>めや করিয়াছেন,--“ভারতবর্ষের পুরাপ্রচলিত শিল্প-সংস্কার অতিক্রম করিয়া, গ্ৰীকশিল্পের রচনারীতি এবং রচনা-মান ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পারে নাই। হিন্দুশিল্পের প্রকৃত গুণাবলী সম্বন্ধে মতভেদ থাকিতে পারে, কিন্তু হিন্দুশিল্প আদ্যন্ত হিন্দুসংস্কারের বশবৰ্ত্তী হইয়াই বিকাশ লাভ করিয়াছে, গ্রক-সংস্কারের বশবৰ্ত্তী হয় নাই । কেবল সাজসজ্জার মধ্যেই বিদেশাগত শিল্পপ্রভাবের পরিচয় খুঁজিয়া বাহির করা যাইতে পারে, তাহ বাহ্য প্রভাব মাত্র এই বাহ প্রভাব ভারতবর্যের সকল, যুগের সকল প্রদেশের শিল্পকলার মধ্যে আবিষ্কৃত হইতে পারে নাই। যে যুগের যে প্রদেশের শিল্পকলায় ইহার পরিচয় আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার আলোচনায় ব্যাপৃত হইয়া, মনীষিগণ “গান্ধার-শিল্প” বলিয়। তাহার নামকরণ করিয়াছেন। “গান্ধার-শিল্পের’ লক্ষ্য কি ছিল, এখনও তদ্বিধয়ক সকল তর্ক নিরস্ত হইয়াছে বলিয়া বোধ হয় না। তাহ কি ভার তশিল্পকে + Greek artistic cannons and rules of proportion never succeeded in making headway against tho, strong current of Indian tradition. Hindu Sculpture, whatever may be thought of its intrinsic quality continued to be Indian on the whole, guided by Indian not Greek principles. The foreign influences, Assyrian, Persian, or Greek, had merely superficial effect, chiefly traccable in decorative details.-- Vincent Smith's History of Fine Art in India and Ceylon, p. 8. বঙ্গদর্শন ১২শ বৰ্ষ, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৯ গ্ৰীক ভাবাপন্ন করিবার চেষ্টা করিয়াছিল ? যে সকল নিদর্শন বর্তমান আছে, তাহাতে দেখিতে পাওয় যায়,—“গান্ধীর শিল্প” গ্রীক শিল্পকেই ভারত-ভাবাপন্ন করিবার চেষ্টা করিয়াছিল। সে চেষ্টা যখন তুফল হইয়াছিল, তখন “গান্ধীর-শিল্পের” স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছিল। যত দিন সে চেষ্টা সফল হয় নাই, ততদিন সফলতা লাভের আয়োজন চলিতেছিল। যে সকল শিল্পনিদর্শনে সেই আয়োজনের পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহাই “গান্ধার-শিল্প” নামে কথিত হইয়। আসিতেছে। তাহাকে গ্রীকশিল্প বলিয়া অভিহিত করা যায় না। ভারতবর্যই তাহার প্রকৃত উদ্ভব-ক্ষেত্র। ভারত শিল্পকে বিচ্ছিন্নভাবে অধ্যয়ন করিবার উপায় থাকিলে, তাহাকে সহজেই আয়ত্ত করিবার সম্ভাবনা থাকিত। ভারতশিল্প ভারত-সমাজের সকল প্রকার* আত্মবিকাশচেষ্টার সঙ্গে এক স্বত্রে গ্রথিত হইয়া রহিয়াছে বলিয়াই, সহস সকল কথার মীমাংসা-সাধনের উপায় নাই । ভারতবর্ষের প্রাকৃতিক সংস্থান, তাহার সভ্য অসভ্য সমগ্র মানবসমাজ, ভারতবর্ষের আত্মবিকাশ-চেষ্টার গতি নির্দেশ করিয়াছে ;- ভারতবর্ষের “প্রচণ্ড সুৰ্য্যঃ পূহনীয় চন্দ্রমা" , তাহার গতি নির্দেশ করিয়াছে ; ভারতবর্ষের জল-স্থল-অন্তরীক্ষ, বৃক্ষবনম্পতি-পৰ্ব্বতমালা, নদনদী-মহাসাগরও তাহার গতি নির্দেশ করিয়াছে। তাহাকে উপেক্ষা করিয়া, ইতিহাস সঙ্কলিত হইতে পারে না ; ইতিহাসকে উপেক্ষা করিয়াও, শিল্প-সৌন্দৰ্য্য আলোচিত হইতে পারে না
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।