8ર્ણ નરના , কোন আশা, কোন আলো দেখিতেছি না। জানি না তোমাকে হারাইয়। এমনি দুঃখের ভিতর কতদিন বাচিতে হইবে। হা ভগবান—আমার কি কোন উপায় নাই !—ন, না ভগবানকে ডাকিব ন – তিনি ত নিষ্ঠুর ! হেলেন। (8) - শুক্রবার প্রিয়তম, কাল সমস্ত রাত ভেবে ভেবে আমি একটা উপায় স্থির করেছি! আচ্ছ, আমার কাদার কি দরকার। তুমি চলিয়৷ গিয়াছ এখন এ জীবন ত আমার -ইহ রাখি না রাখি আমার হাত ! বেশ কথা ! কথাটা লোকে ভাল বলিবে না, জানি। কিন্তু মনে কর, ডাক্তার আমার ঘুমের জন্য যে ওষুধটা দিয়েছে—সেইটি যদি একটু বেশী করে খাই—খেয়ে একবারে ঘুমিয়ে পড়ি— তারপর, যখন জাগিব—দেখিব তোমার কাছে পোছিয়ছি ; বেশ মজা হয় ! আমি কি বোকা, এ সোজা কথাটা আগে কেন মাথায় আসেনি ? অ’জ মিসেস ওয়েলস্ আসিয়াছিল, সমস্ত ক্ষণ কেবল তোমার গুণগান করিল— তোমার মত ভদ্রলোক না কি সে কখনও দেখে নাই! কি মিথুকি ! তোমার ত মনে আছে যে একদিন তোমার সঙ্গে দেখ। করিতে আসিয়াছিল, তুমি চাকরকে বলিলে —“বল গে আমরা দু’জনেই মরিয়া গিয়াছি।” দরজাটা খোলা ছিল, মিসেসূ ওয়েলস্ সব কথা শুনিতে পাইয়াছিল। মিলন S.○○ আর আজ সে আসিয়াছে তোমার মুখ্যাতি করিতে ? সে কথা যকৃ । তোমার সঙ্গে আবার দেখা হইবে, এই আনন্দে আমার হৃদয় ভরিয়া উঠিয়াছে। ক'দিন তোমাকে দেখি নাই, তাই বসিয়া বসিয়া তোমাকে মনে আনিতেছিলাম । মনে পড়িতেছিল তুমি যেন টেনিস খেলিয়৷ ফিরিতেছ—সাদা ফ্রানেলের পোষাকে তোমার বলিষ্ট দুর্থ দেহ আরো সুন্দর দেখাইতেছে ! છૂમિ যেন নদী হইতে স্বান করিয়া ফিরিতেছ —সৰ্ব্বাঙ্গ তোয়ালে জড়ান-মাথার চুলগুলো এলো মেলো— আজ তোমার সেই ভীমকান্ত’রূপ মনে পড়িতেছে । আচ্ছা, তুমি কি জানিতে আমি তোমাকে কতটা ভাল বাসি ? না ! আমি ত তোমাকে সব বলিতে পারি নাই। পুরুষ মানুষ যতটুকু বুঝিতে পারে, তুমি ততটুকু বুঝিতে – তার বেশী নয় ! - তোমার ঘরে, তোমারই টেবিলে বসিয়া আমি লিখিতেছি। তুমি চিরকালই অগোছালো-টেবিলের চারিদিকে কাগজ পত্র ঘর ছড়ান, তুমি যে বইখানা পড়িতেছিলে, সেখান তেমনি ধোগাই পড়িয়া রহিয়াছে। g কাল তোমার জন্মদিন। আজ ত আমার মরা হবে না । কাল সকালে যে তোমার গোরটি ফুল দিয়ে সাজাইতে হইবে। আমাদের মিলন আর এক দিন পিছাইয়। গেল। এ একদিন—কি করিয়া কাটাইব ? তোমার আদরের হেলেন ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।