৩য় সংখ্যা ] প্রাচীন ইহুদী ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত হয়। এইজন্য ইহুদীয় ধৰ্ম্মকে আজিকালিকার পণ্ডিতের সর্বের ধৰ্ম্ম বা কভেন্যান্ট্যালু faffs H-Covenantal Religion–f-T faTA 1 “ (StTI আমার হুকুম মানিয়া চল, আমার নিদিষ্ট পথের অনুসরণ কর, আমাকে তোমাদের এক মীর দেবতা বলিয়া গ্রহণ কর ; আমিও তোমাদিগকে আমার নিজের লোক বলিয়া সৰ্ব্বদা রক্ষা করিব ও জগতের অপরাপর জাতি সকলের মধ্যে তোমাদিগকে বাড়াইয়া দিব”—ইহুদী-দেবতা জিহোভার এই সৰ্বের উপরেই ইহুদীয় ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত। সুতরাং ইহুদীয় ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম-প্রধান । আর কৰ্ম্ম-প্রধান বলিয়াই ইহুদীয় পস্থায় আত্যন্তিক বৈধভাব বা লিগ্যালিজম (legalism ) দেখা গিয়া থাকে। যিশুখৃষ্টের উপদেশে এই বিধিআনুগত্যই দাস্যরসের দ্বারা অনুরঞ্জিত হইয়া একটা অসাধারণ উৎকর্ষ লাভ করে। কেহ কেহ যিশুর রসকে বাৎসল্য বলিয়াছেন, জানি । যিশু আপনার উপাস্যকে সৰ্ব্বদাই পিতা সম্বোধন করিয়া, আপনাকে তাহার পুত্ররূপেই দেখিতেন, ইহাও সত্য। পিতৃআদেশের ঐকান্তিক ও সগ্ৰেম আনুগত্যই যিশুর সাধনার মূল বস্তু। পিতৃ-ইচ্ছার সঙ্গে আপনার ইচ্ছার আত্যস্তিক যোগ সাধনেই এই আনুগত্যসম্পূর্ণরূপে চরিতার্থ হইয়া থাকে। কিন্তু এই যোগ দাস্য সাধনেও সম্ভব । এই যোগ দাস্যরসেরও সাধ্য। ইঙ্গই দাস্য ভাবের বিশেষত্ব। দাস্যের রস উচ্চতর বাৎসল্যতেও আছে। “পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব রসের ভাব পরে পরে বৈসে।” কিন্তু ইহা,বাৎসল্যের বিশেষত্ব নহে। দাস সৰ্ব্বদাই প্রভুর আজ্ঞাধীন হইয়া চলিতে চাহে। প্রভুর আজ্ঞা-পালনেই হিন্দুর ধৰ্ম্মের বিচিত্রত ➢( ማ তার মুখ, তার আনন্দ, তার সৰ্ব্ববিধ শ্রেষ্ঠ সার্থকতা লাভ হইল মনে করে । পুত্র পিতার অনুগত হয় বটে, কিন্তু সে আনুগত্যের প্রকৃতি স্বতন্ত্র। তার মধ্যে এমন একটা মুক্তভাব থাকে, এমন একটী সহজ স্বাধীনতা থাকে, যাঙ্গ দাস্য সম্বন্ধে পাওয়া যায় না। পুত্র পিতার কথা যদি কখনও নাও শোনে, তাহাতে তার বাৎসল্য রসের নিতান্ত ব্যাঘাত হয় না। পুল কথনও বা আপনাকে পিতার সমান, কখনও বা পিতা অপেক্ষা বড়ও মনে করিয়া থাকে, আর কখনও বা আপনাকে নিতান্ত ক্ষুদ্র ও অসঙ্গীয় বলিয়াও ভাবে । এরূপ রসলৈচিত্র্য দাস্যভাবে পাওয়া যায় না । এ সকল বৈচিত্ৰ্য যিশুর মধ্যেও দেখা যার নাট, এইজন্যই যিশুর ভাবকে ঠিক বাৎসল্য বলা যার না। এরূপভাবের সঙ্গে ইহুদীর সাধনার ঐকাস্তিকু সঙ্গতি অসম্ভব ছিল। কিন্তু এই কৰ্ম্ম-প্রধান যিশুধৰ্ম্মই যখন গ্রীশে যাইয়া পড়িল, গ্রীশীয় সাধন। যখন যিশুকে আত্মসাৎ করিতে আরম্ভ করিল, তখনই তাহার মৌলিক বৈধভাবটা ক্ষীণ হইতে লাগিল, এবং আদিতে যে ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম-প্রধান ছিল, তাঙ্গই ক্রমে নূতন মাটির নূতন রসের জোরে একান্তই জ্ঞানপ্রধান হইয়া উঠিল। আমরা আজি কালি যাঙ্গকে খৃষ্টীয়ান্ ধৰ্ম্ম বলিয়া জানি, তাঙ্গার ইহুদীয় ভাব একেবারে লোপ না পাইলেও নিতান্তই ক্ষীণ হইয়া গিয়াছে। আর গ্রীশের দার্শনিক চিন্তার প্রভাবেই তাহার মধ্যে অতি গভীর তত্ত্বাঙ্গের প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। খৃষ্টীয় ত্রিত্ববাদ প্রভৃতি গভীর তত্ত্বকথা গ্রীশেরই কথা, ইহুদীর কথা নহে । যিশুর ইহুদী শিষ্যগণের হাতে এ সকল ফোটে নাই। আলেকজেণ্ডিয়ার তত্ত্বজ্ঞানী
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।