S(t:R বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, আষাঢ়, ১৩১৯ নাছি সে o: ( , ) নাহি সে উৎসাহ, আশা, কামনা, কল্পনা ; আজ আমি মরণের ত্যক্ত আবৰ্জ্জন । শীতে যথা শুষ্ক সর: পড়িয়া নীরবে, কুয়াস দুর্গন্ধ-ভরা গলিত-পল্লবে। উবে গেছে সুখ শোভা সুরভি স্বসার ; রয়েছে শৈবালু পঙ্ক,—যা নহে যাবার ! ( R ) রয়েছে পড়িয়া পিছে কি দীন জীবন । প্রভাত আনে না তার নব জাগরণ । মধ্যাহ্নে পড়ে না আর সে শ্রম-নিশ্বাস ; সীয়াহ্নে আসে না তার আপনে বিশ্বাস । আসে যায় দিনরান, সেই অবসাদ– মানে, জ্ঞানে, কৰ্ম্মে, ধৰ্ম্মে, নাহিক অস্বাদ । (७) ধরা জুড়ে পড়ে আছে সুধু সেই দিন,— সে ফুল্ল উজ্জল চক্ষু হাতেছে মলিন ! চায়—চায়—তবু চায়, কি বলিতে চায়, হৃদয়ের ভাষা তার অধরে মিলায় ! হাতে ধরি, বুকে পড়ি, মুখে রাখি কাণ ; শীতল নিম্পন্দ দেহ, মুদ্রিত নয়নি। (8) মরণ-কালিম দেহে, তবু কি স্বষমা ! রাহুর কবলে যেন পূর্ণিমা-চন্দ্রম। কি মহিমা—কি ভঙ্গিম।–নির্ভয় হৃদয়, এখনি জাগিবে যেন করি মৃত্যু জয়। কোথা তুমি—কোথা আজ মৃত্যু-বিজয়িনী— সৰ্ব্বার্থসাধিকে গৌরী শিবে নারায়ণী । ( & ) দিয়া তব রূপগুণ না হয় মরণে— বঁচিলে না কেন আর দু দিন জীবনে । স্বধুই বুঝয়ে গেলে,—কি ছিলে আমার— জগতের সার তুমি-জীবনের সার । না লইলে প্রেমপূজা—প্রেম প্রতিদান, না করিতে আবাহন, দেবী অন্তৰ্দ্ধান ! (*) মনে হয়,-ছুটে যাই পিছে পিছে তব, হউক ন! যত দুখ, সব দুখ ল'ব। এক দিন-- কোন দিন—যদি কোন কালে, চোগে চোপে দেখা হয় মেঘ অন্তরালে । বলিব না কোন কথা ; দুটি করে ধরি’, চেয়ে—চেয়ে মুখপানে র’ব বুকে মরি’। শ্ৰীঅক্ষয় কুমার বড়াল ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।