δίν জোরে, সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে বর্ণজ্ঞান প্রচার করিবার বিধান ষে সাধারণ রাষ্ট্রনীতির অঙ্গীভূত হইয়াছে, ইংরাজিতে তাহাকে ষ্টেটু সোসিয়ম্নলিজম ( state socialism ) বলে । যে বিশেষ সমাজ-নীতি য়ুরোপে সোসিয়্যালিজমু (socialism) নামে প্রচারিত হইতেছে, এই ষ্টেটু সোসিয়্যালিজম (state socialism: ) তাহারই অন্তর্গত । মোটামোটি সোসিয়ালিষ্ট সম্প্রদায় এই বলেন যে, যে সকল বিষয়ের উপরে সমাজের জনগণের জীবন ও জীবনের মুখ্য উদ্দেপ্তসাধন একান্তভাবে নির্ভর. করিতেছে, সে সকল বিষয়কে ব্যক্তিগত স্বত্বস্বার্থের অপরিহার্য্য প্রতিদ্বন্দ্বিত হইতে রক্ষা করিয়া, সমাজের সর্বদাধারণের প্রতিভূস্বরূপ যে রাজশক্তি বা রাষ্ট্রশক্তি তারই হস্তে অৰ্পণ কর। কৰ্ত্তব্য। এ সকল বিষয়ে কোনো বিশেষ ব্যক্তির বা কোনো বিশেষ পরিবারের বা সম্প্রদায়ের কোনো প্রকারের বিশেষ দাওয়াদাবী থাকিবে না । মানুষের বঁচিবার জন্য তিনটা বস্তুর ঐকান্তিক প্রয়োজন হয়। এক বায়ু, छ्लिौग्न छळ ও তৃতীয় মাটী বা জমি। এই তিন বস্তুর দুইটা সৰ্ব্বসাধারণের . সম্পত্তি, এ দুটর উপর কারো কোনো বিশেয অধিকার নাই। জল ও হাওয়ার জন্য, মোটের উপরে, কেহ কোনো খাজানা দাবি করিতে পারে না। কিন্তু জমির অবস্থা স্বতন্ত্র। যুরোপের প্রায় সৰ্ব্বত্রই জমিটা বিশেষ বিশেষ জমিদারের সম্পত্তি। এ জমির উপরে সর্বসাধারণের কোনো অধিকার নাই। যার যেমন প্রয়োজন সে সেরূপভাবে এই জমি বঙ্গদর্শন [ ১২শ র্য, জ্যৈষ্ঠ ১৩১৯ रादशद्र रुब्रिाउ भारद्र मा । अभिमांtद्रद्र খুসিমত, তাহাকে খাজনা দিয়৷ তবে লোকে সে জমিতে বসবাস ও সে জমির চাষ করিয়া তাহ হইতে আপনার খাদ্যাদি ংগ্ৰহ করিতে পারে। সোসিয়ালিষ্টগণ বলেন, এ জমিতে জমিদারের কোনো অধিকার থাকিবে না। জমি সাধারণের সম্পত্তি হইবে, আর রাজশক্তি বা রাষ্ট্রশক্তি যখন জনসমাজে জনসাধারণের একমাত্র প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি হইয়া আছে, তখন জমির সৰ্ব্ববিধ স্বত্ব এই রাষ্ট্রশক্তিরই থাকিবে । জমির খাজানা কোনো ব্যক্তি বিশেষে দাবী করিতে পারিবেন না ; জমিতে যদি কোনো গাছপালী বা খনি থাকে, সে ধনও রাষ্ট্রেরই হইবে, জমিদার আত্মসাৎ করিতে পরিবেন না। আর শুধু জল ও বায়ুর উপরে সাধারণের অধিকার থাকিলেই তো হয় না। এ জল বিশুদ্ধ, পানের উপযুক্ত, ও স্বচ্ছন্দে পাওয়া যায়, এমন করা চাই। আর হাওয়াটাও যাতে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর হয়, তৎপ্রতিও দৃষ্টি রাখা আবশ্বক। সুতরাং এ সকল কাজও রাষ্ট্রের হস্তেই ন্যস্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। তার পর, কেবল জমি, জল, ও হাওয়াতেও মাতুয মানুষের মস্ত বঁচির থাকিতে পারে না। জমি হইতে পণ্য উৎপন্ন হয়। এ সূকল পণ্য উৎপাদনের প্রকৃষ্টতর উপায় উত্তরোত্তর উদ্ভাবিত হইয়া, সমাজের ধর্মীদের হাতে একটা বিপুলশক্তি ও সাংঘাতিক অধিকার অর্পণ করিতেছে। সাধারণ জনগণ ইহাদের কলকারখানায় যাইয়া খাটিয়া প্রাণান্ত হয়, কিন্তু তাহাদের পরিশ্রমের সমুদয় ফল তাহারা নিজের
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।