e૧૦ সকল আবিভূর্ত হইয়া থাকে। ঈশ্বর ও মুক্ত পুরুষের সর্বজ্ঞত্বাদি গুণ সমান হষ্টলেও একমাত্র সৰ্ব্ব কর্তৃত্ব ঈশ্বরেই থাকে। মুক্ত পুরুষে তাহ থাকে না। ঐ সময়ে যুক্ত ব্যক্তির অবিনাশী সুখ হয় এবং মুক্ত ব্যক্তি সে সমরেও বিষ্ণুর সেব করিতে থাকেন। (৫) মাহেশ্বর মত—ইহাদের মতে মহেশ্বরের নিকটে অবস্থিতিই মুক্তি । এই মতে মুক্তাবস্থায় কোনরূপ দুঃখ থাকে না । এবং যুক্তাত্মা ঈশ্বরের কোনরূপ সেবা করেন না। “মুক্তাত্মনোহপি হি শিবাঃ কিঞ্চৈতে তৎপ্রসাদতো মুক্তাঃ । সোহনাদি যুক্ত একো বিজ্ঞেয়ঃ পঞ্চমস্ত্রতনুঃ’ । ( তত্ত্ব প্রকাশ ) সকল মুক্তাত্মাই শিব, কিন্তু তাঙ্গর সেই শিবের (ঈশ্বরের) অনুগ্রহে মুক্ত হইয়াছেন। তিনি ( শিব ) অনাদি মুক্ত এবং পঞ্চমন্ত্রময় শরীরধারী, অর্থাৎ তাহার প্রাকৃতিক শরীর महे । - মাহেশ্বরদিগের মধ্যে চারি মত প্রচলিত আছে । তন্মধ্যে (১) নকুলীশ পাশুপত, (২) শৈব, (৩) প্রত্যতিজ্ঞ এবং (৪. রসেশ্বর মত। ১ম ও ২য় মাহেশ্বর মতে মুক্তাত্মা ঈশ্বর হইতে ভিন্ন, এবং মুক্ত পুরুষ প্রাকৃত শরীরধারী নহেন । তুতীয় মহেশ্বঃ-ঈশ্বর প্রত্যভিজ্ঞাবাদী—তাহার মতে মুক্ত পুরুষ ও ঈশ্বরের তাদাত্ম্য স্বীকৃত হইয়াছে। অর্থাৎ মুক্ত পুরুষের "সোহহং” আমিই সেই ঈশ্বর, ५:इंक्र° ख्ञान रुझेब्रा • थाटक । छोरा ७ ঈশ্বরের তদাত্ম্য সম্বন্ধে আগমাধিকারে উক্ত হইরাছে— “গুদৈক্যেন বিন নাস্তি সংবিদাং লোক পদ্ধতিঃ প্ৰকাশৈকাত্তদেবত্বং মাতৈক স ইতি স্থিsঃ।” বঙ্গদর্শন । { ১০ম বর্ষ, পৌষ, ১৩১৭। ঈশ্বর এক এবং স্বপ্রকাশ জ্ঞানস্বরূপ, আমরা যে সকল লৌকিক জ্ঞান অনুভব করিয়া থাকি, সে সকল ঈশ্বররুপ জ্ঞান হইতে ভিন্ন নহে । বিষয়াংশ পরিত্যাগ করিলে সকল জ্ঞানই স্বপ্রকাশ রূপে পরিস্ফুট হয়, অতএব সৰ্ব্বজীব সাধারণ, সেই প্রমাতা এক ; ইঙ্গই স্থিরীকৃত শাস্ত্রীয় সিদ্ধান্ত । প্রত্যভিজ্ঞ -দর্শনের মতে মুক্তাত্মাসকল ঈশ্বর-ভাবাপন্ন হন এবং তাহার। জাগতিক সকল পদার্থকে নিজ হইতে অভিন্ন বলিয়া মনে করেন । তত্ত্বার্থসংগ্রহে কথিত 四忆豆(可一 “মেয়ং সাধারণং মুক্তঃ স্বাত্মভেদেন মন্ততে মহেশ্বরে যথ। বদ্ধ: পুনরতjস্তভেদবৎ ।” যেরূপ মহেশ্বয় জগতের সমুদয় প্রমেয়কে নিজ হইতে অভিন্ন মনে করিয়া থাকেন, সেইরূপ মুক্তাত্মাও জগতের সকল প্র:ময়কে নিজ হইতে অভিন্ন মনে করেন । কি স্তু বদ্ধ পুরুষগণ সেঙ্গ রূপ মনে করেন না, তাহারা সকলকে ভিন্ন বলিয়াচ মনে করিয়া থাকেন । এই প্রতাভি জ্ঞাবাদি ,ণ বিদেহ ( দেহরচিত ) মুক্তি স্বীকার করেন । চতুর্থ মাহেশ্বর মত, ভাস্থা রসেশ্বরদর্শন নামে প্রসিদ্ধ । ইহারা মুক্তি সময়ে আত্মার শরীর স্বীকার করেন । তাছার বলেন যে, মুক্তি সময়ে জীবের ঈশ্বর-ভাব হয়, কিন্তু শরীর না থাকিলে সে ভাব অতুভব করা যাইতে পারে না । সে জন্য মুক্তিসময়ে ও শরীর স্বীকার করা কর্তব্য । ইহার বিদেহ (দেহশূন্ত মুক্তি স্বীকার করেন না । মাত্র জীবন্মুক্তি স্বীকার করিয়া থাকেন। জীবন্মুক্তি সমস্ত্ৰে জীবের ঈশ্বর-ভাব অমুভবের জন্য, ৰে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।