পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર્શ મ:થIl ] ছ’বে। মনে রেখে—আমরা আবার সুখী হ'ব, আমাদের আবার মিলন হ'বে-হয় ত খুব শীঘ্রই হবে।” আমি যেন তোমার গলা জড়াইয়। তোমাকে আদর করিতে গেলাম—এমণ সময় আমার সে মুখের স্বপ্ন মিলাইয়া গেল —ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল ! তুমি আমাকে শক্ত হইতে বলিয়াছ—আমি শক্তই হইব। ভাগ্যে কাল রাত্রে সে ওষুধটা খাই নাই —তা' হ'লে ত তোমার কথার অবাধ্য হইতাম। আমি তোমার কথাই শুনিব-— আমি মনকে দৃঢ় করিব। আমি হাসি মুখে তোমার সঙ্গে মিলনের প্রতীক্ষ। করিব। পরমেশ্বর আমার অপরাধ ক্ষম। পরিবেন— আর আমি তার নিন্দ করিব না। আমি শক্ত হইব—বেন তোমার সঙ্গে দেখা হইলে তুমি আমার উপর রাগ পরিবে না। আজ কি সুন্দর দিন,—সমস্ত পৃথিবী আজ আলোকে ভরিয়া উঠিয়াছে--আকাশে মেঘে কি রংয়ের বাহার ! এমন দিন আসিলে তুমি বলিতে –আজি গল্ফ খেলার দিন—তুমি চিরদিনই এমনি অকবি ! কাল মালী ফুলের গাছগুলে। দেখিবার জন্য বলিতেছিল--আমার উৎসাহ ছিল না। তুমি ডাফোডিল ফুল বড় ভাল বাসিতে—এগর ডাফোডিলে বাগান আলো হইয়ু উঠিবে । দেখো,-আমি লাগানটিকে কেমন সুন্দর করিয়া তুলিব। 粥 發 寮 * , রবিবার সন্ধ্যা । , প্রিয়তম, - আমি ঠিক কবেছি কাল লণ্ডনে যা’ব । মিলন & God: দিন কতক গিয়া ইদার কাছে কাটাইয়৷ আসি। তুমি ত জান নভেম্বর মাসে কুয়াসায় আর বৃষ্টিতে এ জায়গাটা কেমন হয় —-প্রাণ যেন হুঁপিয়ে আসে, সারাদিন কান্না পায় । আর কি আমার কাদা উচিত— আমি যে হাসিমুখে থাকিব তোমার কাছে স্বীকার করেছি। ইদার সেই বড় ছেলেটিকে মনে আছে। কেমন কেঁকড়া, কোকড়া চুল, বড় বড় হাসিমাথা চোখ দু'টি। তোমার নামে তার নাম । তার সঙ্গে খেলা করে আমার দিন বেশ কাটবে— হয় ত আমি অনুরোধ করলে ইদ তাকে মাঝে মাঝে আমার সঙ্গে এখানে আসতেও দেবে। আজ সন্ধ্যার সময় আমি গির্জায় গিয়াছিলাম—তখন গির্জার ভিতরে গান হইতেছিল। আমি স্তব্ধ হইয়া তোমার গোরের পাশে দাড়াইয়াছিলাম— পাহাড়ের উপর নীল তাকাশে চাদ উঠিতেছিল, স্নিগ্ধ শুভ্র চন্দ্রকিরণে সব যেন স্বপ্নরাজ্যের মত দেখ:ইতেছিল। দুরে হথরণের ঝোপে একটা নাইটিংগেল সঙ্গীতস্রোতে আকাশ ভাসাইয়া দিতেছিল। আর আমি তোমার গোরের পাশে দাড়াইয়া কঁদিতেছিলাম--কিন্তু কঁদিয়া এমন শান্তি একদিনও পাই নাই । আজি তবে আসি, প্রিয়তম, আবার কাল লণ্ডনে গিয়া তোমাকে পত্র লিখিব । তোমার আদরের হেলেন । 鬱 夢 鬱 鬱 বৃদ্ধ ডাক্তার মাথা নাড়িয়া বলিলেন—