Ֆ Գօ ইংরেজীতে এই ভিন্ন ভিন্ন পদকে কোসবলে। কোথাও বা হোটেলের টেবিলের খাওয়ায় তিন কোসের কোথাও বা পাচ, কোথাও বা সাত কোসের ব্যবস্থা থাকে। এটা পূর খাওয়া। Table a' Hote মতে খাইলে একটা বাধা দাম দিতে হয়। প্রাতঃকালেও খাওয়ার জন্য মাঝারি রকমের হোটেলে দেড় কি দুই শিলিং—আমাদের টাকার আঠারো আনা কি দেড় টাকা দিতে হয় ; ব - বড় হোটেলে আড়াই শিলিং হইতে সাড়ে তিন শিলিংও লাগে। কিন্তু cattātā isoto co Table d'Hote to হিসাবে থাইতে হইবে, এমন কোনো কথা নাই। প্রত্যেক পদেরও স্বতন্ত্র দাম ধরা থাকে। খাবার টেবিলে, একথান কার্ডে জিনিসের নাম ও দাম লেখা থাকে। যার যেমন পয়সা ও যেরূপ রুচি সেই হিসাবে, এই কার্ড দেখিয়া যে পদ ইচ্ছা লইতে পারেন। এ ব্যবস্থাকে A la Carte বলে। কথাটা ফরাসী, অর্থ কার্ডের মাফিক। অনেক লোকেই প্রাতঃকালের খাওয়াট কার্ড দেখিয়া, সংক্ষেপে চুকাইয়া থাকেন। আমি হোটেলের আফিসে নাম ধাম লিখিয়া একটা ঘর লইলাম। অপরিচিত লোকে ঘর ভাড়া করিলে, ভাড়ার টাকাটা আগামই দিতে হয়। কিন্তু আমার সঙ্গে আমার বড় ট্রাঙ্ক ও অন্যান্ত বাকুস ছিল বলিয়া, আমাকে আর আগাম টাকা দিতে হয় নাই। সে রাত্রে কেবল এক পেয়াল চা খাইয়াই শুইয়া পড়িলাম। আমার প্রত্যুষে জাগা চিরদিনের sঅভ্যাস । সেই অভ্যাস মত ভোরেই বঙ্গদর্শন [ $२* वं, एकाक्षि,ि $७ss ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। চোক মেলিয়া দেখিলাম জানালার ফাক দিয় ঘরে দিব্যি আলে৷ ঢুকিয়াছে। বাহিরে, রাস্তায় গাড়ীঘোড়ার চলাচলের গোলও উঠিয়াছে। ভাবিলাম এখন ওঠা ভাল। কিন্তু ঠাণ্ড জলে মুখ হাত ধোওয়া তো চলে না, আর বিন। আগুনে ঘরে বসাও যায় না, তাই চাকরাণীর জন্য ঘণ্ট বাজাইলাম । একবার, দু’বার, তিন বার বারম্বার দড়ি টানিয়া ঘণ্ট বাজাইতে লাগিলাম । কিন্তু কা কস্ত পরিবেদনা ? কেউ যে সাড়া দেয় না । শেষে হতাশ হইয়। আবার শয্যায় আশ্রয় লইলাম। এদিকে ঘর আলোতে ভরিয়া উঠিল। বাহিরেও গাড়ীখোড়ার গোলমাল বাড়িতে লাগিল। তথাপি চাকর-বাকর কারো উচ্চ-বাচ্য নাই। মনে মনে ভারি বিরক্ত হইয়৷ উঠিলাম। একবার ভাবিলাম কালে বলিয়া কি এর তুচ্ছ করিতেছে ? এত ডাকাডাকি, হাকাহাকি তবুও কেউ একজন এলো না। তখন মনে বড় রাগ হইল । তাই খুব জোরে ঘন্টার দড়ি নাড়িতে আরম্ভ করিলাম। অনেকক্ষণ ধরিয়া আবার ঘণ্টা বাজাইলাম। তখন একজন আসিয়া দরজায় ঘা দিল। আমি ক্রোধভরে বলিলাম—“এতক্ষণ ধরিয়া আমি ঘণ্ট। বাজাইতেছি, এক জনও তার উত্তর দিল না, এর মানে কি ?” সে ব্যক্তি বলিল— “হোটেলের চাকরচাকরাণীরা আটটার আগে উঠে না ; কাজেই 'কেউ সাড়া দেয় নাই। ঐখন সবে সাতটা বাজিয়াছে।” কাজেই আমাকে তৃতীয় বার
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।