২৩৮ বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ম, শ্রাবণ, ১৩১৯ এবং জড়ের অমরত্ব দেখিতে চাহি না । মহাভারতের আমল হইতে আমরা কৃষ্ণের জীব। কৃষ্ণ যদুবংশ প্রভৃতি ধ্বংস করুন। আমর যেন অচল আয়তনের মধ্যে থাকি। কবি যেন সেটা ভুলিয়া না যান। করুণাময়ী মা শিশুকে ক্রোড়ে লউন । যখন মায়াতরবারি লইয়া বিশ্বগৃহ-প্রাঙ্গণে ভাই ভাই খুনখুনি করিবে তখন মাতার অশ্রু দেখিয়া তাহারা ভুলিয়া যাইবে । খুনখুনির মধ্যে আমরা জ্ঞান এবংবিজ্ঞান, আত্মার শ্ৰীস্বরেন্দ্রনাথ মজুমদার । দ্বিপ্রহর—বর্ষানিশ • 2 নিশ্বাস হ’তেছে ক্ষীণতর, দ্বিপ্রহর ; বর্ষানিশ ; বাড়িছে মৃত্যুর পরিসর। অন্ধকার দশ দিশা, দুর্গদ্বারে এক সান্ত্রী মত, জীবনে জাগিয়া অবিরত ! ૨ প্রতি পলে, প্রতি শ্বাসে জীবন ওটায়ে আসে-— বুঝিতেছি অতি পরিষ্কার! উঠি, বসি, চলি বার বার। \ులి নিশা না পোহীতে চায়, জীবন না ছুটী পায় ! দূরে বাজে রাজার তোরণে তৃতীয় প্রহর—কতক্ষণে ! 8 একে একে, গণি গণি— মিলাল ঘটিক-ধ্বনি দুলে দুলে সমীরে, তিমিরে, নদীপারে অরণ্যের শিরে। & দ্বিগুণ নিস্তব্ধ সব ; করিতেছি অনুভব—- رین কিছুতে কাটে না কাল, রচিতেছি চিন্তাজাল কত কি যে জড়ায়ে—জড়ায়ে, ‘গুটী সম, আপনা হারায়ে।
- মাঝে কোথা তুলে যাই— আকাশের পানে চাই অভ্যাসে জুড়িয়া দুই কর। শূন্ত দৃষ্টি-কি শূন্ত অন্তর!
br পেচক ডাকিল দূরে, বাদুড় পলাল উড়ে, ফেরুপাল করিল চীৎকার। আচল অটল অন্ধকার । సె নাহি আশ, নাহি ত্রাস, , খুলে দেছি বক্ষোবাস, এস মৃত্যু, নিৰ্ম্মম বিজয়ী ! প্রতীক্ষায় শত মৃত্যু সহি। শ্ৰীঅক্ষয়কুমার বড়াল