Ꮌbr☾ ভ্রষ্ট হইয়৷ অষ্ঠের মধ্যে গৌরবের উচ্চাসন লাভ করিলেও আমরা তাহাতে মুগী হষ্টতে পারি না, শান্তি পাইতে পারি না । বলিয়াছি, বাঙ্গালা এবং বাঙ্গালীর সঙ্গে যোগরক্ষার এখন আমাদের প্রধান অবলম্বন বঙ্গালাভাষা এবং বাঙ্গালাসাহিত্য । বাস্তবিক ইঠাই বৰ্ত্তমানে উভয়ের মধ্যে একমাত্র বন্ধন-স্বত্র। প্রান্ত প্রদেশে এই বন্ধন দৃঢ় করিবার পন্থী কোথায় কি অবলম্বিত হইতেছে, আমরা কিছুই জানি না, এবং জানিবার উপায়ও নাই ; কিন্তু এই সুরমোপত্যকার মধ্যে বঙ্গসাহিত্যের আলোচনা কিরূপে দ্ধিত হইতে পারে, মাতৃভাষার উন্নতি কিরূপে সাধিত হইতে পারে, যুক্তবঙ্গ এবং প্রান্ত-বঙ্গের সাহিত্যসেবিগণ কি উপায়ে পরস্পরের সঙ্গে যোগরক্ষা করিয়া চলিতে পারেন, আমাদের বৰ্ত্তমান অবস্থায় তাহার নিদ্ধারণ এবং অবলম্বন একান্ত প্রয়োজনীয় হইয় উঠিয়াছে। বঙ্গ-ভারতীর মনীষী সেবকগণ বঙ্গায় চতুর্দশ শতাব্দীর প্রারম্ভ হইতে জাতীয় সাহিত্যিক তপস্যায় বিশেষভাবে অগ্রসর হইয়াএ পর্য্যন্ত নানা উপায় অবলম্বন করিয়াছেন এবং করিতেছেন। বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিযৎ এবং সাহিত্য সভা রাজধানীর উচ্চমঞ্চে দণ্ডায়মান থাকিয় চারিদিকে সযত্ন এবং সতর্ক দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেছেন, বঙ্গ ভারতীর সাহিত্যসাম্রাজ্যের সীমারেখা কোন দিকে সঙ্কীর্ণ না হয়, তাহার প্রভাবে কোন দিকে ক্ষুণ্ণত না ঘটে, বুঝি বা ইহাই দেখিবার জন্য দৃষ্টিকে সজাগ রাখিয়ছেন। আবার উত্তর-বঙ্গ সঙ্গিতা পরিষং তারুণ্যের স্বভাব-স্বলভ উৎসাহ এবং তমুরাগবশতঃ লঙ্গের বঙ্গদর্শন ১২শ বর্ষ, আষাঢ়, ১৩১৯ প্রান্ত প্রদেশকে দৃঢ়ৰূপে আলিঙ্গন কফি হৃদয়ে ধারণ করিতেছেন ; পরস্তু তাহাতেg তৃপ্ত না হইয়া প্রতিবাসী আসামকেও নিতা। আপনার করিয়া লইবার জন্তই যেন বাং হইয়াছেন। আমাদিগের প্রতি বঙ্গীয় ভ্রাত্ত দিগের যখন এত স্নেহ এবং এত অম্বুরা দেখা যাইতেছে, তখন আমাদের নিরাশ হইবা কোন কথা নাই, আমাদের এই মাতৃভাষা এবং জাতীয় সাহিত্যরূপ বন্ধনরজ্জ্বকে অবলম্বন করিয়াই তাহাদিগের সঙ্গে জাতীয় উন্নতি-পথে একযোগে চলিতে পারিব । সাহিত্যের আদর্শ সাহিত্যকে অবলম্বন করিয়াই পতনের অবস্থা হইতে উখনি করিতে হইবে তখন ইহার একটা পূর্ণাঙ্গ আদর্শ আমাদের মনশ্চক্ষের সম্মুখে স্থির রাখা উচিত। বঙ্গ সাহিত্যের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে দেখা ধা, অনেক সাহিত্যিকই যেন বৈচিত্র্যের জুন্য বাস্ত হইয়া পড়িয়াছেন। অবশ্য সাহিত্য যখন পূর্ণতা লাভ করে, তখন বৈচিত্র্য সংযোগে তাহার সৌন্দর্য্য, মাহাত্ম্য এবং সমুদ্ধি বৰ্দ্ধিত হয় । কিন্তু আমার যেন বোধ হয়, বঙ্গসাহিত্যের সে সময় এখনও উপস্থিত হয় নাই। কেহ কেহ বঙ্গভাষাকে ব্যাকরণের নিগড় এবং বর্ণ-বিন্যাসের শৃঙ্খল হইতে মুক্ত করিবার জন্ত অতিমাত্র ব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছেন, কেহ কেহ বা নিজ নিজ প্রদেশগন্ধ প্রাদেশিকতার আবর্জন তাহার ঘাড়ে চাপাইয় দিয় ভাষাকে আচল এবং অপরিচিত করিয়া তুলিড়েছেন। আবার কেহ বা স্বাধীনতার ততদুর পক্ষপাতী না হইলেও ভাষার প্রসাদ-গুণকে নিতান্তই অবজ্ঞা করিতেছেন । যখন '
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/১৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।