পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨G:૦ দেবতা সকল অনেক সময়ই কত অদ্ভুত, কত উদ্ভট, কত ভয়ানক ও বীভৎস বলিয়া বোধ হয়। আমাদের এই মূৰ্ত্তিপূজা কতই Ħl çoftö¥ ( grotesque) «fè# AGI হয় । সুতরাং জগন্নাথের এই ন্যtড় ও মুলো মূৰ্ত্তিকে cn Ningi EgÈ 8 grotesque বলিয়৷ ভাবিব ইহা আর বিচিত্র কি ? কিন্তু গ্রীশ তার দেববাদ ও মূৰ্ত্তিপূজার ভিতর দিয়া যে বস্তুর সন্মানে গিয়াছিল, হিন্দু যে সে বস্তুর সন্ধান পায় নাই। সুতরাং তাদের উভয়ের চেষ্টা কখনও এক রকমের হওয়া সম্ভব নহে । গ্রীক রূপের সন্ধানে যাইয়া তার দেবমূৰ্ত্তি সকল গড়িয়াছিল। হিন্দু অরূপের সন্ধানে যাইয়। তার দেবতার মূৰ্ত্তি কল্পনা করিয়ছিল। দু'এর মধ্যে এই আকাশপাতাল প্রভেদ ছিল। গ্রীক রূপের উপাসক ছিল। হিন্দু আজন্মকাল অরূপেরই সাধনা করিয়া আসিয়াছে। গ্রীক ইন্দ্রিয়ের মধ্যেই যে অতীন্দ্রিয়ের সঙ্কে ২ ও সন্ধান আছে, তাঁহাই ফুটাইয়া তুলিবার চেষ্টা করিয়াছে। হিন্দু অতীন্দ্রিয়ের মধ্যেও যে ইন্দ্রিয়গুণাভাস আছে, তাহাই, সাধনসোঁকাৰ্য্যার্থে, ইন্দ্রিয়জ রূপরসাদির সঙ্গে কায়ক্লেশে মিশাইবার চেষ্টা করিয়াছে। সুতরাং তার অতীন্দ্রিয় দেবতাকে ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে ধ্যান করিতে যাইয়াও, হিন্দু সৰ্ব্বদাই সে দেবতার অতীন্দ্ৰিয়ত্ব পূর্ণমাত্রায় বজায় রাথিতে চেষ্টা করিয়াছে। গ্ৰীশীয় দেবমূৰ্ত্তি সকলের ধানে সাধু ও সুধীজনের চিত্তে যতই উন্নত ও পবিত্র ভাবের উদয় হউক না কেন, প্রাকৃতজনের প্রাণে তাহাতে ইন্দ্ৰিয় বঙ্গদশ• ১২শ ৭ম, শ্রাবণ, ১২১৯ ভোগ লালসার উদ্রেক না হওয়া একরূপ অসম্ভব। মাইলোর ভির্নাসের ভাঙ্গা মূৰ্ত্তিী দেখিয়া অসাধারণ আধ্যাত্মিকসম্পদ সম্পন্ন পণ্ডিতদের চিত্তবিকার উপস্থিত হউক বা না হউক, সাধারণ লোকের ধে তাহ হয়, ইহা অস্বীকার করা যায় না। আর গ্রীশের উত্তরাধিকারীস্বত্রে যারা এই কলাকুশলনতৎপরতা লাভ করিয়া, আধুনিক যুরোপীয় কলাশিল্পের প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন, তাদের শ্রেষ্ঠতম স্থইর মধ্যে যে গুলিতে এই ইঞ্জিয়ভোগ-লাল রে উদ্রেক করে, জনসাধারণে সেগুলিকেই সকলের চাইতে বেশি পছন্দ করে, ইহাও কে না জানে ? অন্যদিকে হিন্দুর দেবমূৰ্ত্তিতে এরূপ কোনও কিছুর আভাস পাওয়া যায় না। আর এই ইঞ্জিয়রসকে শুদ্ধ করিলার জন্যই যেন, মনে হয়, হিন্দুদেবমূৰ্ত্তির মধ্যে অশেষবিধ অপ্রাকৃতত্বের সমাবেশ হুইয়াছে। আমাদের দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী, স্বরস্বতী, প্রভৃতি দেবীমূৰ্ত্তির দর্শনে ও ধ্যানে কামক্রোধাদি উদ্রিক্ত না হইয়া, আপন৷ হইতেই প্রশমিত হইয়া যায়। তার এ সকলের অপ্রাকৃতত্ব বা অতিপ্রাকৃতত্বই ইহাব . প্রধান কারণ । জগন্নাথমৃৰ্ত্তিতে কালী দুর্গ প্রভৃতি মূৰ্ত্তির ন্যায় কোনও প্রকারের অপ্রাকৃতত্ব বা অতিপ্রাকৃতত্ব নাই । কিন্তু আদিকে ইহার মধো অতীন্দ্ৰিয়-সঙ্কেতটী যেরূপ ভাবে ফুটাইয়। তুলিবার চেষ্টা হইয়াছে, আর কোনও হিন্দুদেবমূৰ্ত্তিতে সেরূপ হয় নাই। জগন্নাথমৃপ্তিকে কতকটা নিরাকার মূৰ্ত্তি বললেও চলে। আমরা সচরাচর