পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] আননের দিনে প্রত্নবাসী সপ্ততিলক্ষ রাজভক্ত বাঙ্গালী প্রজার গৃহকে অন্ধকারে আবৃত রাখিয় তাহদের নয়ন হইতে শোকাশ্ৰ-ধারা প্রবাহিত করাইয়াছে। আজিও সেই অন্ধকার এবং সেই অশ্রপাত চলিতেছে, জা,ন না কবে তাহার নিবৃত্তি হইবে, মহানুভব বড়লাট কবে ৭• লক্ষ বাঙ্গালীর গৃহের এবং হৃদয়ের সেই গাঢ় অন্ধকার ঘুচাইবেন, সেই বক্ষঃপ্লবী অশ্রু মুছাইবেন! অন্তান্ত প্রাস্তবাসী বাঙ্গালীর এ সম্বন্ধে কাহার কি বলিবার আছে, কাহার প্রাণে কিরূপ তীক্ষু শূল বিদ্ধ হইয়াছে ঠিক জানি না ; কিন্তু ন্যায়-শাস্ত্রে যুগান্তর-প্ৰবৰ্ত্তক রঘুনাথ শিরোমণির জন্ম-স্থান, পতিত-পাবন মহাপ্ৰভু চৈতন্যদেবের পিতৃভূমি, ভগবৎকৃপায় জলন্ত বিশ্বাস-প্রদীপ্ত মহাপুরুষ অদ্বৈতাচার্যের বালা-লীলা-নিকেতন শ্ৰীহট্ট, আঙ্গ বঙ্গদেশ হইতে বিচ্ছিন্ন, ঐ সকল ভারত-বিশ্রীতকীৰ্ত্তি বাঙ্গালী মহাপুরুষদিগের স্বজাতীয় এবং স্বদেশীয়েরা আজ বাঙ্গালী বলিয়া পরিচয় দিবার অধিকার হইতে বঞ্চিত! ব্রিটিশ অধিকারের পূৰ্ব্বে যে রাজ্যের বিধি-ব্যবস্থ৷ প্রজাসাধারণের অবগতির জন্ত বঙ্গভাযায় নিবন্ধ হইত, যে হেড়ম্ব-রাজ্যের বঙ্গভাষায় লিখিত দণ্ডবিধি বৰ্ত্তমান থাকিয়া আজও বঙ্গভাষার প্রাচীনতা এবং প্রভাব প্রচার করিতেছে, আজ কি না সেই হেড়ম্ব-রাজ্যের বঙ্গভাষাভাষী প্রজাবগ্ন মহিমাম্বিত ব্রিটিশ জাতির অধিকারে আসিয়া বাঙ্গালী জাতি হইতে বিচ্ছিন্ন হইতে বসিয়াছে! দগ্ধ হৃদয় ব্যতীত এ দুঃখ রাখিবার আর স্থান কোথায়? এ দুঃখের কথা মহামান্ত সম্রাটু এবং তাছার উদারচেতা প্রতিনিধি ব্যতীত আর কাছার নিকট নিবেদন করিব ? সভাপতির অভিভাষণ እ›ፃ: কেহ কেহ বলিতেছেন, আর র্কাদিয়া ফল কি? প্রাস্তবাসী বঙ্গলার অদৃষ্টে যাহা হইবার হইয়া গিয়াছে, তাহার ও দ্য আর বৃথা আক্ষেপ এবং বৃথা আন্দালনে কেবল মানসিক কষ্টেরই বৃদ্ধি। "যথানে অস্ত্রের লেখা, ব্যথা সেই খানে" এই মৰ্ম্মস্থদ ব্যবস্থা যাহাঁদের ভাগ্যে ঘটিয়াছে, তাহারাই এই ক্ৰন্দন এবং এই আক্ষেপের অর্থ বুঝে, अछ न्द्र मैक्लिाइंभ्रां ऊांशग्न कि नृशिरद ? কিন্তু আমাদের ক্ষীণকণ্ঠের ক্ষীণস্বর উখিত হইয়া আবার বাতাসেই লীন হইয়া যাইতেছে ; যাহদের কর্ণে পছছিলে এ দুঃখের প্রতীকার হইতে পারিত, তাগাদের কর্ণে আমাদের এ ক্ৰন্দন মে মন ভাবে পহুছিতে পারিতেছে না। প্রাস্তবাসী বাঙ্গালীর এই ক্রমান রাজকর্ণে পন্থছিবার অন্তরায় অনেক । এই ৭• লক্ষ অধিবাসীর বসতি একস্থানে নহে, তাহাদের বাসস্থান একটি সঙ্কীর্ণ রেখায় ন্যায় দূর-বিস্তীর্ণ বঙ্গের প্রায় তিন দিক ব্যাপিয়া রহিয়াছে, সুতরাং তাহার এক প্রাস্তের ক্রনদনরোল অন্তগ্রাস্তে পহুছে না—আপনার আদ্য এখানে যাহা বলিতেছেন এবং যাহা করিতেছেন, সাওতাল পরগণা বা মানভূম সিংহভূম প্রভৃতি স্থানের বাঙ্গালীরা কখনও তাহার সংবাদ পাইবেন কি না সন্দেহ । তাহার পরে এই সকল প্রাস্তবত্তী প্রদেশে একমাত্র শ্রীহট্ট ছাড়া আর এমন একটি স্থান নাই যাহা শিক্ষা প্রভৃতি সভ্যতার উপকরণে বাঙ্গালার কোন জেলার সমকক্ষ হইতে পারে। সৰ্ব্বোপরি সভা-সমিতি বা সংবাদ পত্রাদির এমন কোন ব্যবস্থা নাই, যন্ধুরা তাছার পরস্পরের অবস্থা এবং মনোভাব