পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ সম্প্রদায়টি জন্মগ্রহণ করিয়াছে, উগ মহাযান-পদ্ধতি হইতে নিঃস্থত এবং উহ। যোগবাদের এক শাখা । উহা "যোগাচর্যা” নামে অভিহিত হইয়া থাকে। ব্রাহ্মণ্যক ভারতে, দীর্ঘকাল হইতে যোগবাদসংক্রান্ত যে সকল সম্প্রদায়ের প্রা ভাব হইয়াছে, উহ! তাহাদেরই এক শাখা। কিন্তু Csôma, Barnouf, Wassiljew. Schlagimweit, Wion—ইহাদের 瓦丐、 যোগাচৰ্য্য-পদ্ধতি, অক্ষৎ-যুগের দশম শতাব্দীতে ভারত ও তিববতে প্রবর্তি ত হয় । অতএব দেখা যাইতেছে, এই সম্প্রদায় অপেক্ষাকৃত আধুনিক । এই সম্প্রদায়ের প্রধান গ্রন্থের নাম সংস্কৃত ভাষায়— ‘কালচক্র” ও তিববতীয় ভাষায়,—“Dons Kyi Khorlo” ! . এই গ্রন্থে, স্বষ্টিতত্ত্ব, জ্যোতিষ, কালগণনা-বিদ্যা, আলোচিত হইয়াছে। উহাতে কতকগুলি দেবতার বর্ণনা পাওয়া যায়। এমন কি, উৎণর মধ্যে মহম্মদীয় ধৰ্ম্মেরও কথা আছে। উহ! পরাৎপর আদিবুদ্ধ হইতে আবির্ভূত বলিয়া জনসাধারণের মধ্যে 25f 5 i Schlaginweit Ārējī, cuisiçfffসংক্রান্ত মুখ্য ক্রিয়াকৰ্ম্ম ও মূলস্বত্রগুলির সহিত, সাইবিরীয়দিগের Shamanismএর আশ্চৰ্য্য মিল আছে। তা ছাড়া উহ। অনেকটা হিন্দুদিগের তান্ত্রিক অনুষ্ঠানের অম্বুরূপ। যে ব্যক্তির দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, এই ত্রিলোকের অস্তিত্ব কেবল আমাদের কল্পনায় বিদ্যমান এবং এই বিশ্বাস-অনুসারে যে কাজ করে, সে এমন কতকগুলি, অলৌকিক শক্তি লাভ করে যাহা পুণ্য ও বঙ্গদর্শন ১২শ বধ, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৯ সংযম-জনিত শক্তি হইতে, উৎকৃষ্ট এবং যাহার প্রভাবে সে ঈশ্বরের সহিত যুক্ত হয় ” এই সম্প্রদায়ের মত ও বিশ্বাসের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিয়ে দেওয়া যাইতেছে —দেবপর্যায়ের চূড়াদেশে সেই পরমদেব আদিবুদ্ধের সিংহাসন অধিষ্ঠিত - বিনি অনাদি ও অনন্ত ; তাহার পর, পঞ্চ ধানীবুদ্ধ ঃ-ইহারা দেবশ্রেণীভুক্ত। এই পঞ্চ ধ্যানী বুদ্ধের অনুরূপ পঞ্চ মানুষী-বুদ্ধ। প্রত্যেক ধ্যানীবুদ্ধ স্বকীয় ধ্যান-বলে, এক একটি ধ্যানী-বোধিস্বত্ব স্বষ্টি করেন,--ইহঁাদেরও দেব-প্রকৃতি । আবার প্রত্যেক মানুষী-বুদ্ধ তিন লোকে আবিভূতি হইয়া থাকেন । যাহা সৰ্ব্বাপেক্ষা উন্নত সেই ধ্যান লোকে তিনি নাম-রূপ: বিবর্জিত ; রূপ-লোকে তিনি ধ্যাণী-বুদ্ধ-রূপে প্রকাশ পান ; এবং কাম-লোকে তিনি মানবআকারে আবিভূতি হন । এইরূপ, প্রত্যেক মানুষী বুদ্ধের অনুরূপ এক-একজন ধ্যানী-বুদ্ধ ও এক-একজন বোধিস্বত্ব আছে। বৰ্ত্তমান যুগে, শাক্য নিই মানুষী বুদ্ধ (ইনি চতুর্থ মানুষীবৃদ্ধ ; তাহার ধ্যান-বুদ্ধ—অমিতাভ এবং তাহার ধ্যানী-বোধিসত্ত্ব-অবলোকিতেশ্বর বা পদ্মপাণি । এই সম্প্রদায়ের মতে, ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় কোণ এক বিষয়ের উপর ( জাগতিক ঘটনা বা তত্ত্বের উপর নহে ) একাগ্রচিত্তে ধ্যান করিলে, মানুষ কতকগুলি অলৌকিক মানসিক শক্তি অর্জন করিতে পারে, এবং তাহা হইতে সাধন আরস্ত করিয়া ধ্যান সমাধির চারি ধাপে উপনীত হয় ; তাহার ফলে, প্রথমেই তাহার ব্যক্তিত্ত্বের জ্ঞান fবলুপ্ত হয়। কিন্তু এই সূক্ষ্ম সমাধির অবস্থায় উপনীত