পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা j হইতে হইলে, গোড়ায় কতকগুলি সাধন একান্তই আবণ্ঠক ; এবং যে প্রণালীতে একাগ্রচিত্ত হওয়া যাইতে পারে “যোগাচৰ্য্য” তাহার উপদেশ দেয়। পরিশেষে, “ধারণী"নামক কতকগুলি অভিটরি-মন্ত্র ও যোগসাধনমন্থের আবৃত্তি দ্বারা সাধক, বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বদিগের সাহায্য পাইবার অধিকারী হয়। এই অতিচার-মন্ত্র ও যোগসাধন-মন্ত্রের সহিত যে ব্যক্তি শীলধৰ্ম্ম ও স্বক্ষ ধ্যানসমাধি সংযুক্ত করিতে পারে, সে অলৌকিক সিদ্ধি লাভ করে, তখন সে, --কি ধন, কি দীর্ঘ পরমায়ু, কি পর-চিত্তের উপর প্রভুত্ত্ব . এ সমস্ত ইচ্ছা করিলেই লাভ করিতে পারে। পরিশেষে, তাহার অর পুনর্জন্ম হয় না—সে পরমদেবের সহিত ੋਲ হয় । স্পষ্টই দেখা যাইতেছে, এই সম্প্রদায়টি আধুনিক ; কেননা, উহাদের মতে, মুক্তি তন্ত্রশস্ত্রের জ্ঞান-সাপেক্ষ । এই তন্ত্রশস্ত্র, সমস্ত প্রাচ্যতত্ত্ববেত্তাদিগেরই মতে, অক্ষৎযুগের প্রথম শতাব্দীগুলির মধ্যেই ভারতে আবির্ভূত হয় এবং দশম শতাব্দীতে বৌদ্ধধন্মের মধ্যে প্রবেশ লাভ করে। genwcit বলেন, তন্ত্রণাস্ত্রের আধুনিকতা সঘন্ধে আর একটি প্রমাণ এই যে, চীন ভাষায় তান্ত্রিকগ্রন্থ অতি অল্পই পাওয়৷ যাক্স । তাহার কারণ, যে সপ্তম শতাব্দীতে বৌদ্ধ পরিব্রাজকগণ ভারতে আগিয়াছিলেন, তখনও তন্ত্রশস্ত্র আবিভূত হয় নাই। তবে, "ধারণী”নামক অভিচার-মন্ত্রগুলি সম্ভবতঃ অতি প্রাচীন কালের। পূৰ্ব্বোঙ্ক দার্শনিক পদ্ধতি Schla হইতে থিয়সফি X e 5 আধুনিক কালে আরও যে সকল মতবাদ ক্রমশঃ উৎপন্ন হইয়াছে, থিয়সফি তাহারই উপর প্রতিষ্ঠিত। এইবার থিয়সফিষ্টদিগের গ্রন্থাবলী হইতেই বিচার করিয়া দেখা যাক, বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের সহিতু থিয় সফিষ্টদিগের করূপ সম্বন্ধ । আমি কর্ণেল অল্কটের বৌদ্ধধৰ্ম্মংক্রান্ত নিতান্ত অৰ্ব্বাচীন ধরণের একটি প্রশ্নোত্তরমালার উল্লেখ করিব মাত্র ; প্রধানপুরোহিত সুমঙ্গলের অক্টমোদিত হইলেও, এই প্রশ্নোত্তরমালা নিতান্ত সরল নিৰ্ব্বোধ বু্যক্তিদিগের জন্যই রচিত হইয়াছে বলিয়৷ বোধ হয়। আদিম বৌদ্ধ স্বত্রগ্রন্থে উহার প্রমাণ অনুসন্ধান করা বৃথা চেষ্টা । থিয়সফিষ্টর যে গ্রন্থকে তাহীদের ইমারতের সুদৃঢ় ভিত্তি-প্রস্তর মনে করেন, আমি কেবল সেই গ্রন্থের উপর সমধিক নির্ভর করিয়৷ এই আলোচনায় প্রবৃত্ত হইব । ঐ গ্রন্থের নামমাত্রেই সমস্ত দ্বিধা বিদূরিত হয়—সেই নামটি—Sinnet প্রণী “গুহ বৌদ্ধধৰ্ম্ম বা হিন্দু গ্রন্থকার প্রথমেই এই বলিয়া আরম্ভ করিয়াছেন যে, যে মতবাদটি তিনি আমাদের নিকট অর্পণ করিতেছেন, তাহ। এরূপ গুপ্তভাবে রক্ষিত হইয়াfছল বে ভারতের কোন গ্রন্থে বা পাণ্ডুলিপিতে তাহার চিহ্নমাত্র খুজিয়া পাওয়া যায় না। যদিও আমি এ স্থলে থিয়সফির সত্যতা সম্বন্ধে বিচার করিতে আদৌ ইচ্ছা করি না, তবে এইটুকুমাত্র আমি বলিতে চাই যে, মিষ্টার সিনেট্‌ মাহা বলিয়াছেন তাহ সমস্ত প্রাচীনকালের গুহা-মতবাদের Positivism”