পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

য়৩ সংখ্যা ] প্রকৃতির মধ্যে অতীন্দ্রিয় জগতের প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠা হয় নাই, তাহাকে অমূৰ্ত্তের উপাসনায় প্রবৃত্ত করা বিড়ম্বন মাত্র। সে কেবল শব্দ মাত্রই শুনিবে, সে শব্দের মৰ্ম্ম গ্রহণে কখনই সমর্থ হইবে না । সে নিরাকারের ভজন করিতে যাইয়া, দেবতাপক্ষে যত ইন্দ্রিয়ের উপরে যাইবার চেষ্টা করিবে, নিজের সাংসারিক ও বৈষয়িক জীবনে ততই ইন্দ্রিয়ের ও বিষয়ের দ্বারা আরও অধিক অভিভূত হইয়া পড়িবেই পড়িবে। প্রোটেষ্টাণ্ট খৃষ্টীয়ান সম্প্রদায় তার সাক্ষ্য । আর বার প্রকৃতি অতীন্দ্রিয়ের অধিকারে যাইয়া পৌছিয়ছে, সে রাম নামই করুক, আর পুষ্ট নামই করুক, ভারত, আয়ল্যাণ্ড ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য নীতি N?為 সে সেই নামের ভিতরেই যিনি নামরূপের অতীত তাহার সাক্ষাংকার লাভ করিবে । অনেক হিন্দু ও ক্যাথলিক খৃষ্টীয়া সাধক ইহার প্রমাণ । আর হিন্দু এ সকল তত্ত্ব অতি পরিস্কাররূপে ধরিয়াছেন বলিয়াই, তাহার ধৰ্ম্মে মূৰ্ত্ত ও অমূৰ্ত্ত, সাকার ও নিরাকার, অতি ঘোরতর তামসিক, অতি প্রবল রাজসিক, ও নিরতিশয় সাত্ত্বিক, এই সকল বিচিত্র ও পরস্পর বিরোধী মহা মতের ও সাধন-সিদ্ধাস্তের প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। আর ধম্মের তত্ত্বকে গুহাতে— মানব প্রকৃতির মূলে—প্রতিষ্ঠিত করিয়াই, হিন্দু আপনার ধৰ্ম্মকে এত উদার ও তাঙ্গতে এত বিচিত্রতার সমাবেশ করিতে পারিয়াছেন। শ্ৰীহরিদাস ভারতী । ভারত, আয়লাণ্ড ও ব্রিটিশ-সাম্রাজ্য নীতি কেবল চীনের অভু্যুথান বা গ্যান্‌ইলামিজমের আশঙ্কা হইতেই যে লাট ইর্ডিঞ্জের বর্তমান ভারত-শাসন-নীতির প্রতিষ্ঠা হইয়াছে, তাহা নহে । সমস্ত সভ্য'জগতের, এবং বিশেষতঃ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বর্তমান অবস্থার সঙ্গে ইহার অতি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রহিয়াছে। সভ্যজগতে তিনটী পিপুল শক্তি ক্রমে ‘পরম্পরের বিরুদ্ধে তাত্মপ্রতিষ্ঠার” আয়োজন করিতেছে । সমগ্র শ্বেতাঙ্গ জাতি সকল, আশিয়া ওআফ্রিকার অভিনব অভু্যদয় আকাঙ্খা দেখিয়া চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছে। এই আকাঙ্কার সফলতার সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক জগতে ধেত কৃষ্ণের একটা তুমুল বিরোধ বাধিবার আশঙ্কা জাগিয়াছে। শ্বেতাঙ্গসমাজ এখন এশিয়ায় ও আফ্রিকায় যে অসংযত প্রভাব ও প্রভুত্ব বিস্তার করিয়া বসিয়াছেন, ইঙ্গ তার বেশি দিন যে অপ্রতিহত থাকিবে, এমন মনে হয় না । জাপানের অভু্যদয়-লাভের সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর ও পূৰ্ব্ব কাশিয়ায় যুরোপের রাজ্য-বিস্তার চেষ্টা চিরদিনের জন্য প্রতিহত হইয়াছে। চীনের অভু্যত্থানের ফলে আশিয়ার য়ুরোপের প্রভাব আরও কমিতে আরম্ভ করিবে। ক্রমে হয়ত যুরোপীয় জাতি সকলকে কেবল যে তাশিয়া ছাড়িরা যাইতে হইবে, তাহা নহে ; কিন্তু একবার যদি চীন-জাপান একত্রিত হইয়া, একটা মঙ্গোলীয় শক্তিসুজ্য গড়িয়া তুলিতে পারে, তাহা হইলে, তাঙ্গর ছুর্ণিবার