8ર્શ *૬૨)ાં] নিরাকারের যে অর্থ করি, নিরাকারবাদ আর শূন্তবাদ মূলে এক হইয়াই যায়। যার আকার নাই, মোটামুটি আমরা তাগকেই নিরাকার বলি । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিরাকার তাঁহাই যার কোন বিশেষ আকার নাই। যে বস্তু কোন বিশেষ আকারেতে আবদ্ধ হয় ন হইতেই পারে না, তাহাই সত্যসত্য নিরাকার। আর একই কালে যাহা বহুবিধ আকারে থাকিতে পারে, তাহারই কোনও বিশেষ আকার নাই। আর তাহাই সত্য সত্য নিরাকার । আকাশ-বস্তু এই জন্য নিরাকার। অথচ এই আকাশই একই সময়ে ঘটপটাদিতে সাকfরপি ধরিয়াও থাকে প্ৰাণ-বস্তু নিরাকার ; কারণ সৰ্ব্বদাই দেহের সঙ্গে যুক্ত থাকিলেও, কোন বিশেষ দৈহিক আকারেতে গঙ্গ আবদ্ধ হয় না। যে প্রাণ বহুদিন পূৰ্ব্বে এ রিক্তি আপোগণ্ড ' শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে ছিল, আজ তাহা পরিণত বয়সের পরিপক্ক অস্থিপঞ্জর ও লোল পেশিচক্ষ্মাদির মধ্যেও সমভাবেই বিদ্যমান রহিয়াছে। মহাজনের বলেন দেহান্তেও এই প্রাণ থাকিবে ও ক্রমে কৰ্ম্মবশে দেহান্তর গ্রহণ করিয়া আবার শারীর চেষ্টা প্রকাশ করিবে । এই প্রাণ-বস্তুর যদি কোনো একটা বিশেয আকার থাকিত, কোনো এক সাকার দেহের সঙ্গে যদি তার এমন ঐকান্তিক যোগ থাকিত যে, সে যোগ নষ্ট হইলে সে প্রাণও নষ্ট হইয়া যাইত, তুবেই কেবল সে প্রাণকে সাকার বলা যাইতে পারিত। কিন্তু বিবিধ আকারেই প্রাণ-বস্তু থাকে ও জগন্নাথের নবকলেবর ミ、Q তাহাতে থাকিতে পারে বলিয়াই তাহাকে নিরাকার বলি। আর এই অর্থে জগন্নাথ সাকার নহেন, কিন্তু তার যতই মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হউক না কেন, তিনি সৰ্ব্বদ, সৰ্ব্বোতোভাবেই নিরাকার। কারণ যার কোনো আকারবিশেষ নাই, যুগপৎ যে বস্তু বহু আকারেতে প্রকাশিত হইতে ও প্রতিষ্ঠিত থাপি তে পারে, সেই প্রকৃত নিরাকার। নতুবা কোনো আকারের ভিতর দিয়া প্রকাশিত হইতে গেলেই যার নিজত্ব’ও বস্তুস্থ নষ্ট হইয়া যায়, সে বস্তু শূঙ্গ হইতে পারে, কিন্তু সত্যিকার নিরা কার পাবে না । কারণ নিরাকারের প্রকৃত অর্থ সৰ্ব্বfকার। আর জগন্নাথ-মূৰ্ত্তির মধ্যে এই সৰ্ব্বকারত্ব যতটা পরিমাণে প্রকাশিত ও প্রতিষ্ঠিত করিবার চেষ্ট হইয়াছে, আর কোনও হিন্দুদেবমূৰ্ত্তিতে তাহা হয় নাই। ইহাই জগন্নাথের ন্যাড়া-চুলো ছবির ভিতরকার কথা। একদিক দিয়া জগন্নাথের কোনো রূপ নাই । শিশুর যেমন বালুকামুষ্টি ধরিয়৷ বলে, এই নেও পোলা ও বা পায়স ; যে সাধক জগন্নাথের মূৰ্ত্তি গড়িয়ছেন, তিনিও সেইরূপই যেন বলিতেছেন,—এই নেও তোমার ঠাকুর । আজ জগন্নাথকে বৈষ্ণবেরা বিশেষভাবেই দখল করিয়া বসিয়াছেন, কিন্তু জগন্নাথের মূৰ্ত্তির সঙ্গে বিষ্ণু-মূৰ্ত্তির কোনই সাদৃশ্য নাই। বিষ্ণু চতুভুজ। জগন্নাথের চার হাত নাই। শ্ৰীকৃষ্ণের এক শ্রেষ্টতম, গৃহতম, দ্বিভূজ মূৰ্ত্তি আছে বটে ; কিন্তু যে দ্বিভূজ মূৰ্ত্তিও ত্রিভঙ্গ ও মুরলীধর। জগন্নাথের সঙ্গে তারও কোন মিল নাই। অথচ এই জগন্নাথকে বৈষ্ণবসাধক ও হইতে
- 1히 সুগে
দেখিয়াঙ্গ