سbس8b ছিল না। সাহিত্যিকগণ সগৌরবে গোযানের আবরণহীন বংশবিতানের উপর উপবেশন করিয়া, কথা-কৌতুকে মগ্ন হইয়া পড়িলেন । কৃষক এদেশের অধিবাসী ছিল না ;–কিরূপে কাহায় অত্যাচারে, কত দিন হইল, স্ত্রীপুত্র লইয়। এদেশে আসিয়া, আশ্রয় গ্রন্থণ করিতে বাধ্য হইয়াছে, তাহার কাহিনী অাদ্যস্ত বিবৃত করিয়া সমবেদনার উদ্রেক করিয়৷ দিল । বাঙ্গালার কঙ্কালবিশিষ্ট কৃষকদেহের মধ্যেও হৃদয় অাছে। বেলা অধিক হইয়t উঠিয়াছে, ভট্টনিবাস এখনও অনেক দূরে,— সুতরাং কৃষক তাহার কুটিয়ে আতিথ্য গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাইতে কুষ্ঠিত হইল না । ভট্টগৃহে নিমন্ত্রণ গ্রহণ করায় অনাত্র আতিথ্য গ্রহণের স্বাধীনতা ছিল না, তাহা বুঝিবামাত্র কৃষক পথ দেখাইয়া দিল ;– সকলে আবার গজারোহণ করিয়া, সম্মুখে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। গ্রামের বাহিরে আসিলে, অতিদূরে ছায়াচিত্রের ন্যায় ভট্টভবন দেখিতে পাওয়া গেল । তখন মধ্যtহ্ন গগনের প্রচণ্ড মার্তগুকিরণ বরেন্দ্রপ্রাস্তরের উপর অনল বর্ষণ করিভেছিল। ধৈৰ্য্যের শেষ উপস্থিত না হইলে, দীর্ঘপথের শেষ দেখিতে পাওয়া যায়,— ষথাকালে সাহিত্যিকগণ তfহার পরিচয় প্রাপ্ত হইলেন । শীতল জলে স্নান করিয়া স্নানের পর বরেন্দ্রভূমির পুরাপ্ৰচলিভ শিষ্টাচার রক্ষার্থ জলযোগ করিয়া, সাহিত্যিকগণ মধ্যাহ্নের আহারের জন্য প্রস্তুত হইতে কিছুমাত্র ৰিলম্ব করিলেন না । ভট্টবংশধর যথtশাস্ত্র অতিথিসৎকার করিবার আশায়, একটি মেষ বলি দিয়া, পূজা সাঙ্গ করিয়াছিলেন ; সুতরাং বঙ্গদর্শন । [ ১০ বর্ষ, মাঘ, ১৩১৭ । প্রসঙ্গিলাভে বিলম্ব ছিল । সেই অবসরে পুরাতন পুথির অনুসন্ধান আরব্ধ হইল। জীর্ণবস্ত্রখণ্ডে অবন্ধ তন্ত্রসার, কুলার্ণব, তাহার সঙ্গে বিষ্ণুশৰ্ম্মার হিতোপদেশ, মায়ণ উচাটন বশীকরণের মন্ত্রসংগ্রহ, স্মরণ করাইয়া দিল ; —“অশেষবিৎ পাণিনিরেকস্থত্রে শ্বানং যুবানং মঘবানমাহ’ । ठाँग्न नां श्राद्र न दग्निग्नां७, भ५Tांश्ভোজন বড় গুরুভোজন হইল,—মেঘমাংস সম্পন্ত আতপতঙুলের পলান্ন, তাহার সঙ্গে বিবিধ ব্যঞ্জন, দধি ক্ষীর মিষ্টান্ন এবং পায়সপিষ্টকের আক্রমণে সাহিত্যরথিগণ রণে ভঙ্গ দিবার উপক্রম করির তুলিলেন । আহারের পর বিশ্রাম করিতে করিতে স্থির হইল,— একটি হস্তী লইয়া একদল নিকটস্থ অন্তান্ত গ্রামে ভৌগোলিক তত্ত্বানুসন্ধানে বহির্গত হইবেন ; অন্তান্ত সকলে ভট্টবংশধরকে সঙ্গে লইয়া, পুনরায় মাড়ইল পরিদর্শনে নিযুক্ত হইবেন । পুনরায় মাড়ইলে উপনীত হইয় এক বৃক্ষতলে বহুসংখ্যক শ্ৰীমূৰ্ত্তি দেখিতে পাওর গেল। একটি শ্ৰীমূর্তি বৃক্ষকোটরে এরূপ ভাবে বৃক্ষ-ত্বকে জড়িত হইয়া পড়িয়াছে যে বৃক্ষমূলের কিয়দংশ ছেদন না করিলে, তাহাকে বাহির করিবার উপায় নাই । কেছ ছেদন করিতে সম্মত হইল না, উপযুক্ত অস্ত্র দান করিতে কাতরতা গ্রকাশিত করিল । তখন এই গুরুভার একজন সাহিত্যিকের উপর সমর্পণ করিয়া অন্তান্ত সকলে চতুভূজার নিকটে উপনীত হইলেন । বেল আর অধিক নাই ; অনেক অনুসন্ধানের পর গোষান সংগৃহীত হইয়াছে, এখন চতুভূজাকে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দশম খণ্ড.djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।