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিল,— অর্থাৎ যৌবনের পূর্ণ ও অনঙ্গপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাব যখন তার দেহ-মনের উপরে প্রতিষ্ঠিত হইল,—তার পরেই যমুনা-জানে যাইমা কামুদর্শনে পুর্বরাগের সঞ্চার হইল । .ঐবিপিনচন্দ্র পাল ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৫১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।