বঙ্গদর্শন। _ টাইটানিকের তিরোধান জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানের ব্যবধানটা যে কত সুহ্ম ও সামান্য, সংসারমোহবিভ্রান্ত মৃত্য সকল সময়ে ষ্টছ বুঝিরা উঠিতে পারে ন। তাই বুলি বিধা গপুরুধ মাঝে মাঝে টাইটানিকের তিরোধানের মত লোমঙ্গসূণ পিপনের ব্যবস্থা করিয়া, আত্মবিস্মৃত জনগণের আত্মচৈতন্তকে জগাইয় দেন। সভ্যত। ৰলিতে আমরা আজি কালি যে দুঃকে 'ঞ্জয়া,থাকি, তাহ একান্তই ইহ-সৰ্ব্বস্ব । এষ্ট সভ্যতার শবুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানবের চিস্ত ও কল্পনার উপরে প্রত্যক্ষ পুরুস্কারের প্রভাপ তথ্যস্ত বাড়িয়। গিয়া, অপেক্ষীকুত “অসভ্য” প্রাচীন সমাজে দৈবের উপরে যে একট। ঐকান্তি চ নির্ভর ছিল, তাত ক্ৰমেষ্ট ক্ষীণ ঠঠয়, একেবারেই নষ্ট হইবার উপক্রম গয়াছে। মাধের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, তার অদ্ভূত উৎীবনীশক্তি, তার আশ্চৰ্য্য কৰ্ম্মকুশলত, এই তঞ্চাকে বাহিরের শক্তিপুঞ্জে প্ৰভু ৪ নিঃস্থ করিয়া তুলিতেছে ; যতই মানুধ আপনার বুদ্ধি-বলে দেশ-কালের নৈসর্গিক বাবধান, জল-স্থলের অতুল্পজনীয় অন্তরায়, :িপ্রকৃতির অনুকূলতা-প্রতিকূলতl, এ সকলকে তুচ্ছ করিয়া, আপনার অভিষ্টসাধনে সমর্থ হইতেছে, ততই তার আপনার উপবে নির্ভরটা অতিমাত্রায় বাড়িয়া উঠিতেছে ; এই নিরটষ্ট আধুনিক সভ্যতার একটা অতি প্রধান লক্ষণ । স্ট্র ও রং এরূপ সভ্যতা যে ধনমানমদগ্নি ছ। " হইবে, ইহা অার বিচন কি ? এ সভ্যতাকে “ আত্মসন্তাবিত শুরু মাঝে মাঝে এরূপ ভাবে নাড়া ন দিলে, তার চৈ গুন্যোদয় হইলে কেন ? 参 岑 #. Y#. 燕 সে আপনার অলৌকিক অধ্যবসায় ও অসাধারণ বুদ্ধির য়রোপ ভাবিতেছিল সে জোরে মিসর্গের প্রতিকুল শক্তি পুঞ্জকে করায়ন্ত করিয়ু ক্ৰমে মাইসকে মৃত্যুঞ্জয় বরিয়া তুলিবে। টাইটানিকের তিরোপানে, ক্ষণিকের জন্য তার সে সুখস্বপ্ন ভঙ্গিয়া গিয়াছে। আমরা এ পথে মৃত্যুকে জয় করিতে যাই নাই। আমরা যাহাকে মৃত্যুঞ্জয় বলিয়া জানি, তিনি যোগেশ্বর, তিনি মহাবৈরাগী, তিনি দ্বন্দীতীত, মৃত্যু ও ক্ষমৃতে রার সমানজ্ঞান, তপঃপ্রভাবে জীব-শিব তার ভিতরে এক হইয়া গিয়াছে। আমাদের মৃত্যুকে জয় করিবার পথ ছিল—যোগের পথ, ভোগের পথ নহে ; ত্যাগের পথ, লোভের পথ নহে ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।