পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Զ(էՏ “জীবনের কোনো আশা নাই।” বলিয়। তিনি রেল-সংঘর্ষে অন্তান্ত আহুতদিগকে দেখিবার জন্য চলিয়া গেলেন । চার পাচ ঘণ্ট। পরে হেলেনের একবার জ্ঞান হইল-- ক্ষীণস্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “আমি কোথায় ?” সুশ্ৰুষাকারিণী বলিল “ভয় নাই, আপনি হাসপাতালে—” “ভয়! আমার মৃত্যুতে কোনো ভয় নাই ।” বঙ্গদর্শন [ ১২শ পর্ম, শ্রাবণ, ১৩১৯ মৃত্যুর পূৰ্ব্বে হেলেনের আর একবার জ্ঞান হইয়াছিল—তার মুখে দিব্য আনন্দের জ্যোতি ফুটিয়া উঠিয়াছে। “প্রিয়তম, কে জানিত এত শীঘ্র আমি তোমার কাছে যাইতে পাইব। ভগবান, তোমার বড় দয়া ” বলিয়া হেলেন চক্ষু মুদিল । সব ফুরাইয়া গেল । শ্ৰীস্থবোধচন্দ্র মজুমদার। ভাদ্র শ্রী টোপর পানীয় ভর্ল ডোবা নধর লতায় নয়ান-জুলী, পূজা-শেষের পুষ্পে পাতায় ঢাকৃল যেন কুণ্ডগুলি । তাজা আতার ক্ষীরের মত পূবে বাতাস লাগছে শীতল, অতল দীঘির নিতল জলে সাত রে বেড়ায় কাৎলা-চিতল। ছাতিম গাছে দোলুন বেঁধে দুল্ছে কাদের মেয়েগুলি, কেয়া ফুলের রেণুর সাথে ইল্শে-গুড়ির কোলাকুলি ; আকাশ-পাড়ার দ্যাম-সায়রে ষায় বলাক জল সহিতে, ঝিল্লি বাজায় ঝাবর, উলু দেয় দাদুরী মন মোহিতে ! কলুকে ফুলের কুঞ্জবনে জল্‌ছে আলো থাসগেলাসে, অভ্র-চিকণ টিকৃলি জলের ঝলুমলিয়ে যায় ৰাতাসে ; টোকার টোপর মাথায় দিয়ে নিড়েন হাতে কে ওই মাঠে ? গুড়-চালেতে মিলিয়ে কারা ছিটায় গায়ে জলের ছাটে ? নকুলী রাতে চাষার সাথে চষা-ভূয়ের হচ্ছে বিয়ে, হচ্ছে শুভদৃষ্ট বুঝি মেঘের চাদর আড়াল দিয়ে ; ক'নের মুখে মনের সুখে উঠছে ফুটে শুামল হানি, চাষার প্রাণে মধুর তানে উঠছে বেজে আশার বঁাশী । বঁশের বঁাশী বাজায়কে আঙ্গ ? কোন সে রাখাল মাঠের বাটে ? অগাধ ঘাসে দাড়িয়ে গাভী ঘাসের নধর অঙ্গ চাটে । - আজ দোপাটির বাহার দেখে বিজলী হ’ল বেঙা-পিতল, কেয়া ফুলের উড়িয়ে ধ্বজ। পূবে বাতাস বইছে শীতল। শ্ৰীসত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ।