পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] এমন বলি না, স্থানে স্থানে এক আধটা অসাবধানত অীছে, ‘প্রবাসের সুখে অত্যাচারের অত্যাচার আছে, দুই একটা ফুট নোটেও রসিকতা একটু মেঠো’ হইয়াছে। ত৷ এ সকল ক্রটি ধর্তব্যের মধ্যেই নহে। ফোয়ারা-রচনায় পাণ্ডিত্য আছে, এ কথা বলিয়াছি, কিন্তু পাণ্ডিত্যের চেয়ে সরসতার জন্যই ফোয়ারীর আদর বেশী হইবে । ভূগোলে পড়িয়াছিলাম, পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্থল ; সে বোধ হয় মান্ধাতার আমলের নির্দেশ ; সকল দেশের কথা ঠিক বলিতে পারি না কিন্তু এখন বাঙ্গালার নদ নদী খাল বিলের অবস্থা দেখিলে স্পষ্টই বোঝা যায়, লের পরিমাণ বাড়িতেছে। পৃথিবীতে রসের ভাগও এষ্টরূপে ক্রমেই কমিতেছে। কি প্রকৃতিতে কি যানবহৃদয়ে সৰ্ব্বত্রই সরসঙ্গ কমিয় কাঠিন্য বৃদ্ধি পাইতেছে। সুতরাং সাহিত্যজগতে যে ইহার বৈলক্ষণ্য ঘটিবে ইহা বিচিত্র নহে। অন্ত দেশের সাহিত্যের কথা, জোর করিয়া বলিবার সাধ্য আমার নাই, কিন্তু বঙ্গসাহিত্যে আজকাল হাস্যরসের, পরিহাসরসিকতার বড়ই অভাব। বাঙ্গালার দীনবন্ধু, মাইকেল বঙ্কিমবাবুর "কমলাকান্ত’ যে ভাবে হাসাইয়া গিয়াছেন, সে হাসি আর কেহ হাগাইতে পারে না। কয়েক বৎসর পূর্মে কোন আধুনিক কমলাকান্ত প্রয়াগে দেখা দিয়াছিলেন, কিন্তু প্রয়াগে হিন্দু পূৰ্ব্বপুরুষের জন্য যাহ। “দান" করিতে যান নবীন কমলাকাস্তুও স্বৰ্গীয় কমলাকান্তের বা বঙ্গ রস-সাহিত্যের তাহাই “প্রদান" ফেয়ার 3.>○ করিয়াছিলেন মাত্র । রবীন্দ্রনাথ এখন আর রহস্য আলোচনা করেন না, তিনি এখন ঋষিত্বে অগ্রসর ; অমৃতলালের অমৃতধারাও ক্ষীণ হইয়াছে । দ্বিজেন্দ্রলাল এখন রস পরিপাক করিয়া “নাটক” জমাইতেছেন— আর দুই একজন র্যার রসের পাক চাপাইয়াছিলেন তারাও রসিয়া গিয়াছেন, তাই আজ বঙ্গসাহিত্যের এই রসহীনতার দিনে ললিত বাবুর ফোয়ারায় আমরা তৃপ্ত এবং আশান্বিত হইয়াছি। ফোয়ারায় ষোলটি মূল প্রবন্ধের মধ্যে ১৮টি চুটকি,আর খানিকটা চুটকি সাহিত্য— সেটাকে আধখান রচন। বলিলেই চলে— সুতরাং মোটের উপর সাড়ে আঠারটি চুটুকি আছে। অক্ষয় বাবুর “সাধারণী” সাড়ে আঠার ভাজার প্রসঙ্গে বলিয়াছিলেন, ইহাতে সব আছে, এমন কি আধখানা লঙ্কাও আছে, নাই কেবল একটু জল অর্থাৎ রস । কিন্তু আমাদের ললিত বাবুর এই সাড়ে আঠার ভাজায় লঙ্কাও আছে আবার জল বা রস তাও ঢালাও । যদি সে রস কেহ খুজিয়া না পান তবে বুঝিব তাহার রসাস্বাদনের দিন কাল গিয়াছে। আমরা মনে করিয়াছিলাম, গ্রন্থ হইতে কিছু কিছু উদ্ধৃত করিব, কিন্তু “কূপে পশু পয়োনিধাবিব জলং গুহ্বতি তুল্যং ঘটং” এ রসের সাগরের পরিচয় ঘটের সাহায্যে কি दूरोंiश्रृ ? যিনি এ রসের পরিচয় ষোল আনা পাইতে চান, তিনি বারো আনা খরচ করিয়া পাঠ করুন, হাতে হাতে চারি অান লাভ