পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা । ] মুচিন্তি ত ব্যবস্থা সুধীগণ ইচ্ছ এবং যত্ন করিলে অবশুই উদ্ভাবন করিতে পারেন । মুদ্রা-যন্ত্রের প্রসাদে কত ভাবে, কত প্রকারে এবং কত নামে কত পুস্তক বাহির হইতেছে তাহার ইয়ত্ত নাই। বিজ্ঞাপনের কৌশল এখন একটা বিদ্যায় পরিণত হইয়া পড়িরাছে । অনেকে কে বল বিজ্ঞাপন লেখtয় সিদ্ধহস্ত, যেন মূৰ্ত্তিমান ব্যাস ; আবার এই বিদ্যার যথেষ্ট আদরও আছে, কত বিজ্ঞাপন-ব্যবসায়ী কেবল এই লিপ্তার খাতিয়েই ইহাদিগকে রীতিমত বেতন দিয়া পুষিতেছে । স্বৰ্য্যোদয়ের পূৰ্ব্বে অরুণের স্থায়, নবাব-বাদসাহের পুরোগামী নকাবের ন্যায়, পরিক্রমণোৎসবের পুরোবত্তী জয়ঢাকের স্থায়, অথবা সে কালের যাত্রার দলে সং বাহির হইবার পূৰ্ব্বে খবরদারের ন্যায় এই সকল বিজ্ঞাপন যখন নুতন নূতন পুস্তকের সংবাদ লইয়া বাহির হয়, তখন সেই বিজ্ঞাপনের ভাষার চমকে পুস্তক দেখিবার জন্য বুদ্ধের হৃদয় পৰ্য্যস্ত নাচিয়া উঠে, তরুণ-বয়স্ক পাঠকের ত কৰাই নাই । এই বিজ্ঞাপনের জেরে কত কদর্য বিষয়, কত অশ্লীল বিজ্ঞাপন, মাত্র নামে এবং অtকারে পুস্তক সাঞ্জির দেবী সরস্বতীর পবিত্র পুজা-মণ্ডপে নিঃশঙ্কভাবে নৃত্য করিতেছে, তাহাদিগকে নিষেধ করিবার, সারস্বত-কুঞ্জ হইতে তা হাদিগকে বাহির করিয়া দিবার কেহ নাই ! সমাজে অত্যাচার করিবার অধিকার কাহারও নাই ; কিন্তু কেহ কোন অত্যাচার করিলে তাহা হইতে আত্ম-রক্ষা করি যার অধিকার সকলেরই আছে । কিন্তু অধিকার क्षाकिरणहे भखि थाक्रिय, अिभन नद्दश्। कूअर्इच्न সাহিত্য-প্রচfর । 8b”〉 অত্যাচার হইতে আত্মরক্ষা করিতে পারেন সমাজের মধ্যে পনের অান পাঠকেরই সে শক্তি নাই । যাহারা গ্রন্থের দুই চারি ছত্র পড়িলেই তাছার মূল্য বুঝিতে পারেন, এমন পাঠকের সংখ্যা অতি অল্প ; যাহারা ছাপার অক্ষর দেখিলেই তাহাকে ব্রহ্মার বেদের দ্যায় অভ্রান্ত মনে করে, যtহার গ্রস্থের আদ্যোপাস্ত পড়িয়া ও উপকার হইল, কি অপকার হইল বুঝিতে না পারে, পাঠক-সমাজে তাহাদিগের সংখ্যাই অধিক । এই সকল বিচার-বিমুঢ় পাঠককে কুগ্রন্থের অত্যাচার হইতে রক্ষা করা শক্তিমান পাঠকদিগের কর্তব্য । অত্যাচার বলিতেছি কেন ? অবধান করুন। য৫হাতে আমাকে আমার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাৰ্য্য করিতে বাধ করে, তাহাকেই অত্যাচার বলিতে পারি। কুগ্ৰন্থ কি করে, এখন তাছাই দেখুন। কুগ্ৰন্থ পাঠকের অর্থ হরণ করে, ততোধিক মূল্যবান সময় হরণ করে, ততোধিক মূল্যৰান আত্মোন্নতির মুযোগ হরণ করে । এখন ভাবিয়া দেখুন, কুগ্ৰন্থ সমাজের কি সৰ্ব্বনাশ করে। যেমন অনিত্য শরীরের সহায়তায় জ্ঞান-ধৰ্ম্মাদি নিত্যবস্ত লাভ করা যায়, সেইরূপ অকিঞ্চিৎকর অর্থের সহায়তায় সংসারে নানারূপ ইষ্ট লাভ করা যায়। এমন উপকারী, অথচ কঠোর শ্রমোপার্জিত অর্থকে আমারই দ্বার। নিরর্থক ব্যয় করান কি অত্যাচার মৰে ? তাহার পরে সময়-হরণ। মানবের সমস্ত মুখ, সৌভাগ্য এবং উন্নতির মূল, সমস্ত সাধন-ভজন এবং সিদ্ধি-লাভের হেতু, এই সময় । সময়ই জীবন—সময় বৃথা গেলে জীবনই বুখা গেল। cष श्रांभांएक ब्रिाहे ज्ञांभांब्र जैौवनप्ले वृथा