باران لا fবল। তী সমাজে যে অত্যন্ত্রসংখ্যক সাময়িক পত্রের সম্পাদক ও লেখক এই লক্ষ্যের অনুসরণ করিয়া চলিতে চেষ্টা করিয়াছেন, ষ্টেড, তাহদের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান ছিলেন। যে কালে ষ্টেড, এই আদর্শ ধরিয়া চলিতে আরম্ভ করেন, সে কালে বিলাতী সংবাদপত্র সম্পাদক ও লেখকবর্গের ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীনতা বলিয়া কোনো বস্তু ছিল না। যে পেল্ মেল্ গেজেটকে আশ্রয় করিয়৷ ষ্টেড, বিলতের সাময়িক সাহিত্যে অসাধারণ প্রসিদ্ধি লাভ করেন, সেই পেলু মেল্ গেজেটের সঙ্গেও বেশী দিন একসঙ্গে কাজ কর। তঁহার পক্ষে অসম্ভব হইয়া উঠিল। ষ্টেড, “পেলু মেল্” পরিত্যাগ করিলেন। যে আদর্শের অনুসরণ করিতে যাইয়। তাহাকে পেল্ মেলু ছাড়িয়া দিতে হয়, অন্য কোনো সংবাদপত্রের বেতন-ভোগী সম্পাদক বা লেখকরূপে সেই আদর্শের অনুসরণ করা সস্তব ছিল না। আপনার জীবনের লক্ষ্য সাধনের জন্য ষ্টেড কে তখন আপনার সত্ত্বাধীনে একখানি সাময়িক পত্র প্রতিষ্ঠার আয়োজন করিতে হয়। এইরূপেই তাগর বিশ্ববিশ্রীত রিভিউ অব, fafeeceia Review of Reviews ) উৎপুত্তি হয় । আপনি এই পত্রের সত্ত্বাধিকারী ও আপনি ইহার সম্পাদক ও পরিচালক হইয়া ষ্টেড বিগত বাইশ বৎসর কাল আধুনিক সভ্যসমাজে আপনার পবিত্র লোকশিক্ষারতের উদ্যাপন করিয়া গিয়াছেন। “রিভিউ-অব-রিভিউঞ্জ যে অকপটে যে আদর্শের অনুসরণ করিতে চেষ্টা করে, বিধাতাপুরুষ স্বয়ং বঙ্গদর্শন [ ১২শ ৭ম, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৯ তাহাকে সেই আদর্শ লাভের উপযোগী বিচার-বুদ্ধি ও শক্তি সাধ্য দান করিয়া থাকেন। ষ্টেডের যে অসাধারণ বুদ্ধি কিম্ব। অলোকসামান্ত দূরদৃষ্টি ছিল, এমন বলা যায় না। কতটা পরিমাণে যে রিভিউ অব fossiès ( Review of তাহার লোকশিক্ষাব্রত উদ্যাপনে সাহায্য করিবে, প্রথম হইতেই যে তিনি এট বুঝিয়াছিলেন এমনও বোধ হয় না । আজি কালিকার দিনে লোকে নিজ নিজ বিষয়-কৰ্ম্ম লইয়। এতই ব্যাপৃত হইয় পড়ে যে বড় বড় মাসিক পত্রে যে সকল গভীর বিয়য়ের আলোচনা হয়, সে সকল পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে পড়িবার সময় ও শক্তি তাহীদের থাকে না বলিলেই হয়। অথচ দুনিয়ার চিন্তাঙ্গোত কোন ভাবে কোনদিকে চলিতেছে এই সকল মাসিকপত্র না পড়িলে তাহার সন্ধান রাখাও অসম্ভব হইয় পড়ে ; এই সকল প্রবন্ধের সংক্ষিপ্তসার সংগ্ৰহ করিয়া কৰ্ম্মব্যস্ত জনগণের হস্তে অপর্ণ করিবার জন্যই রিভিউ অব রিভিউজের জন্ম হয়। ইহা অপেক্ষা কোনো উচ্চতর লক্ষ্য যে ষ্টেড তখন প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন এমন মনে হয় না। আর প্রত্যক্ষ করেন নাই বলিয়াই র্তাহার এই অনুষ্ঠানের অন্তরালে আমরা এখন বিধাতাপুরুষেরই হস্ত দেখিতেছি। ষ্টেড নিজের একখানা দৈনিক সংবাদপত্র না হউক, অন্ততঃ উচ্চ অঙ্গের সাপ্তাহিক বা মাসিক ইংরেজী পঞ্জিকা প্রতিষ্ঠিত করিতে পারিতেন। কেন যে তিনি সে পথে যান নাই জানি না। কিন্তু ইহা জানি যে তিনি রিভিউ অব রিভিউজের সাহায্যে সমগ্র Reviews )
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।